কেইপিজেড নিয়ে অনিশ্চয়তা ভুল বার্তা দেবে -সাক্ষাৎকারে : লি ইয়ুন ইয়াং by রাহীদ এজাজ
জমির
মালিকানা হস্তান্তরের সুরাহা না হওয়ায় চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ইয়াংওয়ান
গ্রুপের কেইপিজেডের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা কাটছে না। কেইপিজেড নিয়ে অনিশ্চয়তা
বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে। ঢাকায় নিযুক্ত দক্ষিণ
কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি ইয়ুন ইয়াং মনে করেন, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত
দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ বিকাশ ও সুরক্ষা চুক্তিতেই এর সমাধান আছে।
গত শনিবার দুপুরে লি ইয়ুন ইয়াং তাঁর বাসায় প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বার্থে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ইপিজেড প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর মত দেন।
প্রথম আলো: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেইপিজেডের জমি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কবে, কখন জেনেছেন?
লি ইয়ুন ইয়াং: আপনাদের কাগজ পড়ে বিষয়টি জেনেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানতে পারিনি। সরকারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইব। আমার ধারণা, কেইপিজেডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বিভ্রান্তি রয়েছে। আপনি এখন সেখানে গেলে দেখতে পাবেন উন্নয়নের বাস্তবতাটা কী। কেইপিজেডকে দেওয়া আড়াই হাজার একর জমির মধ্যে আইনসম্মতভাবে ১ হাজার ২০০ একর উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাজার খানেক একরের উন্নয়নকাজ এর মধ্যেই শেষ হয়েছে। ৮৩ শতাংশ জমির উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে কিংবা হওয়ার পথে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বলা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ জমির উন্নয়ন কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে যে অভিযোগ সরকার করছে, তা সঠিক নয়। ইতিমধ্যে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন শুরু করেছে। সেখানে উৎপাদিত জুতা, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য ইতিমধ্যেই রপ্তানি করা হয়েছে। এ মুহূর্তে সেখানে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যে সংখ্যা আগামী বছরের শেষে ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে কেইপিজেডের পুরো উন্নয়নকাজ শেষ হলে এক লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। আর বিশেষায়িত রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলটি থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা যাবে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত মানের টেক্সটাইল আমদানি করে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উন্নয়নকে টেকসই রাখতে কেইপিজেডে উন্নত মানের টেক্সটাইল কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডে বিভিন্ন দেশ ও তাদের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের উৎসাহের কথা শোনা যায়। এ তালিকায় কারা আছে?
লি ইয়ুন ইয়াং: দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এলজি ছাড়াও জাপান ও ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা কেইপিজেড ঘুরে দেখার পর সেখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁদের উৎসাহের কথা জানান। বিশেষ করে সেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা তাঁদের আকৃষ্ট করেছে। রাষ্ট্রদূতেরাই জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবেন। তাঁদের মতে, কেইপিজেডের সাফল্য বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি মডেল হতে পারে। আর এখানকার সাফল্য অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডের পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত কিংবা বিনিয়োগকারীরা অনেক আগ্রহ আর উৎসাহের কথা বলছেন। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা তো মেটেনি। এ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেননি?
লি ইয়ুন ইয়াং: অবশ্যই তুলেছেন। যখনই কেউ আগ্রহ দেখিয়েছেন, তখনই তাঁরা জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেছেন। কারণ, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তো এখনো কাটেনি। দেখুন প্রজ্ঞাপনে কেইপিজেডকে জমির মালিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু যখনই নতুন বিনিয়োগকারীকে জমি লিজ দেওয়ার বিষয়টি আসে, তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে ছুটতে হয়।
প্রথম আলো: জমি নিয়ে সমস্যার জন্যই কি স্যামসাং এ দেশে বিনিয়োগ করতে আসছে না?
লি ইয়ুন ইয়াং: এটি নিঃসন্দেহে অন্যতম কারণ। দেখুন, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ২০০৯-১০ সাল থেকে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ শুরু করে। গত বছরে ভিয়েতনামের একটি কারখানা থেকেই স্যামসাং প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, স্যামসাংয়ের সাফল্য দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠানকে ভিয়েতনাম যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এ মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩০০০ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। গত বছর ভিয়েতনাম থেকে ১৩২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করেছে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
প্রথম আলো: তাহলেকি স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে না?
লি ইয়ুন ইয়াং: স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে স্যামসাং দ্বিধায় আছে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডকে ঘিরে অনিশ্চয়তা অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে কী বার্তা দেবে?
লি ইয়ুন ইয়াং: এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত ভুল বার্তা দেবে। বিনিয়োগকারীরা অন্যের সাফল্য দেখতে চান। তবেই তাঁরা আসার কথা ভাববেন। কেইপিজেডের সঙ্গে জমি নিয়ে সরকারের যে বিরোধ, তা অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে।
প্রথম আলো: দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দেখতে চান?
লি ইয়ুন ইয়াং: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ৩৫ বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের হাতে হাত রেখে তৈরি পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছেন। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনে আমরা গর্ব বোধ করি। তৈরি পোশাকের আজকের যে সাফল্য, শুরুতে তো দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া চীন, জাপান, ভারত কেউই এগিয়ে আসেনি। তাই প্রতীকী কিংবা বাস্তবের নিরিখে যেভাবেই দেখা হোক না কেন, কেইপিজেড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি পোশাকের সাফল্যের পর কেইপিজেড দিয়ে আমরা বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্যগাথা দেখতে চাই। কারণ ইলেকট্রনিকস, জাহাজ নির্মাণসহ অনেক শিল্পেই আমরা শীর্ষে রয়েছি। দুই দেশের অংশীদারত্ব আমাদের সাফল্যের নতুন পথে নিয়ে যাবে।
গত শনিবার দুপুরে লি ইয়ুন ইয়াং তাঁর বাসায় প্রথম আলোর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় দুই দেশের বন্ধুত্বের স্বার্থে বাংলাদেশের প্রথম বেসরকারি ইপিজেড প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর মত দেন।
প্রথম আলো: সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে কেইপিজেডের জমি ফিরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে কবে, কখন জেনেছেন?
লি ইয়ুন ইয়াং: আপনাদের কাগজ পড়ে বিষয়টি জেনেছি। সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কিছু জানতে পারিনি। সরকারের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইব। আমার ধারণা, কেইপিজেডের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে বিভ্রান্তি রয়েছে। আপনি এখন সেখানে গেলে দেখতে পাবেন উন্নয়নের বাস্তবতাটা কী। কেইপিজেডকে দেওয়া আড়াই হাজার একর জমির মধ্যে আইনসম্মতভাবে ১ হাজার ২০০ একর উন্নয়নের জন্য দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে হাজার খানেক একরের উন্নয়নকাজ এর মধ্যেই শেষ হয়েছে। ৮৩ শতাংশ জমির উন্নয়নকাজ শেষ হয়েছে কিংবা হওয়ার পথে। এ বিষয়টি বিবেচনায় নিলে বলা যায়, দীর্ঘদিন ধরে কেইপিজেড কর্তৃপক্ষ জমির উন্নয়ন কাজ শেষ করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে যে অভিযোগ সরকার করছে, তা সঠিক নয়। ইতিমধ্যে সেখানকার প্রতিষ্ঠানগুলো উৎপাদন শুরু করেছে। সেখানে উৎপাদিত জুতা, তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য ইতিমধ্যেই রপ্তানি করা হয়েছে। এ মুহূর্তে সেখানে ১০ হাজারের বেশি শ্রমিক কাজ করছেন, যে সংখ্যা আগামী বছরের শেষে ২০ হাজার ছাড়িয়ে যাবে।
আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে কেইপিজেডের পুরো উন্নয়নকাজ শেষ হলে এক লাখ শ্রমিকের কর্মসংস্থান হবে। আর বিশেষায়িত রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলটি থেকে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানি করা যাবে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক উৎপাদনের জন্য চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উন্নত মানের টেক্সটাইল আমদানি করে। এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের উন্নয়নকে টেকসই রাখতে কেইপিজেডে উন্নত মানের টেক্সটাইল কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডে বিভিন্ন দেশ ও তাদের খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিনিয়োগের উৎসাহের কথা শোনা যায়। এ তালিকায় কারা আছে?
লি ইয়ুন ইয়াং: দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এলজি ছাড়াও জাপান ও ভারতের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছেন। এ ছাড়া সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নরওয়ে, নেদারল্যান্ডসসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকেরা কেইপিজেড ঘুরে দেখার পর সেখানে বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁদের উৎসাহের কথা জানান। বিশেষ করে সেখানে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারে পরিবেশবান্ধব উৎপাদনব্যবস্থা তাঁদের আকৃষ্ট করেছে। রাষ্ট্রদূতেরাই জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসতে উৎসাহিত করবেন। তাঁদের মতে, কেইপিজেডের সাফল্য বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি মডেল হতে পারে। আর এখানকার সাফল্য অন্যদেরও উৎসাহিত করতে পারে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডের পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত কিংবা বিনিয়োগকারীরা অনেক আগ্রহ আর উৎসাহের কথা বলছেন। কিন্তু জমির মালিকানা নিয়ে সমস্যা তো মেটেনি। এ বিষয়টি নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেননি?
লি ইয়ুন ইয়াং: অবশ্যই তুলেছেন। যখনই কেউ আগ্রহ দেখিয়েছেন, তখনই তাঁরা জমির মালিকানা নিয়ে কথা বলেছেন। কারণ, এ নিয়ে অনিশ্চয়তা তো এখনো কাটেনি। দেখুন প্রজ্ঞাপনে কেইপিজেডকে জমির মালিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু যখনই নতুন বিনিয়োগকারীকে জমি লিজ দেওয়ার বিষয়টি আসে, তখন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকের কাছে ছুটতে হয়।
প্রথম আলো: জমি নিয়ে সমস্যার জন্যই কি স্যামসাং এ দেশে বিনিয়োগ করতে আসছে না?
লি ইয়ুন ইয়াং: এটি নিঃসন্দেহে অন্যতম কারণ। দেখুন, স্যামসাং ইলেকট্রনিকস ২০০৯-১০ সাল থেকে ভিয়েতনামে বিনিয়োগ শুরু করে। গত বছরে ভিয়েতনামের একটি কারখানা থেকেই স্যামসাং প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি করেছিল। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, স্যামসাংয়ের সাফল্য দক্ষিণ কোরিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠানকে ভিয়েতনাম যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এ মুহূর্তে ভিয়েতনামে ৩০০০ দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। গত বছর ভিয়েতনাম থেকে ১৩২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করা হয়। এর মধ্যে কোরিয়ার ব্যবসায়ীরা রপ্তানি করেছে ৪০ বিলিয়ন ডলার।
প্রথম আলো: তাহলেকি স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে না?
লি ইয়ুন ইয়াং: স্যামসাং বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করার ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। তবে এ মুহূর্তে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে স্যামসাং দ্বিধায় আছে।
প্রথম আলো: কেইপিজেডকে ঘিরে অনিশ্চয়তা অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে কী বার্তা দেবে?
লি ইয়ুন ইয়াং: এই অনিশ্চয়তা বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত ভুল বার্তা দেবে। বিনিয়োগকারীরা অন্যের সাফল্য দেখতে চান। তবেই তাঁরা আসার কথা ভাববেন। কেইপিজেডের সঙ্গে জমি নিয়ে সরকারের যে বিরোধ, তা অন্য বিনিয়োগকারীদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছে দেবে।
প্রথম আলো: দুই দেশের সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে পুরো বিষয়টিকে কীভাবে দেখতে চান?
লি ইয়ুন ইয়াং: বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় অংশীদার হওয়াই আমাদের লক্ষ্য। ৩৫ বছর ধরে দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের হাতে হাত রেখে তৈরি পোশাকশিল্পকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রেখেছেন। তাই বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পোশাক রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্জনে আমরা গর্ব বোধ করি। তৈরি পোশাকের আজকের যে সাফল্য, শুরুতে তো দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়া চীন, জাপান, ভারত কেউই এগিয়ে আসেনি। তাই প্রতীকী কিংবা বাস্তবের নিরিখে যেভাবেই দেখা হোক না কেন, কেইপিজেড অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তৈরি পোশাকের সাফল্যের পর কেইপিজেড দিয়ে আমরা বাংলাদেশের আরেকটি সাফল্যগাথা দেখতে চাই। কারণ ইলেকট্রনিকস, জাহাজ নির্মাণসহ অনেক শিল্পেই আমরা শীর্ষে রয়েছি। দুই দেশের অংশীদারত্ব আমাদের সাফল্যের নতুন পথে নিয়ে যাবে।
No comments