সরকারি সম্পত্তি দখল করলেন যুবলীগ নেতা
খুলনার ফুলতলায় যশোর–খুলনা প্রধান সড়কের পাশে ভবনসহ এই খাসজমি দখল করে নিয়েছেন যুবলীগের এক নেতা। সম্প্রতি তোলা ছবি l প্রথম আলো |
খুলনার
ফুলতলায় জেলা যুবলীগের এক নেতা সরকারি সম্পত্তি দখল করেছেন বলে অভিযোগ
পাওয়া গেছে। উপজেলার দামোদর ইউনিয়ন সদরে পরিত্যক্ত উপজেলা স্কাউট ভবন দখল
করে তিনি মেরামত শুরু করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়া আহসান তুহিন ৭ জুন সকালে স্কাউট ভবনের তালা ভেঙে মিস্ত্রি দিয়ে মেরামত শুরু করেন। পরদিন বেলা একটার দিকে দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিতা পারভিনের নেতৃত্বে স্থানীয় জনগণ ওই কাজ বন্ধ করে ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে জিয়া আহসান লোকজন নিয়ে আবারও তালা ভেঙে মেরামতকাজ শুরু করেন। এর আগে ওই ভবনের সামনে ‘এটি সরকারি সম্পত্তি’ লেখা সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে সাইনবোর্ডটি দেখা যাচ্ছে না।
জিয়া আহসান জেলা যুবলীগের সহসভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জালাল।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, দামোদর ইউনিয়নের মন্টু ডাক্তারের বাড়ির সামনে ও নাট মন্দিরের পাশে মোট জমির পরিমাণ প্রায় ২৯ শতক। এ জমির মালিকদের কেউ এ দেশে নেই। ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে পরিত্যক্ত ওই সম্পত্তি সরকার খাস হিসেবে নিয়ে নেয়। এরপর ওই জমির ১৫ শতক উপজেলা স্কাউট ভবন নির্মাণের জন্য এবং বাকি ১৪ শতক সবুজ সংঘ নামের একটি ক্লাবের নামে ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। একপর্যায়ে স্কাউট ভবনটি নির্মিত হয়। পরে স্কাউটের কার্যালয় উপজেলা পরিষদে স্থানান্তরিত হলে ভবনটি পড়ে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া আহসান ওই সম্পত্তি নিজের দাবি করে ইটের সীমানাপ্রাচীর তৈরি করেন। ওই মাসেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রাচীর ভেঙে ভবনে তালা লাগিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। চলতি মাসে আবার জিয়া আহসান লোকজন নিয়ে কাজ শুরু করেন।
জানতে চাইলে জিয়া আহসান বলেন, জমির মালিক ছিলেন কৃষ্ণপদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি জমি ছেড়ে চলে গেলে সরকার ওই জমি খাস হিসেবে নিয়ে নেয়। ২০১৩ সালে জমিটি খাস থেকে অবমুক্ত হয়। এরপর জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জমিটি তিনি কিনে নেন। ফেব্রুয়ারি মাসে ভবন মেরামতের কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। পরে আদালতে তিনি মামলা করলে জমির মালিকানার রায় তাঁর পক্ষে আসে।
জমির মালিকানার রায় পাওয়ার কাগজপত্র জিয়া আহসান এই প্রতিবেদককে দেখাবেন বলেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন সময় নিয়েও তিনি কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ইউএনও লুলু বিলকিস বানু বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ভবনটি সিলগালা করে দিই এবং “জমিটি সরকারি সম্পত্তি লেখা” একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিই। শুনেছি, ওই সম্পত্তি আবার দখল করে ভবন মেরামত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাদের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি জিয়া আহসান তুহিন ৭ জুন সকালে স্কাউট ভবনের তালা ভেঙে মিস্ত্রি দিয়ে মেরামত শুরু করেন। পরদিন বেলা একটার দিকে দামোদর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিতা পারভিনের নেতৃত্বে স্থানীয় জনগণ ওই কাজ বন্ধ করে ভবনে তালা লাগিয়ে দেন। গত মঙ্গলবার সকাল থেকে জিয়া আহসান লোকজন নিয়ে আবারও তালা ভেঙে মেরামতকাজ শুরু করেন। এর আগে ওই ভবনের সামনে ‘এটি সরকারি সম্পত্তি’ লেখা সাইনবোর্ড ছিল। কিন্তু প্রায় এক মাস ধরে সাইনবোর্ডটি দেখা যাচ্ছে না।
জিয়া আহসান জেলা যুবলীগের সহসভাপতি বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান জালাল।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আকরাম হোসেন বলেন, দামোদর ইউনিয়নের মন্টু ডাক্তারের বাড়ির সামনে ও নাট মন্দিরের পাশে মোট জমির পরিমাণ প্রায় ২৯ শতক। এ জমির মালিকদের কেউ এ দেশে নেই। ১৯৯৭-৯৮ সালের দিকে পরিত্যক্ত ওই সম্পত্তি সরকার খাস হিসেবে নিয়ে নেয়। এরপর ওই জমির ১৫ শতক উপজেলা স্কাউট ভবন নির্মাণের জন্য এবং বাকি ১৪ শতক সবুজ সংঘ নামের একটি ক্লাবের নামে ইজারা দেয় উপজেলা প্রশাসন। একপর্যায়ে স্কাউট ভবনটি নির্মিত হয়। পরে স্কাউটের কার্যালয় উপজেলা পরিষদে স্থানান্তরিত হলে ভবনটি পড়ে থাকে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জিয়া আহসান ওই সম্পত্তি নিজের দাবি করে ইটের সীমানাপ্রাচীর তৈরি করেন। ওই মাসেই জেলা প্রশাসকের নির্দেশে প্রাচীর ভেঙে ভবনে তালা লাগিয়ে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। চলতি মাসে আবার জিয়া আহসান লোকজন নিয়ে কাজ শুরু করেন।
জানতে চাইলে জিয়া আহসান বলেন, জমির মালিক ছিলেন কৃষ্ণপদ নামের এক ব্যক্তি। তিনি জমি ছেড়ে চলে গেলে সরকার ওই জমি খাস হিসেবে নিয়ে নেয়। ২০১৩ সালে জমিটি খাস থেকে অবমুক্ত হয়। এরপর জমির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে জমিটি তিনি কিনে নেন। ফেব্রুয়ারি মাসে ভবন মেরামতের কাজ শুরু করতে গেলে স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। পরে আদালতে তিনি মামলা করলে জমির মালিকানার রায় তাঁর পক্ষে আসে।
জমির মালিকানার রায় পাওয়ার কাগজপত্র জিয়া আহসান এই প্রতিবেদককে দেখাবেন বলেছিলেন। কিন্তু কয়েক দিন সময় নিয়েও তিনি কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ইউএনও লুলু বিলকিস বানু বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের নির্দেশে আমরা ভবনটি সিলগালা করে দিই এবং “জমিটি সরকারি সম্পত্তি লেখা” একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিই। শুনেছি, ওই সম্পত্তি আবার দখল করে ভবন মেরামত করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে। তাদের নির্দেশ পেলে ব্যবস্থা নেব।’
No comments