তীরের মাটি কেটে তীর সংরক্ষণ
রাজশাহী নগরের বুলপুর এলাকায় পদ্মা নদীর পাড় সংরক্ষণ করতে পাড়ের মাটি কাটছেন শ্রমিকেরা। ছবি -প্রথম আলো |
পদ্মা
নদীর ভাঙন থেকে রাজশাহী নগরের বুলনপুর এলাকা বাঁচাতে গত বছর ফেলা হয়েছিল
২৪ হাজার ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ। এবার নদীর তীরের মাটি কেটে সেই ব্যাগ
সংরক্ষণ করা হচ্ছে। তীরের মাটি কাটলে বর্ষায় বিপদ আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা
করা হচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর আগেও পদ্মা নদীর এই ধারাটি ছিল প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজশাহীর পবা উপজেলার নবগঙ্গা এলাকায়। সেখান থেকে শহরকে চার কিলোমিটার বাঁয়ে রেখে দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হতো পদ্মা। এখন নগরের গা ঘেঁষে বয়ে যাচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে নগরের শ্রীরামপুর এলাকার টি-গ্রোয়েন পার হয়ে এসেছে। প্রবল স্রোতের কারণে তিন নম্বর ও পাঁচ নম্বর গ্রোয়েন এবং বুলনপুর এলাকার ‘টুবি স্পার’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই স্পার থেকে পশ্চিম দিকে তিন নম্বর গ্রোয়েন পর্যন্ত নদীর পাড় সোজা ছিল। দুই বছরের ভাঙনে উত্তর দিকে জিয়ানগরের মধ্যে ঢুকে গেছে নদী।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গত বছর ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করে। তারা ২৪ হাজার ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পানিতে ফেলে। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জিও ব্যাগগুলো বের হয়ে যায়। প্রকৃতি অনুযায়ী জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পানির নিচে অথবা মাটির নিচে থাকলে ভালো থাকে। সূর্যের আলোর স্পর্শে এলেই এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী পানি কমে ব্যাগ বের হয়ে এলে ঠিকাদার মাটি দিয়ে তা ঢেকে দেবেন।
নদীর তীর সংরক্ষণের এই কাজের অংশ হিসেবে ঠিকাদারের লোকজন কয়েক দিন ধরে মাটি কেটে এই জিও ব্যাগ ঢেকে দেওয়ার কাজ করছেন। প্রথম দিনে নদীর ওপার থেকে নৌকায় করে মাটি এনে ব্যাগের ওপর ফেলা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেখা যায়, নদীর তীরের মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলা হচ্ছে। এমনকি জিও ব্যাগ ও নদীর পানির মাঝামাঝি যে জায়গায় মাটি বের হয়েছে, সেখান থেকেই মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলতে শুরু করেন শ্রমিকেরা। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাঁরা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চার-পাঁচজন শ্রমিক নদীর তীরের মাটি কেটে ব্যাগের ওপরে নিয়ে ফেলছেন। কেন তীরের মাটি কাটছেন জানতে চাইলে তাঁরা কোনো কথা বলতে চাননি। মাটি কাটা বন্ধও করেননি। ঠিকাদারের নাম জানতে চাইলে তাও বলেননি।
শাহীন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এভাবে তীর কাটলে বালুর বস্তা থাকলেও লাভ হবে না। এতে বর্ষায় বিপদ আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, কাজের ঠিকাদার হচ্ছেন কবির হোসেন। তাঁর পক্ষে কাজটি করছেন এনামুল হক নামের আরেকজন ঠিকাদার। নদীর তীরের মাটি কাটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ তাঁরা পাননি। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে এনামুল হকের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাটি ফেলার ছোট কাজটি তাঁরা কবির নামে অপর এক ব্যক্তিকে ‘সাবকন্ট্রাক্ট’ দিয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত তাঁর কাছে খবর আছে, তাঁরা নৌকায় করে মাটি এনে ফেলছেন।
স্থানীয় লোকজন জানান, দুই বছর আগেও পদ্মা নদীর এই ধারাটি ছিল প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিমে রাজশাহীর পবা উপজেলার নবগঙ্গা এলাকায়। সেখান থেকে শহরকে চার কিলোমিটার বাঁয়ে রেখে দক্ষিণ দিক দিয়ে প্রবাহিত হতো পদ্মা। এখন নগরের গা ঘেঁষে বয়ে যাচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে নগরের শ্রীরামপুর এলাকার টি-গ্রোয়েন পার হয়ে এসেছে। প্রবল স্রোতের কারণে তিন নম্বর ও পাঁচ নম্বর গ্রোয়েন এবং বুলনপুর এলাকার ‘টুবি স্পার’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই স্পার থেকে পশ্চিম দিকে তিন নম্বর গ্রোয়েন পর্যন্ত নদীর পাড় সোজা ছিল। দুই বছরের ভাঙনে উত্তর দিকে জিয়ানগরের মধ্যে ঢুকে গেছে নদী।
রাজশাহী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) গত বছর ১ কোটি ১১ লাখ টাকা ব্যয় করে। তারা ২৪ হাজার ৫০০ জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পানিতে ফেলে। নদীর পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে জিও ব্যাগগুলো বের হয়ে যায়। প্রকৃতি অনুযায়ী জিও টেক্সটাইল ব্যাগ পানির নিচে অথবা মাটির নিচে থাকলে ভালো থাকে। সূর্যের আলোর স্পর্শে এলেই এগুলো নষ্ট হয়ে যায়। চুক্তি অনুযায়ী পানি কমে ব্যাগ বের হয়ে এলে ঠিকাদার মাটি দিয়ে তা ঢেকে দেবেন।
নদীর তীর সংরক্ষণের এই কাজের অংশ হিসেবে ঠিকাদারের লোকজন কয়েক দিন ধরে মাটি কেটে এই জিও ব্যাগ ঢেকে দেওয়ার কাজ করছেন। প্রথম দিনে নদীর ওপার থেকে নৌকায় করে মাটি এনে ব্যাগের ওপর ফেলা হয়েছিল। গত বৃহস্পতিবার থেকে দেখা যায়, নদীর তীরের মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলা হচ্ছে। এমনকি জিও ব্যাগ ও নদীর পানির মাঝামাঝি যে জায়গায় মাটি বের হয়েছে, সেখান থেকেই মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলতে শুরু করেন শ্রমিকেরা। স্থানীয় লোকজন এর প্রতিবাদ করলে তাঁরা নদীর তীর থেকে মাটি কেটে ব্যাগের ওপর ফেলেন।
খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চার-পাঁচজন শ্রমিক নদীর তীরের মাটি কেটে ব্যাগের ওপরে নিয়ে ফেলছেন। কেন তীরের মাটি কাটছেন জানতে চাইলে তাঁরা কোনো কথা বলতে চাননি। মাটি কাটা বন্ধও করেননি। ঠিকাদারের নাম জানতে চাইলে তাও বলেননি।
শাহীন নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এভাবে তীর কাটলে বালুর বস্তা থাকলেও লাভ হবে না। এতে বর্ষায় বিপদ আরও বাড়বে।
জানতে চাইলে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী হারুন অর রশিদ বলেন, কাজের ঠিকাদার হচ্ছেন কবির হোসেন। তাঁর পক্ষে কাজটি করছেন এনামুল হক নামের আরেকজন ঠিকাদার। নদীর তীরের মাটি কাটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এ ধরনের অভিযোগ তাঁরা পাননি। বিষয়টি তাঁরা খতিয়ে দেখবেন।
নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছ থেকে এনামুল হকের মুঠোফোন নম্বর নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মাটি ফেলার ছোট কাজটি তাঁরা কবির নামে অপর এক ব্যক্তিকে ‘সাবকন্ট্রাক্ট’ দিয়েছেন। বুধবার পর্যন্ত তাঁর কাছে খবর আছে, তাঁরা নৌকায় করে মাটি এনে ফেলছেন।
No comments