স্কুলের রাসায়নিক চুরি করে অপহরণের পরিকল্পনা!
তাদের পাঁচজনই বগুড়া জিলা স্কুলের শিক্ষার্থী। আরেকজন আদমদীঘির একটি স্কুলের শিক্ষার্থী। তিনজনের বাবা সেনা সদস্য, একজনের বাবা বিজিবি সদস্য, অন্যজনের বাবা ব্যবসায়ী। এ কিশোরেরাই বিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে প্রায় চার লাখ টাকার রাসায়নিক ও ব্যবহারিক উপকরণ চুরি করেছে। এর পর সেগুলো দিয়ে অপহরণের পরিকল্পনাও করেছে। শোরুম থেকে মুঠোফোন চুরির চেষ্টাও করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধরা পড়ার পর পুলিশকে এমন তথ্যই দিয়েছে ছয় কিশোর। জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের তিনজন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, দুজন নবম শ্রেণিতে পড়ে। আরেকজন আদমদীঘির কড়ইকাদেরি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে প্রতিদিনই মূল্যবান রাসায়নিক উপকরণ ও ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছিল। এ সময় অন্তত চার লাখ টাকার ব্যবহারিক উপকরণ ও যন্ত্রপাতি চুরি হয়। কিন্তু কোনোভাবেই চোর ধরা যাচ্ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনের বেলা গবেষণাগারে চুরি করতে দিয়ে আদমদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়ে। ধরা পড়ার সে অন্যদের কথাও জানায়। পরে তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) নাজির আহমেদ খানের ভাষ্য, আটক একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই বগুড়া জিলা স্কুলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের সবাই অকপটে চুরির কথা স্বীকার করে। তাদের দুজন জানায়, কিছুদিনের মধ্যে তাদের একজনের বাসার ভাড়াটিয়ার দুই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনাও ছিল তাদের। ছয়জনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, তারা দুদিন আগে বিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে চুরি করা ক্লোরোফরম নিয়ে শহরের জ্বলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড় এলাকায় একটি দোকানে মুঠোফোন চুরি করতে যায়। কিন্তু অল্পের জন্য সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ধরা পড়ার পর পুলিশকে এমন তথ্যই দিয়েছে ছয় কিশোর। জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীদের তিনজন দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, দুজন নবম শ্রেণিতে পড়ে। আরেকজন আদমদীঘির কড়ইকাদেরি উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণিতে পড়ে।
বগুড়া জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক রমজান আলী প্রথম আলোকে বলেন, কয়েক মাস ধরে বিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে প্রতিদিনই মূল্যবান রাসায়নিক উপকরণ ও ব্যবহারিক যন্ত্রপাতি চুরি হচ্ছিল। এ সময় অন্তত চার লাখ টাকার ব্যবহারিক উপকরণ ও যন্ত্রপাতি চুরি হয়। কিন্তু কোনোভাবেই চোর ধরা যাচ্ছিল না।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনের বেলা গবেষণাগারে চুরি করতে দিয়ে আদমদীঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থী হাতেনাতে ধরা পড়ে। ধরা পড়ার সে অন্যদের কথাও জানায়। পরে তাকে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বগুড়ার সহকারী পুলিশ সুপার (এ সার্কেল) নাজির আহমেদ খানের ভাষ্য, আটক একজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতেই বগুড়া জিলা স্কুলের পাঁচ শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। আটকের পর তাদের সবাই অকপটে চুরির কথা স্বীকার করে। তাদের দুজন জানায়, কিছুদিনের মধ্যে তাদের একজনের বাসার ভাড়াটিয়ার দুই বছরের ছেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের পরিকল্পনাও ছিল তাদের। ছয়জনের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, তারা দুদিন আগে বিদ্যালয়ের গবেষণাগার থেকে চুরি করা ক্লোরোফরম নিয়ে শহরের জ্বলেশ্বরীতলা কালিবাড়ি মোড় এলাকায় একটি দোকানে মুঠোফোন চুরি করতে যায়। কিন্তু অল্পের জন্য সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল বাসার বলেন, ছয় ছাত্রের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
No comments