নিয়ম না মানাটাই যেন নিয়ম by মোছাব্বের হোসেন
আইনের তোয়াক্কা না করে উল্টো পথেই চলছে গাড়ি। রূপসী বাংলা হোটেলের মোড়ে ছবিটি তুলেছেন সাজিদ হোসেন |
বাংলামোটর
এলাকার ব্যস্ত সময়। রাস্তায় যানজট। এরই মধ্যে কয়েকটি মোটরসাইকেল
ফুটপাতে উঠে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করছে। ছোট হয়ে আসা ফুটপাতের পথচারীরা
এতে বিরক্ত হচ্ছেন। ফুটপাত দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো বেআইনি—এটা তিনি জানেন
কি না জিজ্ঞেস করতেই এক চালক খেঁকিয়ে বলে উঠলেন, ‘আমার আগে যেতে হবে, কাজ
আছে। আপনার জ্ঞান শোনার সময় নাই।’ গত সোমবারের ঘটনা। এ রকম ঘটনা রাজধানীর
বিভিন্ন এলাকাতেই নিয়মিত ঘটছে।
প্রচণ্ড যানজটে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন ‘বিশেষ ব্যক্তিরা’ উল্টো পথে চলে যান। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, জ্বালানিসচিব আবু বকর সিদ্দিক নিয়ম লঙ্ঘন করে উল্টো পথে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছেন।
বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালানো, ফুটপাতের ওপর মোটরসাইকেল চালানো, যত্রতত্র বাস থামানো, গাড়ি পার্কিং, প্রধান সড়কে রিকশা চালানোসহ নানাভাবে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। আর এসবের সঙ্গে আছে পথচারীদের যত্রতত্র রাস্তা পারাপার, চলন্ত গাড়ির সামনে হাত দেখিয়ে রাস্তা পার হওয়া, ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার না করাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
গত রবি ও সোমবার মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ গণপরিবহনই রাস্তার বিভিন্ন অনির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে লোক নিচ্ছে। যাত্রী না পেলে দাঁড়িয়েই আছে। এতে পেছনে যে যানজট তৈরি হচ্ছে, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। আবার বড় বড় একাধিক বাস রাস্তার মাঝে এমনভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামার কাজ করছে যে পুরো রাস্তাটাই আটকে যাচ্ছে।
ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা, অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাড়ি পার্ক করার নিয়ম না থাকলেও মানুষ এসব স্থানে তা করছেন। এর ফলে যানজট তৈরি হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠছে।
এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলামোটর এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ আলম বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের ছাড় দিতে হয়। এ জন্য অনেক সময় উল্টো পথে গাড়ি চলতে দিই।’ তবে ফুটপাতে মোটরসাইকেল যাতে না চলে, সে জন্য ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভেতর এখনো আইন মানার সংস্কৃতিটাই পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। সবার মধ্যেই আইন ভাঙার প্রবণতা।’
নিয়ম না মানার এ সংস্কৃতি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যখন আইন লঙ্ঘন করছেন, সেটাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং তাঁরা সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া আইনপ্রণেতারা যখন আইন ভঙ্গ করছেন, সেটা সাধারণ মানুষ অনুকরণ করেন।
প্রচণ্ড যানজটে মানুষের যখন হাঁসফাঁস অবস্থা, তখন ‘বিশেষ ব্যক্তিরা’ উল্টো পথে চলে যান। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচারিত প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান, জ্বালানিসচিব আবু বকর সিদ্দিক নিয়ম লঙ্ঘন করে উল্টো পথে গাড়িতে চড়ে যাচ্ছেন।
বিশেষ প্রভাব খাটিয়ে উল্টো পথে গাড়ি চালানো, ফুটপাতের ওপর মোটরসাইকেল চালানো, যত্রতত্র বাস থামানো, গাড়ি পার্কিং, প্রধান সড়কে রিকশা চালানোসহ নানাভাবে নিয়ম ভাঙা হচ্ছে। আর এসবের সঙ্গে আছে পথচারীদের যত্রতত্র রাস্তা পারাপার, চলন্ত গাড়ির সামনে হাত দেখিয়ে রাস্তা পার হওয়া, ফুটওভারব্রিজ বা আন্ডারপাস ব্যবহার না করাই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।
গত রবি ও সোমবার মিরপুর, শ্যামলী, কল্যাণপুর, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ গণপরিবহনই রাস্তার বিভিন্ন অনির্ধারিত স্থানে দাঁড়িয়ে লোক নিচ্ছে। যাত্রী না পেলে দাঁড়িয়েই আছে। এতে পেছনে যে যানজট তৈরি হচ্ছে, সেদিকে ভ্রুক্ষেপ নেই। আবার বড় বড় একাধিক বাস রাস্তার মাঝে এমনভাবে দাঁড়িয়ে যাত্রী ওঠানামার কাজ করছে যে পুরো রাস্তাটাই আটকে যাচ্ছে।
ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা, অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে গাড়ি পার্ক করার নিয়ম না থাকলেও মানুষ এসব স্থানে তা করছেন। এর ফলে যানজট তৈরি হচ্ছে। মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠছে।
এসব বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে বাংলামোটর এলাকায় দায়িত্ব পালনকারী ট্রাফিক সার্জেন্ট শাহ আলম বলেন, ‘কিছু কিছু বিষয়ে আমাদের ছাড় দিতে হয়। এ জন্য অনেক সময় উল্টো পথে গাড়ি চলতে দিই।’ তবে ফুটপাতে মোটরসাইকেল যাতে না চলে, সে জন্য ট্রাফিক বিভাগ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক এ আই মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের ভেতর এখনো আইন মানার সংস্কৃতিটাই পুরোপুরি গড়ে ওঠেনি। সবার মধ্যেই আইন ভাঙার প্রবণতা।’
নিয়ম না মানার এ সংস্কৃতি প্রসঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা যখন আইন লঙ্ঘন করছেন, সেটাই সাধারণ মানুষের মধ্যে একধরনের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে এবং তাঁরা সেটাই অনুকরণ করার চেষ্টা করেন। এ ছাড়া আইনপ্রণেতারা যখন আইন ভঙ্গ করছেন, সেটা সাধারণ মানুষ অনুকরণ করেন।
No comments