এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি আমলার
রুবেলের বলের লাইনটাই বুঝলেন না। ব্যাটের ঢালেও আটকাল না। উড়ল আমলার স্টাম্প! ছবি: শামসুল হক |
ক্রিকেটের
অভিধানে ‘হাশিম আমলা’ মানে ‘আশ্চর্য ধারাবাহিকতা’। বিরাট কোহলি নিয়ে
দিস্তার পর দিস্তা খরচ হচ্ছে। সতীর্থ এবি ডি ভিলিয়ার্স কিংবা ডেভিড মিলারের
মতো গ্ল্যামারও তাঁর নেই। কিন্তু ক্রিকেটীয় ব্যাকরণ মেনেই ব্যাটে রানের
ফুলঝুড়ি। মারকাটারি ক্রিকেটের যুগে কারও কারও চোখে বেমানান আমলাই ওয়ানডে
ইতিহাসের দ্রুততম সময়ে ২, ৩, ৪ ও ৫ হাজার ক্যারিয়ার রান পূর্ণ করার
রেকর্ডের মালিক! যে রেকর্ডগুলোর প্রায় সবগুলোর মালিক এক সময় ছিলেন ভিভ
রিচার্ডস!
চুইংগাম চিবুতে চিবুতে আশ্চর্য নির্লিপ্ততায় বোলারদের খুন করে চলা সেই রিচার্ডসকে আমলা কীভাবে ছাপিয়ে গেছেন, সেটিও দেখুন। ৩ হাজার রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৬৯ ইনিংস, আমলার ৫৭। ১২ ইনিংস কম! চার হাজার রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৮৮ ইনিংস, আমলার লেগেছিল সাতটি কম ইনিংস। রিচার্ডস ৫ হাজার রান করেছেন ১১৪তম ইনিংসে গিয়ে। আমলা ১০১ ইনিংসেই। ১৩৬তম ইনিংসে গিয়ে ৬ হাজার রান পূর্ণ করে রিচার্ডসের আরেকটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। ৬ হাজার রান করতে আর মাত্র ২৭২ রান লাগে আমলার। খেলেছেন মাত্র ১১৪ ইনিংস। কোহলিকে এই রেকর্ডটাও দখলে আমলা রাখতে দেবেন বলে মনে হয় না।
তবে কোহলি প্রার্থনা করতে পারেন আমলার পড়তি ফর্মের জন্য। সেই প্রার্থনা কোহলি এরই মধ্যে যে করছেন না, সেটাই বা কে জানে। তবে ভারতের টেস্ট অধিনায়কের জন্য সুখবর হলো, প্রতি ইনিংসে গড়ে যে আমলা কমপক্ষে ফিফটি তোলেন, সেই তিনি টানা ছয় ইনিংসে ফিফটি-শূন্য! এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারের প্রথম ছয় ইনিংসেও অবশ্য ফিফটির দেখা পাননি। কিন্তু এতে তাঁর কোনো দায় নেই। একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। আরেকটা ম্যাচে নেমেইছিলেন এমন সময়ে, জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল মাত্র ৩৭ রান।
প্রথম ফিফটির জন্য অষ্টম ওয়ানডে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা সেই আমলার ক্যারিয়ারে এমন সুবর্ণ সময়ও এসেছে, টানা ১৭ ইনিংসে ৬টি ফিফটি আর পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন আরও চারটি। আশি কিংবা নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে এই চারবার আউট না হলে।
এই বছরটাও শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চার ইনিংসে দুটো ফিফটি আর দুটো সেঞ্চুরি করে। সেই আমলা ক্যানবেরায় আইরিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পরের ছয় ইনিংসে করলেন: ৩৮, ১২, ১৬, ১০, ১৪ আর ২২। চার ইনিংস পর এই প্রথম ২০ পেরোলেন! ব্যাটসম্যানটির নাম আমলা বলেই আগের বাক্য বিস্ময়চিহ্ন।
চুইংগাম চিবুতে চিবুতে আশ্চর্য নির্লিপ্ততায় বোলারদের খুন করে চলা সেই রিচার্ডসকে আমলা কীভাবে ছাপিয়ে গেছেন, সেটিও দেখুন। ৩ হাজার রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৬৯ ইনিংস, আমলার ৫৭। ১২ ইনিংস কম! চার হাজার রান করতে রিচার্ডসের লেগেছিল ৮৮ ইনিংস, আমলার লেগেছিল সাতটি কম ইনিংস। রিচার্ডস ৫ হাজার রান করেছেন ১১৪তম ইনিংসে গিয়ে। আমলা ১০১ ইনিংসেই। ১৩৬তম ইনিংসে গিয়ে ৬ হাজার রান পূর্ণ করে রিচার্ডসের আরেকটি রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন কোহলি। ৬ হাজার রান করতে আর মাত্র ২৭২ রান লাগে আমলার। খেলেছেন মাত্র ১১৪ ইনিংস। কোহলিকে এই রেকর্ডটাও দখলে আমলা রাখতে দেবেন বলে মনে হয় না।
তবে কোহলি প্রার্থনা করতে পারেন আমলার পড়তি ফর্মের জন্য। সেই প্রার্থনা কোহলি এরই মধ্যে যে করছেন না, সেটাই বা কে জানে। তবে ভারতের টেস্ট অধিনায়কের জন্য সুখবর হলো, প্রতি ইনিংসে গড়ে যে আমলা কমপক্ষে ফিফটি তোলেন, সেই তিনি টানা ছয় ইনিংসে ফিফটি-শূন্য! এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি তাঁর। ক্যারিয়ারের প্রথম ছয় ইনিংসেও অবশ্য ফিফটির দেখা পাননি। কিন্তু এতে তাঁর কোনো দায় নেই। একটা ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে গেছে। আরেকটা ম্যাচে নেমেইছিলেন এমন সময়ে, জয়ের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ছিল মাত্র ৩৭ রান।
প্রথম ফিফটির জন্য অষ্টম ওয়ানডে পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকা সেই আমলার ক্যারিয়ারে এমন সুবর্ণ সময়ও এসেছে, টানা ১৭ ইনিংসে ৬টি ফিফটি আর পাঁচটি সেঞ্চুরি করেছেন। সেঞ্চুরি পেতে পারতেন আরও চারটি। আশি কিংবা নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে এই চারবার আউট না হলে।
এই বছরটাও শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চার ইনিংসে দুটো ফিফটি আর দুটো সেঞ্চুরি করে। সেই আমলা ক্যানবেরায় আইরিশদের বিপক্ষে সেঞ্চুরির পরের ছয় ইনিংসে করলেন: ৩৮, ১২, ১৬, ১০, ১৪ আর ২২। চার ইনিংস পর এই প্রথম ২০ পেরোলেন! ব্যাটসম্যানটির নাম আমলা বলেই আগের বাক্য বিস্ময়চিহ্ন।
No comments