বাংলাদেশ পাকিস্তানও হিন্দু রাষ্ট্র: আরএসএস প্রধান
শুধু
ভারত নয়, পুরো ভারতীয় উপমহাদেশই হলো হিন্দু রাষ্ট্র। অন্তত এমনটিই বিশ্বাস
করেন ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস)
প্রধান মোহন ভগবৎ। শুক্রবার ভারতের লক্ষৌর মাথুরার সংঘ প্রশিক্ষণ শিবিরে
বক্তৃতাকালে মোহন ভগবৎ বলেন, ভারত, বাংলাদেশ এমনকি পাকিস্তান হচ্ছে হিন্দু
রাষ্ট্রের অংশ। এ নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। এ খবর দিয়েছে ভারতীয়
পত্রিকা ইন্ডিয়া টুডে। এমন হিন্দুত্ববাদী বাগাড়ম্বরপূর্ন বক্তৃতা আগেও
দিয়েছেন শাসক দল বিজেপির ঘনিষ্ঠ এ কট্টর সংগঠনটির প্রধান। তার ভাষায়, ভারত
একটি হিন্দু রাষ্ট্র। এটি নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকা উচিৎ নয়। আমাদের উচিত এ
বিশ্বাসে অটল থাকা। আমরা অন্য অনেক কিছুতে পরিবর্তিত হতে পারি। কিন্তু ভারত
যে একটি হিন্দু রাষ্ট্র - এ বিশ্বাসকে কোনো মূল্যেই দূরে ঠেলে দেয়া যাবে
না। তিনি আরও বলেন, কিছু মানুষ নিজেদের হিন্দু বলে দাবি করে। কেউ বলে, তারা
ভারতীয়। কিন্তু আরও কিছু মানুষ আছে, যারা নিজেদের আর্য বলে দাবি করে। আবার
অনেকেই বলে, তারা মূর্তি পূজায় বিশ্বাস করে না। অর্থাৎ অনেকে অনেকভাবে
নিজেদের পরিচয় দেয়। কিন্তু ভারতকে হিন্দু রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নিতে এসব
কোনো প্রতিবন্ধক নয়।
এক পর্যায়ে মোহন ভগবৎ বলেন, যারা ভারতীয় উপ-মহাদেশে বসবাস করে, তারা হিন্দু রাষ্ট্রের অন্তর্গত। তাদের হয়তো ভিন্ন নাগরিকত্ব থাকতে পারে। কিন্তু তাদের জাতীয়তা হলো হিন্দু। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি ইতিহাস থেকেও কিছু কথা উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য, আরবরা ‘সা’ কে ‘হা’ বলে উচ্চারণ করতো। তাই আমাদের দেশে সিন্ধু নদ থাকায়, তারা আমাদের হিন্দু বলে ডাকতো। এ অঞ্চল থেকেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান পৃথক হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে হয়েছে বাংলাদেশ। তাই ভিন্ন ভিন্ন এলাকার মানুষের নাগরিকত্ব পাল্টে গেছে। কিন্তু কেউই নিজেদের বাড়িঘর বা দেশ ছেড়ে যায়নি। তাই তাদের সবারই জাতীয়তা এক।
আরএসএস প্রধানের দাবি, কিছু মানুষ মূর্খ, তাই তারা নিজেদের মুসলিম বা খৃষ্টান বলে পরিচয় দেয়। তার মতে, এ অঞ্চলের প্রাচীন নাম হিন্দুস্তান। তাই এখানে যারা বসবাস করে, তারা সবাই হিন্দু। ভগবৎ প্রশিক্ষণার্থী কর্মীদের আরএসএস-এর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিস্থিতি স¤পূর্ন আমাদের অনুকূলে। এখনই সময়। আরএসএস-এর প্রত্যেক শাখার উচিৎ নিজেদের ভিত প্রসারিত করার জন্য কাজ করা। যদি আরও উচু ভবন গড়তে চাই, আমাদের আরও মজবুত ভিত তৈরি করতে হবে। একই অবস্থা আমাদের সংঘ পরিবারেরও। আমাদের তাই নিজেদের মজবুত ভিত তৈরি করতে হবে।
এক পর্যায়ে মোহন ভগবৎ বলেন, যারা ভারতীয় উপ-মহাদেশে বসবাস করে, তারা হিন্দু রাষ্ট্রের অন্তর্গত। তাদের হয়তো ভিন্ন নাগরিকত্ব থাকতে পারে। কিন্তু তাদের জাতীয়তা হলো হিন্দু। নিজের বক্তব্যের স্বপক্ষে তিনি ইতিহাস থেকেও কিছু কথা উল্লেখ করেন। তার ভাষ্য, আরবরা ‘সা’ কে ‘হা’ বলে উচ্চারণ করতো। তাই আমাদের দেশে সিন্ধু নদ থাকায়, তারা আমাদের হিন্দু বলে ডাকতো। এ অঞ্চল থেকেই ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান পৃথক হয়েছে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তান ভেঙ্গে হয়েছে বাংলাদেশ। তাই ভিন্ন ভিন্ন এলাকার মানুষের নাগরিকত্ব পাল্টে গেছে। কিন্তু কেউই নিজেদের বাড়িঘর বা দেশ ছেড়ে যায়নি। তাই তাদের সবারই জাতীয়তা এক।
আরএসএস প্রধানের দাবি, কিছু মানুষ মূর্খ, তাই তারা নিজেদের মুসলিম বা খৃষ্টান বলে পরিচয় দেয়। তার মতে, এ অঞ্চলের প্রাচীন নাম হিন্দুস্তান। তাই এখানে যারা বসবাস করে, তারা সবাই হিন্দু। ভগবৎ প্রশিক্ষণার্থী কর্মীদের আরএসএস-এর আদর্শ ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, পরিস্থিতি স¤পূর্ন আমাদের অনুকূলে। এখনই সময়। আরএসএস-এর প্রত্যেক শাখার উচিৎ নিজেদের ভিত প্রসারিত করার জন্য কাজ করা। যদি আরও উচু ভবন গড়তে চাই, আমাদের আরও মজবুত ভিত তৈরি করতে হবে। একই অবস্থা আমাদের সংঘ পরিবারেরও। আমাদের তাই নিজেদের মজবুত ভিত তৈরি করতে হবে।
No comments