বাংলাদেশকে ‘শুল্ক ও কোটামুক্ত’ বাণিজ্য সুবিধা দেয়া উচিত যুক্তরাষ্ট্রের
বাংলাদেশে
নারীর ক্ষমতায়নকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের
অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির
ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেয়া। কারণ, বাংলাদেশের প্রায়
৯০ শতাংশ পোশাক শ্রমিকই নারী। তারা নারীদের ক্ষমতায়নে অগ্রবর্তী ভূমিকা
রাখছেন। আর তা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
ট্র্যান্স প্যাসিফিক অংশীদারিত্বের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য বিষয়ক
প্রস্তাবনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। এর ফলে বাংলাদেশ মার্কিন
বাজারে কঠিন প্রতিযোগিতার মুখে পড়বে। যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন ওয়াশিংটনে অবস্থিত মার্কিন কংগ্রেস সদস্য
ব্র্যাড শেরম্যান ও টম ম্যারিনোর সঙ্গে পৃথক সাক্ষাতে মিলিত হন। গত ১৫ই জুন
শেরম্যান ও ১৬ই জুন ম্যারিনোর সঙ্গে বৈঠকে অংশ নেন জিয়াউদ্দিন। সেখানে
তিনি বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি তুলে ধরেন। বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে
প্রকাশিত এক প্রেস-বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। ইউএস হাউস ফরেন
অ্যাফেয়ার্স কমিটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-কমিটির
জ্যেষ্ঠতম সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান। রেগুলেটরি রিফর্ম অ্যান্ড কমার্শিয়াল
অ্যান্ড অ্যান্টিট্রাস্ট ল বিষয়ক উপ-কমিটির সভাপতি টম ম্যারিনো। বৈঠকে
জিয়াউদ্দিন বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য সম্পর্কের বিষয়টি
সংক্ষেপে তুলে ধরেন মার্কিন দুই কংগ্রেস সদস্যের কাছে। তিনি বলেন, লীস্ট
ডেভেলপড কান্ট্রি (এলডিসি) বা সবচেয়ে স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হিসেবে বাণিজ্যের
ক্ষেত্রে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে বিশেষ কোন সুবিধা পায় না
বাংলাদেশ। বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, প্রধানত তৈরি পোশাক শিল্প বা আরএমজি
খাতে রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রধান বাজারের একটি যুক্তরাষ্ট্র।
বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় এক-চতুর্থাংশই যায় যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক উচ্চ রপ্তানিতে শুল্ক দিতে হচ্ছে। অথচ,
এলডিসি’র আওতায় থাকা বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রকে কোন বাণিজ্য শুল্ক দিতে হয়
না। দেশগুলো জিরো ট্যারিফের আওতাভুক্ত। জিয়াউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের প্রায়
৯০ শতাংশ তৈরি পোশাক শ্রমিকই নারী। বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে
নারীদের ক্ষমতায়নের প্রক্রিয়ায় গতি সঞ্চারিত করছে এ বিপুল সংখ্যক নারীর
কর্মসংস্থান। এমতাবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের উচিত বাংলাদেশ থেকে পণ্য আমদানির
ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দেয়া। বাংলাদেশে নারীর
ক্ষমতায়নে প্রেরণা যোগাতে এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের অংশীদার
রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তা করা।
No comments