বিদ্যালয়ের মাঠে হাট by মুহাম্মদ জাকির হোসেন
চাঁদপুরের
মতলব দক্ষিণ উপজেলার দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-সংলগ্ন মাঠে অবৈধভাবে হাট
বসিয়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা। মতলব পৌরসভা থেকে মাঠ ইজারা নিয়ে
সেখানে সপ্তাহের দুই দিন সকাল-সন্ধ্যা হাট বসানো হচ্ছে। হাটে আসা লোকজনের
কোলাহলে ১ হাজার ৬০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।
বিদ্যালয় দুটি হচ্ছে মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকায় ওই দুই বিদ্যালয়ের পাশেই এই মাঠ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে ৫৭ শতাংশ জায়গায় বিদ্যালয় দুটি স্থাপিত হয়। এর ২৫ শতাংশে ওই দুটি বিদ্যালয় এবং ৩২ শতাংশে মাঠ। মুন্সীরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, মতলব পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শামিম বকাউল গত পাঁচ বছর যাবৎ পৌরসভা থেকে ওই মাঠ অবৈধভাবে ইজারা নিয়ে প্রতি শনি ও বুধবার হাট বসাচ্ছেন।
গত বুধবার মুন্সীরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই বিদ্যালয়ের মাঠটিতে শতাধিক অস্থায়ী দোকান। দোকানিরা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়েছেন। দরদাম করছেন ক্রেতারা। পাশে দুই বিদ্যালয়েই চলছে ক্লাস। ক্রেতা-বিক্রেতাদের শোরগোলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকেরা কী পড়াচ্ছেন, তা শিক্ষার্থীদের বোঝার উপায় নেই। শিক্ষার্থীদেরও পাঠে মনোযোগ নেই।
মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, মাঠটি দুই বিদ্যালয়ের হলেও অন্যায়ভাবে এটি ইজারা দিয়ে হাট বসানো হচ্ছে। এতে তাঁর বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি পৌরসভার মেয়রকে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান বলে, ‘হাটের শব্দে ক্লাসে শিক্ষকদের পড়া বুঝি না। এইডা বন্ধ হওয়া দরকার।’
মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল হক বলেন, হাটে দোকানিদের ঝগড়াঝাঁটি তাঁর বিদ্যালয়ের ৪০০ শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঠিকমতো পাঠদান করা যাচ্ছে না। হাটের অস্থায়ী দোকানি আবদুর রশিদ বলেন, ‘খাজনা দিয়া দোয়ান দেই। তয় পোলাপাইনের পড়াও নষ্ট হয়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শামিম বকাউল বলেন, পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বৈধভাবে ওই মাঠে হাট বসাচ্ছেন। দোকানিদের কাছ থেকে সামান্য খাজনা পান।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম খান বলেন, তিনি সরেজমিনে দেখেছেন বিদ্যালয়ের মাঠেই হাট বসছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আর বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানিয়েছেন।
মতলব পৌরসভার মেয়র এনামুল হক বলেন, ওই মাঠে আগে থেকেই হাট বসে আসছে। এ জন্য ইজারা দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সেখানে হাট বসানো বন্ধ করা হবে।
বিদ্যালয় দুটি হচ্ছে মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয় ও মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। উপজেলার মুন্সীরহাট এলাকায় ওই দুই বিদ্যালয়ের পাশেই এই মাঠ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৩৪ সালে ৫৭ শতাংশ জায়গায় বিদ্যালয় দুটি স্থাপিত হয়। এর ২৫ শতাংশে ওই দুটি বিদ্যালয় এবং ৩২ শতাংশে মাঠ। মুন্সীরহাট এলাকার বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন অভিযোগ করেন, মতলব পৌর আওয়ামী লীগের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি শামিম বকাউল গত পাঁচ বছর যাবৎ পৌরসভা থেকে ওই মাঠ অবৈধভাবে ইজারা নিয়ে প্রতি শনি ও বুধবার হাট বসাচ্ছেন।
গত বুধবার মুন্সীরহাট এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, দুই বিদ্যালয়ের মাঠটিতে শতাধিক অস্থায়ী দোকান। দোকানিরা জিনিসপত্রের পসরা সাজিয়েছেন। দরদাম করছেন ক্রেতারা। পাশে দুই বিদ্যালয়েই চলছে ক্লাস। ক্রেতা-বিক্রেতাদের শোরগোলে শ্রেণিকক্ষে শিক্ষকেরা কী পড়াচ্ছেন, তা শিক্ষার্থীদের বোঝার উপায় নেই। শিক্ষার্থীদেরও পাঠে মনোযোগ নেই।
মুন্সীরহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. সাখাওয়াত উল্লাহ বলেন, মাঠটি দুই বিদ্যালয়ের হলেও অন্যায়ভাবে এটি ইজারা দিয়ে হাট বসানো হচ্ছে। এতে তাঁর বিদ্যালয়ের ১ হাজার ২০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি পৌরসভার মেয়রকে জানানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান বলে, ‘হাটের শব্দে ক্লাসে শিক্ষকদের পড়া বুঝি না। এইডা বন্ধ হওয়া দরকার।’
মুন্সীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল হক বলেন, হাটে দোকানিদের ঝগড়াঝাঁটি তাঁর বিদ্যালয়ের ৪০০ শিক্ষার্থীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ঠিকমতো পাঠদান করা যাচ্ছে না। হাটের অস্থায়ী দোকানি আবদুর রশিদ বলেন, ‘খাজনা দিয়া দোয়ান দেই। তয় পোলাপাইনের পড়াও নষ্ট হয়।’
অভিযোগ অস্বীকার করে শামিম বকাউল বলেন, পৌরসভা থেকে ইজারা নিয়ে বৈধভাবে ওই মাঠে হাট বসাচ্ছেন। দোকানিদের কাছ থেকে সামান্য খাজনা পান।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রহিম খান বলেন, তিনি সরেজমিনে দেখেছেন বিদ্যালয়ের মাঠেই হাট বসছে। এ ব্যাপারে তিনি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। আর বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকেও জানিয়েছেন।
মতলব পৌরসভার মেয়র এনামুল হক বলেন, ওই মাঠে আগে থেকেই হাট বসে আসছে। এ জন্য ইজারা দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে সমস্যা হয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সেখানে হাট বসানো বন্ধ করা হবে।
No comments