ফেনীতে লং কামিজ ফ্লোর টাচ কিরণমালা by নাজমুল হক শামীম
ফেনীতে
ঈদের বাজার জমে উঠেছে। রোজা শুরুর কয়েক দিন বৃষ্টি থাকায় পনেরো রমজানের পর
থেকে বেচাকেনার ধুম পড়েছে। কেনাকাটায় শহরবাসী এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ভারতীয় শাড়ি ও থ্রিপিসে বাজার সয়লাভ হওয়ায় প্রতিদিন শহরের শপিং মল,
ফুটপাথগুলোতে ভিড় জমাচ্ছে উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, নিম্নবিত্তসহ নানা শ্রেণীর
ক্রেতা। ঈদের পোশাকে এবার মেয়েদের বেশি পছন্দ ‘লং কামিজ ফ্লোর টাচ ও
কিরণমালা’ আর ছেলেদেরও পছন্দ ‘লং পাঞ্জাবি মাইনোভার’।
শহরের শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণিবিতান, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, গ্রিন টাওয়ার, এফ রহমান এসি মার্কেট, জুম্মা শপিং কমপ্লেক্স, তমিজিয়া শপিং কমপ্লেক্স, রোকেয়া শপিং সেন্টার, ফেনী সেন্টার, ফেনী প্লাজা, সিটি প্লাজা, মহিপাল প্লাজা, আহম্মদ প্লাজা, রহমান মার্কেট, জামাল মার্কেট, গুলশান মার্কেট, বনানী মার্কেট, নিউমার্কেট, লাভ মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, ইব্রাহিম হোসেন মার্কেট, আলম মার্কেট, জগন্নাত বাড়ি মার্কেট, এস কে সুপার মার্কেট, আলী আহম্মদ টাওয়ার, হাজী লতিফ টাওয়ার, জহিরিয়া টাওয়ার, জে সি টাওয়ার, সওদাগরপট্টি, খদ্দরপট্টিতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এ ছাড়া শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে অবস্থিত ‘নন্দন বুটিকস’্, ‘মায়াবী’তে প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। রাজাঝির দীঘির পাড়ের ফুটপাথে দোকানগুলোতে কেনাকাটা বেড়েছে। তবে পণ্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে বিরক্তির ছাপ লক্ষ করা গেছে।
ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি মার্কেটেই মেয়েদের নতুন নতুন মডেলের ভারতীয় সিল্ক, ভারতীয় কাতান, পঞ্চফুরি কাতান, সাউথ কাতান, জুট কাতান, মীরপুরি কাতান, কাঞ্চিবরন, জর্জেট শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, জামদানি, ঢাকাইয়া জামদানি, মুসলিম জামদানি, সুতি জামদানি, ভারতীয় থ্রিপিস, বুটিকসের থ্রিপিস, কাটা থ্রিপিস কিরণমালা, বরফি, বাসন্তি ও পিয়নার কদর বেশি। এ ছাড়া লং থ্রিপিস ফ্লোর টার্চ, কুর্তি, গাউনও ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি মাইনোভার, সিল্ক, অ্যান্ডি, ধুপিয়ান, তসর বিক্রি হলেও এসবের চেয়ে সাদা রঙের পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছে। পাঞ্জাবির পাশাপশি পিকে, চেলসি, মেসি, ভাইরাস, পিকিং, বার্সেলোনা ব্র্যান্ডের জিন্স-প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফেনী সেন্টারের রাজমহল বুটিক হাইসের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জমান আজাদ জানান, তার দোকানে ভারতীয় একটি লেহেঙ্গার দাম ৯৫ হাজার টাকা। এক প্রবাসী ক্রেতা ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরদাম করলেও তিনি বিক্রি করেননি। এফ রহমান এসি মার্কেটের বিক্রেতা আরমান জানান, মেয়েদের থ্রিপিসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ফ্লোরটাচ ও কিরণমালা। নজরকাড়া কাজ নিয়ে এসেছে গাউন। এ ছাড়া শিশুদের পার্টি ফ্রক, রাগিনিও ভালো কদর রয়েছে। হাতের কাজের ওপর নির্ভর করা বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিস ফ্লোর টার্চ ও গাউনের দাম অনেক চওড়া।
গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের জেন্টস ফ্যাশন শোরুমের পরিচালক শাহরিয়ার জানান, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিদিনই ততই পাঞ্জাবির ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলেদের মাইনোভার পাঞ্জাবি এবার ঈদে বেশি চলছে। প্রতিটি পাঞ্জাবি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া তরুণদের কাছে মোদি কোটি ও দেশী পাঞ্জাবির কদরও রয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
গ্রিন টাওয়ার থেকে নুরুল আমিন হৃদয় তার মেয়ের জন্য দুই হাজার পাঁচ শ টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি কুর্তি টফস্সেট। তিনি জানান, বাজারে মেয়েদের বেশির ভাগ পোশাক নতুন ধার্চের, তবে দামও অনেক বেশি।
শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণিবিতানের সাকির ডির্পামেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম সবুজ জানান, বিক্রি খুবই ভাল। তবে দাম বাড়ার কারণে ক্রেতারা দর কষাকষি করলেও এক দামের কারণে ন্যায্য দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ১০ রমজানের পর থেকে ২২ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন লাখ দু-এক টাকা বিক্রি হলেও ঈদের আগের দু-একদিন লাখ তিনেক টাকা ছড়িয়ে যাবে।
জামা-কাপড়, জুতার পাশাপাশি জুতা ও কসমেটিকস দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণীরা ম্যাচ করে জুতো-সেন্ডেল কিনছেন। স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে বিগত সময়ের মতো এবারও তরুণীদের বিশেষ পছন্দ রুপাসহ বিভিন্ন ধাচের গয়না।
এদিকে রোজার ঈদ মানেই মেয়েদের মেহেদি উৎসব। হাতে মেহেদি লাগাতে নারীরা এবার পাকিস্তানি মেহেদির প্রতি ঝোঁক বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। বিগত রোজায় ফেনীতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এবার আরও বাড়তে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
শহরের শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণিবিতান, গ্র্যান্ড হক টাওয়ার, গ্রিন টাওয়ার, এফ রহমান এসি মার্কেট, জুম্মা শপিং কমপ্লেক্স, তমিজিয়া শপিং কমপ্লেক্স, রোকেয়া শপিং সেন্টার, ফেনী সেন্টার, ফেনী প্লাজা, সিটি প্লাজা, মহিপাল প্লাজা, আহম্মদ প্লাজা, রহমান মার্কেট, জামাল মার্কেট, গুলশান মার্কেট, বনানী মার্কেট, নিউমার্কেট, লাভ মার্কেট, সমবায় সুপার মার্কেট, ইব্রাহিম হোসেন মার্কেট, আলম মার্কেট, জগন্নাত বাড়ি মার্কেট, এস কে সুপার মার্কেট, আলী আহম্মদ টাওয়ার, হাজী লতিফ টাওয়ার, জহিরিয়া টাওয়ার, জে সি টাওয়ার, সওদাগরপট্টি, খদ্দরপট্টিতে ক্রেতাদের ভিড় বেড়েছে। এ ছাড়া শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে অবস্থিত ‘নন্দন বুটিকস’্, ‘মায়াবী’তে প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। রাজাঝির দীঘির পাড়ের ফুটপাথে দোকানগুলোতে কেনাকাটা বেড়েছে। তবে পণ্যসামগ্রীর অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে বিরক্তির ছাপ লক্ষ করা গেছে।
ঈদ উপলক্ষে প্রতিটি মার্কেটেই মেয়েদের নতুন নতুন মডেলের ভারতীয় সিল্ক, ভারতীয় কাতান, পঞ্চফুরি কাতান, সাউথ কাতান, জুট কাতান, মীরপুরি কাতান, কাঞ্চিবরন, জর্জেট শাড়ি, টাঙ্গাইল শাড়ি, তাঁতের শাড়ি, জামদানি, ঢাকাইয়া জামদানি, মুসলিম জামদানি, সুতি জামদানি, ভারতীয় থ্রিপিস, বুটিকসের থ্রিপিস, কাটা থ্রিপিস কিরণমালা, বরফি, বাসন্তি ও পিয়নার কদর বেশি। এ ছাড়া লং থ্রিপিস ফ্লোর টার্চ, কুর্তি, গাউনও ব্যাপক বিক্রি হচ্ছে। ছেলেদের পাঞ্জাবি মাইনোভার, সিল্ক, অ্যান্ডি, ধুপিয়ান, তসর বিক্রি হলেও এসবের চেয়ে সাদা রঙের পাঞ্জাবির চাহিদা একটু বেশি বলে বিক্রেতারা জানিয়েছে। পাঞ্জাবির পাশাপশি পিকে, চেলসি, মেসি, ভাইরাস, পিকিং, বার্সেলোনা ব্র্যান্ডের জিন্স-প্যান্ট বেশি বিক্রি হচ্ছে। ফেনী সেন্টারের রাজমহল বুটিক হাইসের স্বত্বাধিকারী আসাদুজ্জমান আজাদ জানান, তার দোকানে ভারতীয় একটি লেহেঙ্গার দাম ৯৫ হাজার টাকা। এক প্রবাসী ক্রেতা ৫৫ হাজার টাকা পর্যন্ত দরদাম করলেও তিনি বিক্রি করেননি। এফ রহমান এসি মার্কেটের বিক্রেতা আরমান জানান, মেয়েদের থ্রিপিসে জনপ্রিয়তার শীর্ষে আছে ফ্লোরটাচ ও কিরণমালা। নজরকাড়া কাজ নিয়ে এসেছে গাউন। এ ছাড়া শিশুদের পার্টি ফ্রক, রাগিনিও ভালো কদর রয়েছে। হাতের কাজের ওপর নির্ভর করা বিভিন্ন ডিজাইনের থ্রিপিস ফ্লোর টার্চ ও গাউনের দাম অনেক চওড়া।
গ্র্যান্ড হক টাওয়ারের জেন্টস ফ্যাশন শোরুমের পরিচালক শাহরিয়ার জানান, ঈদ যত ঘনিয়ে আসছে প্রতিদিনই ততই পাঞ্জাবির ক্রেতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছেলেদের মাইনোভার পাঞ্জাবি এবার ঈদে বেশি চলছে। প্রতিটি পাঞ্জাবি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া তরুণদের কাছে মোদি কোটি ও দেশী পাঞ্জাবির কদরও রয়েছে। বিক্রিও ভালো হচ্ছে।
গ্রিন টাওয়ার থেকে নুরুল আমিন হৃদয় তার মেয়ের জন্য দুই হাজার পাঁচ শ টাকা দিয়ে কিনেছেন একটি কুর্তি টফস্সেট। তিনি জানান, বাজারে মেয়েদের বেশির ভাগ পোশাক নতুন ধার্চের, তবে দামও অনেক বেশি।
শহীদ হোসেন উদ্দিন বিপণিবিতানের সাকির ডির্পামেন্টাল স্টোরের স্বত্বাধিকারী নজরুল ইসলাম সবুজ জানান, বিক্রি খুবই ভাল। তবে দাম বাড়ার কারণে ক্রেতারা দর কষাকষি করলেও এক দামের কারণে ন্যায্য দামে কিনতে হচ্ছে। তিনি আরও জানান, ১০ রমজানের পর থেকে ২২ রমজান পর্যন্ত প্রতিদিন লাখ দু-এক টাকা বিক্রি হলেও ঈদের আগের দু-একদিন লাখ তিনেক টাকা ছড়িয়ে যাবে।
জামা-কাপড়, জুতার পাশাপাশি জুতা ও কসমেটিকস দোকানগুলোতে প্রচণ্ড ভিড় লক্ষ করা গেছে। বিভিন্ন বয়সের তরুণ-তরুণীরা ম্যাচ করে জুতো-সেন্ডেল কিনছেন। স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণে বিগত সময়ের মতো এবারও তরুণীদের বিশেষ পছন্দ রুপাসহ বিভিন্ন ধাচের গয়না।
এদিকে রোজার ঈদ মানেই মেয়েদের মেহেদি উৎসব। হাতে মেহেদি লাগাতে নারীরা এবার পাকিস্তানি মেহেদির প্রতি ঝোঁক বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। বিগত রোজায় ফেনীতে প্রায় ২০০ কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছিল। এবার আরও বাড়তে পারে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
No comments