বিদেশ থেকে ঋণ নিতেই বেশি আগ্রহী উদ্যোক্তারা by সুজয় মহাজন
বেসরকারি
খাতে বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। দেশের ব্যাংক খাতের
পরিবর্তে অনেক উদ্যোক্তাই এখন বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণে অনেক বেশি আগ্রহী
হচ্ছেন।
বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিদেশ থেকে ১৮৩ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ করেছেন এ দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা। ১২৬টি প্রকল্প প্রস্তাবের বিপরীতে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড ‘বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন-২০১৫’ প্রকাশকালে বৈদেশিক ঋণ-সংক্রান্ত এ তথ্য দিয়েছে। গত বুধবার বিনিয়োগ বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন। বিনিয়োগ বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দেশীয় ব্যাংকগুলোর ঋণের ‘উচ্চ সুদ’কে দায়ী করেছেন। তাঁরা বলছেন, দেশীয় ব্যাংকগুলো থেকে চড়া সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের ঋণের যে সুদহার তা কোনোভাবেই বিনিয়োগবান্ধব নয়। তাই যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ করছেন। রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসায়ীদের জন্য এ ধরনের সুযোগ খুবই আকর্ষণীয়।
বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৭৫৯ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন এ দেশের উদ্যোক্তারা। মোট ৪৩২টি প্রকল্পের বিপরীতে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে এ ধরনের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০১৪ সালে পুরো বছরে যেখানে ১৮৩ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের ঋণ এসেছে, সেখানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ ঋণ ছাড়িয়ে গেছে প্রায় ১৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের একমাত্র কারণ দেশীয় ঋণের উচ্চ সুদ। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ ধরনের ঋণ গ্রহণের অনুমতি দিচ্ছে। এ ধরনের ঋণের এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ দিক নেই। তবে বিদেশ থেকে ঋণ এনে তা ব্যবসায়ীরা কোন খাতে ব্যবহার করছেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো নজরদারি থাকা উচিত।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এ ধরনের কম সুদের বিদেশি ঋণকে কোনোভাবে নির্মাণ খাতে ব্যয় করতে দেওয়া উচিত নয়। শুধু উৎপাদন খাতে এ ধরনের ঋণের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের ঋণ গ্রহণের সুবিধা সবাইকে ঢালাওভাবে দেওয়া ঠিক হবে না। যদি কোনো ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ এনে তা দিয়ে দেশীয় ঋণ শোধ করেন, তাহলে তাতে কোনো লাভ হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে তা বিদেশেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় খাটাচ্ছেন। সেই আয় দিয়ে ঋণের সুদ মেটাচ্ছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ এ ধরনের ঋণ নিয়েছে। কেউ কেউ ঋণের টাকায় জাহাজ কিনে তা বিদেশের মাটিতেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯১, ১৪৭ ও ১১৮ কোটি মার্কিন ডলার। সংস্থা দুটি বলছে, এ ধরনের ঋণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সম্পূরক হিসেবেও কাজ করছে।
বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে বিদেশ থেকে ১৮৩ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি ঋণ করেছেন এ দেশের বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীরা। ১২৬টি প্রকল্প প্রস্তাবের বিপরীতে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে।
জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলনবিষয়ক সংস্থা আঙ্কটাড ‘বিশ্ব বিনিয়োগ প্রতিবেদন-২০১৫’ প্রকাশকালে বৈদেশিক ঋণ-সংক্রান্ত এ তথ্য দিয়েছে। গত বুধবার বিনিয়োগ বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন। বিনিয়োগ বোর্ডসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা দেশীয় ব্যাংকগুলোর ঋণের ‘উচ্চ সুদ’কে দায়ী করেছেন। তাঁরা বলছেন, দেশীয় ব্যাংকগুলো থেকে চড়া সুদে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকের ঋণের যে সুদহার তা কোনোভাবেই বিনিয়োগবান্ধব নয়। তাই যাঁদের সামর্থ্য আছে, তাঁরা বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ করছেন। রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত ব্যবসায়ীদের জন্য এ ধরনের সুযোগ খুবই আকর্ষণীয়।
বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মোট ৭৫৯ কোটি ৩৭ লাখ মার্কিন ডলারের বেশি বিদেশি ঋণ নিয়েছেন এ দেশের উদ্যোক্তারা। মোট ৪৩২টি প্রকল্পের বিপরীতে এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। ২০১০ সালের পর থেকে এ ধরনের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। ২০১৪ সালে পুরো বছরে যেখানে ১৮৩ কোটি ৫২ লাখ মার্কিন ডলারের ঋণ এসেছে, সেখানে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এ ঋণ ছাড়িয়ে গেছে প্রায় ১৪২ কোটি মার্কিন ডলার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিদেশ থেকে ঋণ গ্রহণের একমাত্র কারণ দেশীয় ঋণের উচ্চ সুদ। বাংলাদেশ ব্যাংকও এ ধরনের ঋণ গ্রহণের অনুমতি দিচ্ছে। এ ধরনের ঋণের এখন পর্যন্ত কোনো খারাপ দিক নেই। তবে বিদেশ থেকে ঋণ এনে তা ব্যবসায়ীরা কোন খাতে ব্যবহার করছেন, সে ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জোরালো নজরদারি থাকা উচিত।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এ ধরনের কম সুদের বিদেশি ঋণকে কোনোভাবে নির্মাণ খাতে ব্যয় করতে দেওয়া উচিত নয়। শুধু উৎপাদন খাতে এ ধরনের ঋণের ব্যবহার সীমিত রাখতে হবে। পাশাপাশি এ ধরনের ঋণ গ্রহণের সুবিধা সবাইকে ঢালাওভাবে দেওয়া ঠিক হবে না। যদি কোনো ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে কম সুদে ঋণ এনে তা দিয়ে দেশীয় ঋণ শোধ করেন, তাহলে তাতে কোনো লাভ হবে না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশের অনেক ব্যবসায়ী বিদেশ থেকে ঋণ নিয়ে তা বিদেশেই বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় খাটাচ্ছেন। সেই আয় দিয়ে ঋণের সুদ মেটাচ্ছেন। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি শিল্প গ্রুপ এ ধরনের ঋণ নিয়েছে। কেউ কেউ ঋণের টাকায় জাহাজ কিনে তা বিদেশের মাটিতেই বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করছেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিনিয়োগ বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ২০১০ সালে বেসরকারি খাতে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৩০ কোটি ২৮ লাখ মার্কিন ডলার। ২০১১ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ৯১, ১৪৭ ও ১১৮ কোটি মার্কিন ডলার। সংস্থা দুটি বলছে, এ ধরনের ঋণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের সম্পূরক হিসেবেও কাজ করছে।
No comments