৭০ শতাংশ অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে -সেমিনারে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের তথ্য
জাতীয়
মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেছেন, সম্প্রতি
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে যত অভিযোগ এসেছে তার ৭০ শতাংশই আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে। এর মধ্যে অর্ধেকই নির্যাতন-নিপীড়নের অভিযোগ।
তিনি বলেন, ‘এটা একটা ভয়াবহ দিক। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যদি মনে করে
থাকেন, এমন ভয়াবহ অপরাধ করেও তাঁরা পার পেয়ে যাবেন—তাহলে সেটা হবে চরম ভুল
ভাবনা।’
গতকাল মঙ্গলবার ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগ যথাযথভাবে অনুসন্ধান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছেন, মানবাধিকার কমিশন এমনটি দেখতে চায় না।’
এই সেমিনারে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমন্ত্রণ জানিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের কেউ এখানে আসেননি। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সাদা পোশাকে কাউকে আটক করা যাবে না। কোনো কর্মকর্তা আসামি ধরতে গেলে নিজের পরিচয়পত্র দেখাবেন। আসামিকে ধরার সময় কমপক্ষে দুজন প্রতিবেশীকে সাক্ষী রাখবেন। এরপর ওই আসামিকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে তাঁর পরিবারকে তথ্য দিতে হবে।’
এ বিধানগুলো দেশের প্রচলিত আইনেই আছে। তারপরও এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ দিকনির্দেশনা দাবি করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘১৫ দিন আগে আটক করে আদালতের নেওয়ার সময় তারিখ চেঞ্জ করে বলবেন গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমনটি হলে ওই আসামির জীবন থেকে চলে যাওয়া বাকি ১৪ দিনের জবাব দিতে হবে রাষ্ট্রকে।’
হেফাজতে মৃত্যু বন্ধে করণীয় প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতে মৃত্যু হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে। এ ধরনের বিধান করলে দুদিনের মধ্যে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আলীম। তাতে বলা হয়, হেফাজতে নির্যাতন বা মৃত্যু যাতে না হয় তার জন্য দেশে একটি ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন-২০১৩’ রয়েছে। এই আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি বা কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ মানুষ এই আইন সম্পর্কে জানেন না।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অ্যারোমা দত্ত, রাউল ওয়ালেনবার্গ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস সুইডেনের ভিজিটিং প্রফেসর লিয়াল সুঙ্গাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পিএইচডি গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, এনজিও কর্মকর্তা ও আইনজীবী।
গতকাল মঙ্গলবার ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ: আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক সেমিনারে মিজানুর রহমান এসব কথা বলেন। রাজধানীর ফার্মগেটে ডেইলি স্টার সেন্টারে এক সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আসা সব অভিযোগ যথাযথভাবে অনুসন্ধান করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন পাঠাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীতে রূপান্তরিত হয়ে যাচ্ছেন, মানবাধিকার কমিশন এমনটি দেখতে চায় না।’
এই সেমিনারে দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর কোনো প্রতিনিধি ছিলেন না। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমন্ত্রণ জানিয়ে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাঁদের কেউ এখানে আসেননি। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সাদা পোশাকে কাউকে আটক করা যাবে না। কোনো কর্মকর্তা আসামি ধরতে গেলে নিজের পরিচয়পত্র দেখাবেন। আসামিকে ধরার সময় কমপক্ষে দুজন প্রতিবেশীকে সাক্ষী রাখবেন। এরপর ওই আসামিকে কোথায় নেওয়া হচ্ছে সে সম্পর্কে তাঁর পরিবারকে তথ্য দিতে হবে।’
এ বিধানগুলো দেশের প্রচলিত আইনেই আছে। তারপরও এ বিষয়ে সরকারের বিশেষ দিকনির্দেশনা দাবি করেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘১৫ দিন আগে আটক করে আদালতের নেওয়ার সময় তারিখ চেঞ্জ করে বলবেন গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়েছে, এমনটি হলে ওই আসামির জীবন থেকে চলে যাওয়া বাকি ১৪ দিনের জবাব দিতে হবে রাষ্ট্রকে।’
হেফাজতে মৃত্যু বন্ধে করণীয় প্রসঙ্গে মিজানুর রহমান বলেন, ‘হেফাজতে মৃত্যু হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে অবহিত করতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবিসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে হবে। এ ধরনের বিধান করলে দুদিনের মধ্যে হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা শূন্যের কোটায় নেমে আসবে।’
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আলীম। তাতে বলা হয়, হেফাজতে নির্যাতন বা মৃত্যু যাতে না হয় তার জন্য দেশে একটি ‘নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইন-২০১৩’ রয়েছে। এই আইনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হেফাজতে কারও মৃত্যু হলে দোষী ব্যক্তি বা কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। অথচ বেশির ভাগ মানুষ এই আইন সম্পর্কে জানেন না।
সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য অ্যারোমা দত্ত, রাউল ওয়ালেনবার্গ ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস সুইডেনের ভিজিটিং প্রফেসর লিয়াল সুঙ্গাসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন পিএইচডি গবেষক, মানবাধিকারকর্মী, এনজিও কর্মকর্তা ও আইনজীবী।
No comments