বারুদ জমিয়ে রেখেছিলেন রুবেল!
ঘণ্টায়
১৪১ কিলোমিটার গতিতে যেটা ছুটে বেরোল রুবেলের হাত থেকে, আর যাই হোক, বল
নয়। বাজুকা নাকি মিসাইল? আরেকটু কাব্য করে বলতে পারেন, পাখির চোখ ভেদ করা
অর্জুনের তির! যেটাই হোক, পৃথিবীর সবচেয়ে ভালো ব্যাকরণ মানা দুর্ভেদ্য
রক্ষণটাও ভেদ হলো। হাওয়ায় উড়ল হাশিম আমলার স্টাম্প। উড়তে চাইলেন রুবেলও।
কিন্তু বাঘ কি কখনো ওড়ে? সেটা মনে হতেই যেন ওড়ার বদলে মনোযোগ দিলেন
হুংকারে। ব্যাঘ্র হুংকার। ব্যগ্র হুংকারও!
কেবল প্রতিপক্ষের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেট বলে নয়, এ যেন গত কদিনের হতাশার জবাব।
নাকাল করতে হবে স্পিনে—এমন রণকৌশলের কারণেই কি না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১৪ সদস্যের স্কোয়াডেও রুবেলকে রাখেননি নির্বাচকেরা। দূর থেকেই দেখতে হলো দলের পরাজয়। ওয়ানডে স্কোয়াডে ফিরলেও আবারও দর্শক প্রথম ম্যাচে। টানা তিন ম্যাচে মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা বারুদে আজ কাঠি ঠুকে দিলেন রুবেল নিজেই!
তাসকিন আহমেদ চোটের কারণে দলের বাইরে। রুবেলের জায়গা তো এমনিতেই থাকার কথা। কেন নেই? প্রশ্নটা কাল সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খেল মিরপুরের শূন্য গ্যালারিতে। রুবেলকে এভাবে একাদশের বাইরে রাখাটা জুতসই মনে হয়নি বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটিরও। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ দেয় রুবেলকে একাদশে ফেরানোর।
রুবেল যে ফিরছেন, সে ইঙ্গিত গতকালই সাংবাদিকদের দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি, ‘অধিনায়ক-কোচ সবার মতামত নিয়ে আমরা একটা জায়গায় একমত হয়েছি। একাদশের দশ জন ঠিক হয়ে গেছে। একজন নিয়ে মত পার্থক্য আছে, কোচ এক রকম বলছে, অধিনায়ক এক রকম চায়। সবারটা শুনেছি। কাল (আজ) এগারো নম্বরটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এটা রুবেলও হতে পারে, একজন স্পিনারও হতে পারে।’
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্পিনার জুবায়ের হোসেনের বদলে একাদশে ফিরলেন রুবেল। ফিরেই উপহার দিলেন দারুণ বোলিং। ৯ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ৩৪ রানে তুলেন নিলেন আমলা ও ক্রিস মরিসের উইকেট।
বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের পর এটা রুবেলের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭ ওভারে ২৬ রানে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। সেদিন ইকোনমি ছিল ৩.৭১, আজ ৩.৭৭। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রুবেল বোঝালেন দলে তাঁর প্রয়োজনীয়তা।
টি-টোয়েন্টি কিংবা প্রথম ওয়ানডেতে দেখা গেছে, একপাশে কেউ আটসাট বোলিং করলেও অন্য দিকে কেউ আলগা করে দিচ্ছেন রাশটা। আজ শুরুতে মুস্তাফিজ-মাশরাফির ঠেসে ধরা বোলিং, এর পর এক ওভার হাত ঘোরালেন সাকিবও। তার পরেই এলেন রুবেল। দ্বিতীয় ওভারেই আমলা পেছন ফিরে অবাক চোখে তাকালেন—আরে স্টাম্প মাত্র দুটো দাঁড়িয়ে কেন! উইকেট মেডেন। মেডেন পরের ওভারেও। ৩ ওভারের দুটোই মেডেন, চার রান দিয়ে এক উইকেট। চতুর্থ ওভারে ৮ রান দিলেন বলেই হয়তো তাঁকে সরালেন অধিনায়ক।
আবারও বারুদ জমিয়ে রাখা রুবেলের। ৩৬তম ওভারে ফিরলেন। ৩ চারে ১২ তোলা ক্রিস মরিসকেও ফেরালেন। তাঁর উদযাপনটায় একটা বুনো গন্ধ আছে। দলের বাইরে থাকায় আজ ঝাঁজটা বোধ হয় একটু বেশিই হলো!
কেবল প্রতিপক্ষের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানের উইকেট বলে নয়, এ যেন গত কদিনের হতাশার জবাব।
নাকাল করতে হবে স্পিনে—এমন রণকৌশলের কারণেই কি না, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের ১৪ সদস্যের স্কোয়াডেও রুবেলকে রাখেননি নির্বাচকেরা। দূর থেকেই দেখতে হলো দলের পরাজয়। ওয়ানডে স্কোয়াডে ফিরলেও আবারও দর্শক প্রথম ম্যাচে। টানা তিন ম্যাচে মনের মধ্যে জমিয়ে রাখা বারুদে আজ কাঠি ঠুকে দিলেন রুবেল নিজেই!
তাসকিন আহমেদ চোটের কারণে দলের বাইরে। রুবেলের জায়গা তো এমনিতেই থাকার কথা। কেন নেই? প্রশ্নটা কাল সবচেয়ে বেশি ঘুরপাক খেল মিরপুরের শূন্য গ্যালারিতে। রুবেলকে এভাবে একাদশের বাইরে রাখাটা জুতসই মনে হয়নি বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটিরও। গতকাল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেনের সঙ্গে বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটি পরামর্শ দেয় রুবেলকে একাদশে ফেরানোর।
রুবেল যে ফিরছেন, সে ইঙ্গিত গতকালই সাংবাদিকদের দিয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি, ‘অধিনায়ক-কোচ সবার মতামত নিয়ে আমরা একটা জায়গায় একমত হয়েছি। একাদশের দশ জন ঠিক হয়ে গেছে। একজন নিয়ে মত পার্থক্য আছে, কোচ এক রকম বলছে, অধিনায়ক এক রকম চায়। সবারটা শুনেছি। কাল (আজ) এগারো নম্বরটা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এটা রুবেলও হতে পারে, একজন স্পিনারও হতে পারে।’
শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্পিনার জুবায়ের হোসেনের বদলে একাদশে ফিরলেন রুবেল। ফিরেই উপহার দিলেন দারুণ বোলিং। ৯ ওভার বোলিং করে ২ মেডেনে ৩৪ রানে তুলেন নিলেন আমলা ও ক্রিস মরিসের উইকেট।
বিশ্বকাপে অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ঐতিহাসিক ম্যাচের পর এটা রুবেলের দ্বিতীয় সেরা বোলিং। গত মাসে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ৭ ওভারে ২৬ রানে পেয়েছিলেন ২ উইকেট। সেদিন ইকোনমি ছিল ৩.৭১, আজ ৩.৭৭। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজের স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রুবেল বোঝালেন দলে তাঁর প্রয়োজনীয়তা।
টি-টোয়েন্টি কিংবা প্রথম ওয়ানডেতে দেখা গেছে, একপাশে কেউ আটসাট বোলিং করলেও অন্য দিকে কেউ আলগা করে দিচ্ছেন রাশটা। আজ শুরুতে মুস্তাফিজ-মাশরাফির ঠেসে ধরা বোলিং, এর পর এক ওভার হাত ঘোরালেন সাকিবও। তার পরেই এলেন রুবেল। দ্বিতীয় ওভারেই আমলা পেছন ফিরে অবাক চোখে তাকালেন—আরে স্টাম্প মাত্র দুটো দাঁড়িয়ে কেন! উইকেট মেডেন। মেডেন পরের ওভারেও। ৩ ওভারের দুটোই মেডেন, চার রান দিয়ে এক উইকেট। চতুর্থ ওভারে ৮ রান দিলেন বলেই হয়তো তাঁকে সরালেন অধিনায়ক।
আবারও বারুদ জমিয়ে রাখা রুবেলের। ৩৬তম ওভারে ফিরলেন। ৩ চারে ১২ তোলা ক্রিস মরিসকেও ফেরালেন। তাঁর উদযাপনটায় একটা বুনো গন্ধ আছে। দলের বাইরে থাকায় আজ ঝাঁজটা বোধ হয় একটু বেশিই হলো!
No comments