লন্ডন যাচ্ছেন সিলেট বিএনপি নেতারা by ওয়েছ খছরু
লন্ডন
যাচ্ছেন সিলেট বিএনপি নেতারা। ইতিমধ্যে অর্ধডজন বিএনপি নেতা লন্ডনে গিয়ে
পৌঁছেছেন। পথে আছেন কেউ কেউ। কেউবা আবার রমজানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
ঈদের পরও যাবেন আরও কয়েকজন। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের
তোড়জোড় শুরু হওয়ায় বিএনপি নেতাদের এ লন্ডন যাত্রা বলে দলের নেতাকর্মীরা
জানিয়েছেন। এর কারণ, লন্ডনেই অবস্থান করছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান
তারেক রহমান। তার সঙ্গেই দেখা করতে বিএনপি নেতারা লন্ডনমুখী হয়েছেন। সিলেট
জেলা ও মহানগর বিএনপি এবার তার মতেই গঠন করা হবে। এ কারণে দলীয় নেতারা
ছুটছেন লন্ডনে। সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির দুটি কমিটিই এখন চলছে আহ্বায়ক
কমিটি দিয়ে। ওয়ান-ইলেভেনের পর সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি গঠন করে
দিয়েছিলেন বিএনপির নিখোঁজ সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী। এ সময় বিতর্ক
এড়াতে ইলিয়াস আলী নিজেই নেন সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব। ওই সময়
সিলেট বিএনপিতে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনেক গতি পায়। ভেদাভেদ ভুলে বিএনপির সব
অংশের নেতারা দাঁড়িয়েছিলেন এক কাতারে। এ কারণে সিলেটে বিএনপির চেয়ারপারসন
বেগম খালেদা জিয়ার টিপাইমুখ বাঁধবিরোধী লংমার্চ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশ সফল
হয়েছিল। ২০১২ সালের মাঝামাঝি সময়ে ঢাকা থেকে গুম হন ইলিয়াস আলী। এরপর সিলেট
বিএনপি হয়ে পড়ে অনেকটা অভিভাবকহীন। নেতাকর্মীদের মধ্যে দূরত্ব রেষারেষি
চরম আকার ধারণ করে। ইলিয়াস আলী গঠিত দুটি কমিটির নেতারা নিজেদের দ্বন্দ্বের
কারণে সাংগঠনিক গতি আনতে পারছিলেন না। এ কারণে গত বছরের শেষদিকে তৃণমূলে
বিএনপিকে শক্তিশালী করতে কার্যক্রম শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সিলেট জেলা ও
মহানগর বিএনপির পুরনো কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল। জেলা
কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পান সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট নুরুল হক ও মহানগরের
দায়িত্ব দেয়া হয় বিএনপি নেতা ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে। এ ছাড়া সিলেট
জেলা ও মহানগর বিএনপির সিনিয়র নেতাদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিনিয়র সদস্য করা
হয়। এর মধ্যে একটি কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিএনপির সহসভাপতি শমসের
মবিন চৌধুরী। দুটি কমিটির মধ্যে দল গোছানোতে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল সিলেট
জেলা বিএনপি। ইতিমধ্যে প্রায় ২০টি শাখা ইউনিটের মধ্যে জেলা বিএনপি
সম্মেলনের মাধ্যমে ১৭টি কমিটিই গঠন করে দিয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যে যখন
ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, পৌর, উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন প্রক্রিয়া শেষ করা
হয়, তখনই জেলা কমিটির সম্মেলনের প্রস্তুতি চলে। আর ওই সময় আন্দোলনে নামার
কারণে আর সম্মেলন করা সম্ভব হয়নি। জেলা বিএনপি মাঠপর্যায়ে অনেকটা দল
গোছালেও মহানগর বিএনপি তেমন সফল হয়নি। সিলেট মহানগরীর ২৭টি ওয়ার্ড কমিটির
মধ্যে প্রায় সব কয়টি ওয়ার্ডেই নতুন করে কমিটি গঠন করা সম্ভব হয়নি। সে
ক্ষেত্রে মহানগরের নেতারা জানিয়েছেন, সময় না পাওয়ার কারণে তারা সেটি করতে
পারেননি। আর যখন সময় পাওয়া গেল তখন শুরু হলো আন্দোলন। এদিকে, জানুয়ারি থেকে
এপ্রিল পর্যন্ত টানা আন্দোলনে সিলেটে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। বরং
আন্দোলন করতে গিয়ে অনেকেই হয়েছেন কারাবন্দি। সিনিয়র নেতারাও গ্রেপ্তার
এড়াতে দেন গা-ঢাকা। সম্প্রতি সময়ে জামিনে বেরিয়ে এসেছেন কারাগারে থাকা
বিএনপি নেতারা। আর আত্মগোপনে থাকারাও দলীয় কাজে সরব হন। এ অবস্থায় দলের
সাংগঠনিক কাঠামোতে গতি আনতে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটি
গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। সিলেট বিএনপির একাধিক নেতা জানিয়েছেন, লন্ডনে
অবস্থানরত দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সিলেটের দুটি কমিটি
পূর্ণাঙ্গ করতে উদ্যোগী হয়েছেন। লন্ডনে থেকেই ইতিমধ্যে তিনি সিলেটের
নেতাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
ঈদের পর গঠন করা হতে পারে সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটি। আর এ খবর পেয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা ছুটছেন লন্ডনে। ইতিমধ্যে লন্ডন চলে গেছেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
আর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা গেছেন। তিনি ওখান থেকে কিছুদিনের মধ্যে লন্ডনে আসবেন। লন্ডনে অবস্থানরত সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদি জানিয়েছেন, ঈদের পর সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে অনেকেই লন্ডনে সফর করছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত কাজেও আসছেন বলে জানান। সিলেট জেলা বিএনপির কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক জানিয়েছেন, ঈদের পর তারা লন্ডনে যাবেন। সেখানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করবেন। তার নির্দেশনা মতোই গঠন করা হবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নতুন দুটি কমিটি।
ঈদের পর গঠন করা হতে পারে সিলেট জেলা ও মহানগরের কমিটি। আর এ খবর পেয়ে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতারা ছুটছেন লন্ডনে। ইতিমধ্যে লন্ডন চলে গেছেন, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি ও এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সিলেট জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুজ্জামান জামান, সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহমদ, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সিলেট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
আর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ব্যক্তিগত সফরে আমেরিকা গেছেন। তিনি ওখান থেকে কিছুদিনের মধ্যে লন্ডনে আসবেন। লন্ডনে অবস্থানরত সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হাসান কয়েস লোদি জানিয়েছেন, ঈদের পর সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া হিসেবে অনেকেই লন্ডনে সফর করছেন। কেউ কেউ ব্যক্তিগত কাজেও আসছেন বলে জানান। সিলেট জেলা বিএনপির কয়েকজন যুগ্ম আহ্বায়ক জানিয়েছেন, ঈদের পর তারা লন্ডনে যাবেন। সেখানে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যানের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করার চেষ্টা করবেন। তার নির্দেশনা মতোই গঠন করা হবে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির নতুন দুটি কমিটি।
No comments