বড় পরিসরে কলেরার টিকার সাফল্য -আইসিডিডিআরবির গবেষণা
বাংলাদেশে
বড় পরিসরে একটি কলেরার টিকার কার্যকারিতা প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা
বলেছেন, এর ফলে মহামারি আকারে রোগটির বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে।
গবেষণাটি করেছে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ
(আইসিডিডিআরবি)।
খাবার ও পানির মাধ্যমে কলেরার জীবাণু ছড়ায়। এতে মানুষ আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া ও মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভোগে।
গবেষণায় ২ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেয়। এতে দেখা গেছে, শুধু টিকা প্রয়োগে ৩৭ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ
করা সম্ভব হয়েছে। আর টিকা নেওয়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পানি ব্যবহার করার ফলে ৪৫ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এ গবেষণা ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা বলেছেন, কলেরা প্রতিরোধে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এখনো একটি বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।
গবেষক দলের প্রধান ও আইসিডিডিআরবির ভ্যাকসিন বিভাগের প্রধান ফেরদৌসী কাদরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশে প্রতিবছর দুবার কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এতে মানুষের মৃত্যু হয় এবং স্বাস্থ্যহানি ঘটে। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে কলেরার এই টিকা অন্তর্ভুক্ত করলে দেশে কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।
রাজধানীর মিরপুরের ২, ৪, ৫, ৬, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭০ জন মানুষকে গবেষণার আওতায় নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল আনসারি খান বলেন, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৪ হাজার ৬৭৫ জনকে টিকা খাওয়ানো হয়। ৯২ হাজার ৫৩৯ জনকে টিকা খাওয়ানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করা হয়। বাকি ৮০ হাজার ৫৬ জনকে নিয়মিত নজরে রাখার বাইরে কিছুই করা হয়নি।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ১৪ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় টিকা খাওয়ানো হয়। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর গবেষকেরা সব মানুষের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ২০১৪ সালে এই গবেষণা শেষ হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু টিকা খাওয়ানো দলের ৩৭ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। টিকা খাওয়ানো ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করা দলের ৪৫ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ভারতের ওষুধ কোম্পানি শান্তা বায়োটেকনিক্সের তৈরি করা ‘শ্যানকল’ নামের টিকা এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। প্রতি টিকার দাম ২৯০ টাকার কিছু বেশি। এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকা খাওয়ানো যায় কি না এবং তা কার্যকর হয় কি না, তা দেখাই ছিল গবেষণার উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য সফল প্রমাণিত হয়েছে। এখন অন্য টিকার সঙ্গে কলেরার টিকা একত্রে সারা দেশে ব্যবহার করা যাবে।
তবে এই টিকার ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহার এবং এর সফলতা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক এনজিও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের এদেশীয় প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ দেশে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য আচরণ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। নিরাপদ পানি নিশ্চিত না করে ৩৭ শতাংশ প্রতিরোধের টিকা ব্যবহারের বিষয়টি আরও চিন্তাভাবনার দাবি রাখে।
খাবার ও পানির মাধ্যমে কলেরার জীবাণু ছড়ায়। এতে মানুষ আক্রান্ত হয়ে ডায়রিয়া ও মারাত্মক পানিশূন্যতায় ভোগে।
গবেষণায় ২ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষ অংশ নেয়। এতে দেখা গেছে, শুধু টিকা প্রয়োগে ৩৭ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ
করা সম্ভব হয়েছে। আর টিকা নেওয়ার পাশাপাশি পরিষ্কার পানি ব্যবহার করার ফলে ৪৫ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী চিকিৎসা সাময়িকী ল্যানসেটের অনলাইন সংস্করণে প্রকাশিত এ গবেষণা ফলাফলকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে তাঁরা বলেছেন, কলেরা প্রতিরোধে উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এখনো একটি বড় বাধা হিসেবে রয়ে গেছে।
গবেষক দলের প্রধান ও আইসিডিডিআরবির ভ্যাকসিন বিভাগের প্রধান ফেরদৌসী কাদরী প্রথম আলোকে বলেন, দেশে প্রতিবছর দুবার কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখা দেয়। এতে মানুষের মৃত্যু হয় এবং স্বাস্থ্যহানি ঘটে। জাতীয় টিকাদান কর্মসূচিতে কলেরার এই টিকা অন্তর্ভুক্ত করলে দেশে কলেরা ও ডায়রিয়ার প্রকোপ ৫০ শতাংশ কমানো সম্ভব হবে।
রাজধানীর মিরপুরের ২, ৪, ৫, ৬, ১৪ ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ২ লাখ ৬৭ হাজার ২৭০ জন মানুষকে গবেষণার আওতায় নেওয়া হয়।
আইসিডিডিআরবির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইকবাল আনসারি খান বলেন, অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের মধ্যে ৯৪ হাজার ৬৭৫ জনকে টিকা খাওয়ানো হয়। ৯২ হাজার ৫৩৯ জনকে টিকা খাওয়ানোর পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করা হয়। বাকি ৮০ হাজার ৫৬ জনকে নিয়মিত নজরে রাখার বাইরে কিছুই করা হয়নি।
২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি ও মার্চে ১৪ দিনের ব্যবধানে দুই দফায় টিকা খাওয়ানো হয়। এরপর প্রতি ছয় মাস পরপর গবেষকেরা সব মানুষের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ২০১৪ সালে এই গবেষণা শেষ হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, শুধু টিকা খাওয়ানো দলের ৩৭ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। টিকা খাওয়ানো ও পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সচেতন করা দলের ৪৫ শতাংশের কলেরা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, ভারতের ওষুধ কোম্পানি শান্তা বায়োটেকনিক্সের তৈরি করা ‘শ্যানকল’ নামের টিকা এই গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। প্রতি টিকার দাম ২৯০ টাকার কিছু বেশি। এই গবেষণায় অর্থায়ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন।
ফেরদৌসী কাদরী বলেন, সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে ব্যাপক জনগোষ্ঠীকে টিকা খাওয়ানো যায় কি না এবং তা কার্যকর হয় কি না, তা দেখাই ছিল গবেষণার উদ্দেশ্য। সেই উদ্দেশ্য সফল প্রমাণিত হয়েছে। এখন অন্য টিকার সঙ্গে কলেরার টিকা একত্রে সারা দেশে ব্যবহার করা যাবে।
তবে এই টিকার ব্যাপকভিত্তিক ব্যবহার এবং এর সফলতা নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
আন্তর্জাতিক এনজিও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের এদেশীয় প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, এ দেশে নিরাপদ পানি, স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্য আচরণ খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো জরুরি। নিরাপদ পানি নিশ্চিত না করে ৩৭ শতাংশ প্রতিরোধের টিকা ব্যবহারের বিষয়টি আরও চিন্তাভাবনার দাবি রাখে।
No comments