বাজেটে ৪ ঝুঁকি ৬ চ্যালেঞ্জ
২০১৫-১৬
অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়নে ৪টি প্রধান ঝুঁকি ও ৬টি
চ্যালেঞ্জের কথা বলেছে বিশ্বব্যাংক। ঝুঁকিগুলো হলো- ইউরোপের মন্দার প্রভাব,
তেলের দাম কম হওয়ায় মধ্য মেয়াদে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমিক চাহিদা কমার শঙ্কা,
পোশাক শিল্পের চলতি সংস্কার সঠিকভাবে এবং সময়মতো শেষ হবে কি না এবং
রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকবে কিনা। অন্যদিকে ৬টি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে-
রাজস্ব আহরণ, উন্নয়ন প্রকল্পের মান উন্নয়ন, অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, সুদের
হার নিয়ন্ত্রণে রাখা, ভর্তুকি কমার সুফল দরিদ্ররা পাচ্ছেন কিনা এবং সংস্কার
কার্যক্রম গতিশীল হবে কিনা। এছাড়া বাজেটে ঘোষিত ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন
‘চ্যালেঞ্জিং’ হবে বলে মনে করেন বিশ্বব্যাংক। গতকাল বাজেট-পরবর্তী সংবাদ
সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির লিড ইকোনমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটি
তাদের মতামত তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত
কান্ট্রি ডিরেক্টর সালমান জাইদি ও যোগাযোগ কর্মকর্তা মেহেরিন এ মাহবুব।
গত ৪ঠা জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। তাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বিনিয়োগ কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই শতাংশ বাড়াতে হবে। বর্তমানে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৯ শতাংশ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। সে সঙ্গে বাজেটে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে সেগুলোরও সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। আর এসব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনকে অসম্ভব বলে মনে করে না বিশ্বব্যাংক। জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে, যার কয়েকটির কাজ এ বছরের মধ্যে শেষ হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাড়াতেও নান পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সে কারণেই আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ হলেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে না। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরের বাজেটে ৭.৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ৬.৫১ শতাংশ হতে পারে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ধারণা। এদিকে শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ এ বলা হয়, নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ ছাড়াবে না।
এদিকে আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বা এডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে কিনা, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটি বলছে, এডিপির পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলে তাতে অর্থনীতির বড় ধরনের কোন ক্ষতি হবে তা নয়। এ ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন- অর্থ কোথায় খরচ করা হচ্ছে, সেটি। বিশ্বব্যাংকের মতে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি নির্ভর করছে রাজস্বনীতি ও কর প্রশাসনের দক্ষতার ওপর। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ অর্থনীতির আকার যে হারে বেড়েছে এখনও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি সে হারে বাড়েনি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঘোষিত বাজেটকে ‘বড় বাজেট’ বলে মনে করে না বিশ্বব্যাংক। বরং এটিকে ‘গতানুগতিক’ বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়ন থেকে সরে আসা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ দাতা সংস্থাটি।
জাহিদ হোসেন জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের যে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা পৃথিবীর ২০টি দেশেরও নেই। সুতরাং, ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে ফাঁদ বলা হয়, তা নেগেটিভ অর্থে না দেখে পজেটিভ অর্থে মূল্যায়ন করা উচিত। এ ৬ শতাংশ ধরে রাখাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সার্বিক বাজেটকে বৃহৎ আকারের গতানুগতিক বাজেট বলে অভিহিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, এ বাজেট বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে ঘাটতি অর্থায়ন। এছাড়া সংস্কারের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটের যে আকার তা আন্তর্জাতিক বিবেচনায় অনেক বড় বলা যাবে না; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা। এতে বলা হয়, পেস্কেল বাস্তবায়নের কারণে অনুন্নয়ন বাজেটের অর্থ হয়তো খরচ হবে, কিন্তু উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সহায়তার যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা পূরণ করাও কঠিন হবে।
গত ৪ঠা জুন জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেন। তাতে প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ শতাংশ।
বিশ্বব্যাংক বলছে, আগামী অর্থবছরে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হলে বিনিয়োগ কমপক্ষে ২ থেকে আড়াই শতাংশ বাড়াতে হবে। বর্তমানে বিনিয়োগের হার জিডিপির ২৯ শতাংশ। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। সে সঙ্গে বাজেটে যেসব সংস্কারের কথা বলা হয়েছে সেগুলোরও সফল বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে। আর এসব কিছু ঠিকঠাক থাকলে ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনকে অসম্ভব বলে মনে করে না বিশ্বব্যাংক। জাহিদ হোসেন আরও বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের কথা বলা হয়েছে, যার কয়েকটির কাজ এ বছরের মধ্যে শেষ হবে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বাড়াতেও নান পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। সে কারণেই আমার মনে হয়, চ্যালেঞ্জ হলেও ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন কঠিন হবে না। উল্লেখ্য, গত অর্থবছরের বাজেটে ৭.৩ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হলেও শেষ পর্যন্ত তা ৬.৫১ শতাংশ হতে পারে বলে পরিসংখ্যান ব্যুরোর ধারণা। এদিকে শুক্রবার ওয়াশিংটন থেকে প্রকাশিত বিশ্ব ব্যাংকের ‘গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টস’ এ বলা হয়, নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.৩ শতাংশ ছাড়াবে না।
এদিকে আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায় ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির বা এডিপির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা বাস্তবায়িত হবে কিনা, এ নিয়ে শঙ্কা রয়েছে বিশ্বব্যাংকের। সংস্থাটি বলছে, এডিপির পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হলে তাতে অর্থনীতির বড় ধরনের কোন ক্ষতি হবে তা নয়। এ ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন- অর্থ কোথায় খরচ করা হচ্ছে, সেটি। বিশ্বব্যাংকের মতে, রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের বিষয়টি নির্ভর করছে রাজস্বনীতি ও কর প্রশাসনের দক্ষতার ওপর। তবে রাজস্ব আদায় বাড়ানোর অনেক সুযোগ রয়েছে। কারণ অর্থনীতির আকার যে হারে বেড়েছে এখনও রাজস্ব প্রবৃদ্ধি সে হারে বাড়েনি।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঘোষিত বাজেটকে ‘বড় বাজেট’ বলে মনে করে না বিশ্বব্যাংক। বরং এটিকে ‘গতানুগতিক’ বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু নির্মাণের অর্থায়ন থেকে সরে আসা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এ দাতা সংস্থাটি।
জাহিদ হোসেন জানান, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের যে ৬ শতাংশের বেশি প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা পৃথিবীর ২০টি দেশেরও নেই। সুতরাং, ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধির যে ফাঁদ বলা হয়, তা নেগেটিভ অর্থে না দেখে পজেটিভ অর্থে মূল্যায়ন করা উচিত। এ ৬ শতাংশ ধরে রাখাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। তবে সার্বিক বাজেটকে বৃহৎ আকারের গতানুগতিক বাজেট বলে অভিহিত করেছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক মনে করে, এ বাজেট বাস্তবায়নে বড় বাধা হতে পারে ঘাটতি অর্থায়ন। এছাড়া সংস্কারের ক্ষেত্রেও সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে। বিশ্বব্যাংকের উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটের যে আকার তা আন্তর্জাতিক বিবেচনায় অনেক বড় বলা যাবে না; কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে- সরকার এটি বাস্তবায়ন করতে পারবে কিনা। এতে বলা হয়, পেস্কেল বাস্তবায়নের কারণে অনুন্নয়ন বাজেটের অর্থ হয়তো খরচ হবে, কিন্তু উন্নয়ন বাজেট বাস্তবায়ন কঠিন হবে। উপস্থাপনায় বলা হয়, বাজেটে ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সহায়তার যে লক্ষ্য ধরা হয়েছে তা পূরণ করাও কঠিন হবে।
No comments