নিরপেক্ষ তদন্ত সংস্থা দরকার- পুলিশ যখন অভিযুক্ত
পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মসহ বিভিন্ন অভিযোগের তদন্ত নিজেরাই করে আসছে এবং তারা তা বজায় রাখতে চায়। পুলিশের বিভিন্ন অভিযোগ তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুটি কমিটি করলে পুলিশের এই মনোভাব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিজেরাই তদন্ত করলে যে খুব কাজে দেয় না, তা পুলিশের দীর্ঘদিনের কর্মকাণ্ডে পরিষ্কার। নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ এ ক্ষেত্রে তাদের ভাবমূর্তি খুব উন্নত করতে পেরেছে, এমনটি বলা যাবে না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন কতটুকু আইনসম্মত ও তা কতটুকু কাজে দেবে, সেটাও বড় প্রশ্ন।
সাধারণভাবে বোঝা যায় যে নিজেদের বিচার নিজেরা করতে গেলে সেখানে ছাড় দেওয়া, পক্ষপাতিত্ব বা বাঁচানোর চেষ্টা থাকা খুবই স্বাভাবিক। কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ সব ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করেছে ও ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন ভাবমূর্তি দুঃখজনকভাবে পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পারেনি। বাইরের কোনো কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তাই দীর্ঘদিনের। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তার মাধ্যমে তা আদৌ পূরণ হবে বলে মনে হয় না।
বর্তমান আইন অনুযায়ী পুলিশের যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের। আইন পরিবর্তন না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তের উদ্যোগ অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে তদন্তের উদ্যোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে পৃথক ও নিরপেক্ষ একটি কমিটির মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো অভিযোগের তদন্তের উদ্যোগ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এতে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত যেমন নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি পুলিশ বাহিনীর ম্রিয়মাণ ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করা সম্ভব।
আমরা মনে করি, বিষয়টি মন্ত্রণালয় বা পুলিশ—এই গণ্ডির মধ্যে বিবেচনা না করে আরও বড় পরিসরে বিবেচনা করা উচিত।
নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিজেরাই তদন্ত করলে যে খুব কাজে দেয় না, তা পুলিশের দীর্ঘদিনের কর্মকাণ্ডে পরিষ্কার। নিজেরা দায়িত্ব নিয়ে পুলিশ এ ক্ষেত্রে তাদের ভাবমূর্তি খুব উন্নত করতে পেরেছে, এমনটি বলা যাবে না। তবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন কতটুকু আইনসম্মত ও তা কতটুকু কাজে দেবে, সেটাও বড় প্রশ্ন।
সাধারণভাবে বোঝা যায় যে নিজেদের বিচার নিজেরা করতে গেলে সেখানে ছাড় দেওয়া, পক্ষপাতিত্ব বা বাঁচানোর চেষ্টা থাকা খুবই স্বাভাবিক। কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের ব্যাপারে পুলিশ সব ক্ষেত্রে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করেছে ও ব্যবস্থা নিয়েছে, এমন ভাবমূর্তি দুঃখজনকভাবে পুলিশ বাহিনী গড়ে তুলতে পারেনি। বাইরের কোনো কমিটির মাধ্যমে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তাই দীর্ঘদিনের। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে তদন্ত কমিটি গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে, তার মাধ্যমে তা আদৌ পূরণ হবে বলে মনে হয় না।
বর্তমান আইন অনুযায়ী পুলিশের যেকোনো সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের। আইন পরিবর্তন না করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্তের উদ্যোগ অকার্যকর হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অন্যদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে তদন্তের উদ্যোগ রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট হওয়ার আশঙ্কাই বেশি, যা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পেশাদারত্ব ও নিরপেক্ষ ভূমিকার ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। ফলে পৃথক ও নিরপেক্ষ একটি কমিটির মাধ্যমে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা যেকোনো অভিযোগের তদন্তের উদ্যোগ নেওয়াই বাঞ্ছনীয়। এতে বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত যেমন নিশ্চিত করা যাবে, তেমনি পুলিশ বাহিনীর ম্রিয়মাণ ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল করা সম্ভব।
আমরা মনে করি, বিষয়টি মন্ত্রণালয় বা পুলিশ—এই গণ্ডির মধ্যে বিবেচনা না করে আরও বড় পরিসরে বিবেচনা করা উচিত।
No comments