সুইজারল্যান্ডে ল্যাবরেটরিতে ৬ লক্ষাধিক জীবজন্তু
‘সুইস
ফেডারেল ফুড সেইফটি অ্যান্ড ভেটেরিনারি অফিস’ (এফএসভিও) থেকে গত বুধবার
দেয়া এক পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, ২০১৪ সালে সুইজারল্যান্ডে
পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে ৬ লাখ ৬ হাজার ৫০৫টি জীবজন্তু ব্যবহার করা
হয়েছে। ২০১৩ সালের তুলনায় এ সংখ্যা ২ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এ ঘটনায় বেশ
শঙ্কিত প্রাণীবিদ ও জীবজন্তুর অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্তরা। গিনিপিগ,
ইঁদুর ও কাঠবিড়ালি জাতীয় প্রাণীর হার ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এর মধ্যে পাখি,
মাছ, পোষা প্রাণী, গবাদিপশু, খরগোস, ব্যাঙ জাতীয় উভচর প্রাণী, বানর ও
বনমানুষ জাতীয় প্রাণী এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীও রয়েছে। এ খবর দিয়েছে
বার্তা সংস্থা আইএএনএস। সুইজারল্যান্ডে জীবজন্তুর ওপর এ ধরনের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা কি ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে, তা যাচাইয়ে সরকারিভাবে
ক্যাটিগরিতে ভাগ করে নম্বর প্রদান করা হয় । ০ থেকে ৩ পর্যন্ত স্কেলে ধাপ
নির্ণয় করা হয়ে থাকে। ০ ধাপে থাকার ক্ষতির পরিমাণও শূন্য এবং তৃতীয় ধাপে বা
ধাপ ৩-এ থাকার অর্থ ক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে মারাত্মক। এফএসভিও জানিয়েছে,
পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত ৭৭ দশমিক ৪ শতাংশ জীবজন্তুর ক্ষতির পরিমাণ ছিল
নিতান্তই কম বা কোন ক্ষতি হয়নি সেগুলোর, এগুলো ছিল ধাপ ০ থেকে ১ এর মধ্যে।
২০ দশমিক ৬ শতাংশ জীবজন্তুকে রাখা হয়েছিল ধাপ ২-তে এবং ২০১৪ সালে
ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ব্যবহৃত ২ শতাংশ জীবজন্তুকে রাখা হয় ধাপ-৩
এ।
No comments