রেলক্রসিংয়ে হারিয়ে যায় ৭ ঘণ্টা! by মাহবুবুল হক ভূঁইয়া
রাজধানীতে যানজটের মূল কারণগুলোর একটি হলো রেলক্রসিং। রাজধানীবাসীকে ২৪ ঘণ্টার সাত ঘণ্টাই রেলক্রসিংয়ে অপেক্ষা করে কাটাতে হয়। এ তথ্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের। তারা একে রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণও বলছে।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীর ভেতরে রেলওয়ের ২৩টি রেলক্রসিং রয়েছে। আর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন আন্তনগর, মেইল ও মালবাহী ট্রেন মিলিয়ে মোট ৭৩টি ট্রেন বের হয়। যাওয়া-আসার হিসাব মেলালে রাজধানীবাসীকে প্রতিদিন ১৪৬ বার রেলক্রসিংয়ের সংকেতের অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রতিদিন অপেক্ষমাণ যানবাহনের যাত্রীদের প্রায় সাত ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়।
গত রবি ও সোমবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রেলক্রসিং মালিবাগ, মগবাজার ও মহাখালী রেলক্রসিং ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রেনের জন্য কমপক্ষে তিন মিনিট রাস্তা আটকে রাখা হয়। এসব রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত রেলওয়ের গেটম্যানরা বলেন, সাধারণত ট্রেন এক কিলোমিটার দূরে থাকতে যানবাহন চলাচল আটকে দেওয়া হয়। আর ট্রেন চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রসিংবারগুলো তুলে দেওয়া হয়।
গত সোমবার রাজধানীর মালিবাগ রেলওয়ে ক্রসিংয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ট্রেনের আসা-যাওয়া এবং ওই সময়ে ঠিক কী পরিমাণ সময় ওই সংকেতে অপেক্ষা করতে হয়, তা সরেজমিনে দেখা হয়। ওই দিন এ সময়ের মধ্যে মোট চারটি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকার বাইরে যায়। ট্রেনগুলো হলো রংপুর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস। আর ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানীর ভেতরে ঢোকে। এর মধ্যে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেসের জন্য মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুবার ক্রসিংবার (রেল গেট) ফেলে যানবাহন আটকাতে হয়।
মালিবাগ রেলওয়ে ক্রসিংয়ের গেটম্যান এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কোনো কোনো সময় একই সঙ্গে দুবার ক্রসিংবার ফেলতে হয়। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটবার এ রকম হয় বলেও জানান তিনি। এ সময় রেলক্রসিংয়ে যানবাহন সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়।
সোমবার মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে প্রতিটি সংকেতে ৬০টির বেশি গাড়িকে সংকেতে আটকাতে দেখা যায়। বিপরীত দিকে এ সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০টি। গেটম্যান এমদাদুল হক বলেন, সাধারণত অফিস শুরু এবং ছুটির সময়ে যানবাহনের লম্বা সারি তৈরি হয়। কখনো কখনো তা মৌচাক পর্যন্ত এবং বিপরীত দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেল পর্যন্ত পৌঁছায়।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির (ট্রাফিক) যুগ্ম কমিশনার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণ এসব রেলক্রসিং। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে এসব রেলক্রসিংয়ে আন্ডারপাস কিংবা ওভারব্রিজ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেন, এসব সুপারিশের বাস্তবায়ন ছাড়া এ সমস্যার আপাতত কোনো সমাধান নেই।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের হিসাব অনুযায়ী, রাজধানীর ভেতরে রেলওয়ের ২৩টি রেলক্রসিং রয়েছে। আর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে প্রতিদিন আন্তনগর, মেইল ও মালবাহী ট্রেন মিলিয়ে মোট ৭৩টি ট্রেন বের হয়। যাওয়া-আসার হিসাব মেলালে রাজধানীবাসীকে প্রতিদিন ১৪৬ বার রেলক্রসিংয়ের সংকেতের অপেক্ষা করতে হয়। এতে প্রতিদিন অপেক্ষমাণ যানবাহনের যাত্রীদের প্রায় সাত ঘণ্টা সময় নষ্ট হয়।
গত রবি ও সোমবার রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ তিনটি রেলক্রসিং মালিবাগ, মগবাজার ও মহাখালী রেলক্রসিং ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি ট্রেনের জন্য কমপক্ষে তিন মিনিট রাস্তা আটকে রাখা হয়। এসব রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত রেলওয়ের গেটম্যানরা বলেন, সাধারণত ট্রেন এক কিলোমিটার দূরে থাকতে যানবাহন চলাচল আটকে দেওয়া হয়। আর ট্রেন চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রসিংবারগুলো তুলে দেওয়া হয়।
গত সোমবার রাজধানীর মালিবাগ রেলওয়ে ক্রসিংয়ে সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ট্রেনের আসা-যাওয়া এবং ওই সময়ে ঠিক কী পরিমাণ সময় ওই সংকেতে অপেক্ষা করতে হয়, তা সরেজমিনে দেখা হয়। ওই দিন এ সময়ের মধ্যে মোট চারটি ট্রেন কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ঢাকার বাইরে যায়। ট্রেনগুলো হলো রংপুর এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেস। আর ভাওয়াল এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানীর ভেতরে ঢোকে। এর মধ্যে ভাওয়াল এক্সপ্রেস ও চট্টলা এক্সপ্রেসের জন্য মাত্র ছয় মিনিটের ব্যবধানে দুবার ক্রসিংবার (রেল গেট) ফেলে যানবাহন আটকাতে হয়।
মালিবাগ রেলওয়ে ক্রসিংয়ের গেটম্যান এমদাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, কোনো কোনো সময় একই সঙ্গে দুবার ক্রসিংবার ফেলতে হয়। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটবার এ রকম হয় বলেও জানান তিনি। এ সময় রেলক্রসিংয়ে যানবাহন সাধারণ সময়ের তুলনায় অনেক বেশি হয়।
সোমবার মালিবাগ রেলক্রসিংয়ে প্রতিটি সংকেতে ৬০টির বেশি গাড়িকে সংকেতে আটকাতে দেখা যায়। বিপরীত দিকে এ সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০টি। গেটম্যান এমদাদুল হক বলেন, সাধারণত অফিস শুরু এবং ছুটির সময়ে যানবাহনের লম্বা সারি তৈরি হয়। কখনো কখনো তা মৌচাক পর্যন্ত এবং বিপরীত দিকে মালিবাগ চৌধুরীপাড়ার আবুল হোটেল পর্যন্ত পৌঁছায়।
এ প্রসঙ্গে ডিএমপির (ট্রাফিক) যুগ্ম কমিশনার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজধানীর যানজটের অন্যতম কারণ এসব রেলক্রসিং। তাঁরা বিভিন্ন সময়ে এসব রেলক্রসিংয়ে আন্ডারপাস কিংবা ওভারব্রিজ করে দেওয়ার সুপারিশ করেছেন। তিনি বলেন, এসব সুপারিশের বাস্তবায়ন ছাড়া এ সমস্যার আপাতত কোনো সমাধান নেই।
No comments