সু চির প্রার্থী হওয়ার সুযোগ শেষ!
নেপিডোয় গতকাল পার্লামেন্ট অধিবেশনে প্রবেশ করার জন্য নাম নিবন্ধন করছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেতা ও ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারপারসন অং সান সু চি l ছবি: এএফপি |
মিয়ানমারে
সাংবিধানিক পরিবর্তনের বিষয়ে সেনাবাহিনীর ভেটোক্ষমতা থেকেই গেল। গতকাল
বৃহস্পতিবার পার্লামেন্টে এ বিষয়ক বিলটি পাস হয়নি। এটি পাস হলে সংবিধান
সংশোধনের মাধ্যমে দেশটির গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পথ সুগম হতো। খবর এএফপির।
নির্বাচিত এমপি ও সেনাবাহিনীর মনোনীত কর্মকর্তাদের মধ্যে টানা তিন দিন আলোচনা চলার পর গতকাল খসড়া সংশোধনীর ওপরে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। বিলটি পাস হলে মিয়ানমারের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান দুর্বল হতো। এটি বাতিল হওয়ার ঘটনাকে সু চির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভোটাভুটির এই ফলে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নিভে গেল। কারণ, মিয়ানমারের সংবিধানের একটি জায়গায় বলা আছে, কারও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকা সন্তান থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। সু চির ছেলেরা যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
নিয়মানুযায়ী মিয়ানমারের ৬৬৪ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টে বিলটি পাসের জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ আইনপ্রণেতার সমর্থনের দরকার ছিল। কিন্তু বিলটির পক্ষে পড়ে মাত্র ৩৮৮ ভোট। এরপর স্পিকার শোয়ে মান আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিলটি ‘বিধিবদ্ধ হলো না’।
মিয়ানমারে ২০১১ সালে দীর্ঘদিনের প্রত্যক্ষ সামরিক শাসনের অবসান ঘটার পর নানা গণতন্ত্রমুখী সংস্কার শুরু হয়। তবে এখনো দেশটির নিয়ন্ত্রণক্ষমতা সাবেক ও বর্তমান জেনারেলদের হাতেই। পার্লামেন্টেও তাঁদের প্রতিনিধিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, দেশটির সেনাবাহিনী তার ক্ষমতা আরও কমানোর ব্যাপারে সামান্যতম ছাড় দিতে রাজি নয়।
তবে ভোটাভুটির পর সু চি মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘আশা না হারানো’র আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন থেকে বিরোধীরা পিছু হটবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ওই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিই (এনএলডি) বিরাট ব্যবধানে জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে ওই নির্বাচনকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল পার্লামেন্টে যে খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়, তাতে সু চির প্রার্থী হওয়ার অন্তরায়-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের ওপর কোনো বিতর্ক করার সুযোগ ছিল না। মূলত সংবিধানের ৪৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার জন্য ওই বিল তোলা হয়। ওই অনুচ্ছেদ বলছে, বড় ধরনের সাংবিধানিক পরিবর্তন আনতে হলে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে। এর মাধ্যমে পার্লামেন্টের অনির্বাচিত সেনাসদস্যদের চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। গতকাল তোলা বিলে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার শর্ত ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
গতকালের ভোটাভুটিতে বিলটি যে পাস হবে না, সেটি আগে থেকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তারপরও ভোটাভুটির ফল প্রকাশের পর স্তব্ধ হয়ে যান আইনপ্রণেতারা।
৪৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা যুক্তি দেখিয়ে আসছিলেন পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর মনোনীত এমপিরা। গতকাল ভোটাভুটির আগেও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টিন সান নাইং সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রস্তাবিত পরিবর্তন ‘উপযোগী নয়’। কারণ, মিয়ানমারের গণতন্ত্র এখনো ‘সদ্যোজাত পর্যায়ে’ রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো তার সংবিধানের রক্ষাকর্তার ভূমিকা আঁকড়ে ধরে রাখার পক্ষে।
নির্বাচিত এমপি ও সেনাবাহিনীর মনোনীত কর্মকর্তাদের মধ্যে টানা তিন দিন আলোচনা চলার পর গতকাল খসড়া সংশোধনীর ওপরে ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। বিলটি পাস হলে মিয়ানমারের রাজনীতিতে সেনাবাহিনীর অবস্থান দুর্বল হতো। এটি বাতিল হওয়ার ঘটনাকে সু চির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে চূড়ান্ত আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভোটাভুটির এই ফলে শান্তিতে নোবেলজয়ী সু চির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা কার্যত নিভে গেল। কারণ, মিয়ানমারের সংবিধানের একটি জায়গায় বলা আছে, কারও অন্য দেশের নাগরিকত্ব থাকা সন্তান থাকলে তিনি প্রার্থী হতে পারবেন না। সু চির ছেলেরা যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
নিয়মানুযায়ী মিয়ানমারের ৬৬৪ সদস্যবিশিষ্ট পার্লামেন্টে বিলটি পাসের জন্য কমপক্ষে ৭৫ শতাংশ আইনপ্রণেতার সমর্থনের দরকার ছিল। কিন্তু বিলটির পক্ষে পড়ে মাত্র ৩৮৮ ভোট। এরপর স্পিকার শোয়ে মান আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে বলেন, বিলটি ‘বিধিবদ্ধ হলো না’।
মিয়ানমারে ২০১১ সালে দীর্ঘদিনের প্রত্যক্ষ সামরিক শাসনের অবসান ঘটার পর নানা গণতন্ত্রমুখী সংস্কার শুরু হয়। তবে এখনো দেশটির নিয়ন্ত্রণক্ষমতা সাবেক ও বর্তমান জেনারেলদের হাতেই। পার্লামেন্টেও তাঁদের প্রতিনিধিরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, দেশটির সেনাবাহিনী তার ক্ষমতা আরও কমানোর ব্যাপারে সামান্যতম ছাড় দিতে রাজি নয়।
তবে ভোটাভুটির পর সু চি মিয়ানমারের নাগরিকদের ‘আশা না হারানো’র আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী অক্টোবর বা নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন থেকে বিরোধীরা পিছু হটবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ওই নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হলে সু চির ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসিই (এনএলডি) বিরাট ব্যবধানে জিতবে বলে মনে করা হচ্ছে। দেশটির গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার ক্ষেত্রে ওই নির্বাচনকে এই মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
গতকাল পার্লামেন্টে যে খসড়া বিল উত্থাপন করা হয়, তাতে সু চির প্রার্থী হওয়ার অন্তরায়-সংক্রান্ত অনুচ্ছেদের ওপর কোনো বিতর্ক করার সুযোগ ছিল না। মূলত সংবিধানের ৪৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার জন্য ওই বিল তোলা হয়। ওই অনুচ্ছেদ বলছে, বড় ধরনের সাংবিধানিক পরিবর্তন আনতে হলে পার্লামেন্টের ৭৫ শতাংশ সদস্যের সমর্থন থাকতে হবে। এর মাধ্যমে পার্লামেন্টের অনির্বাচিত সেনাসদস্যদের চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। গতকাল তোলা বিলে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার শর্ত ৭৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৭০ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল।
গতকালের ভোটাভুটিতে বিলটি যে পাস হবে না, সেটি আগে থেকেই মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু তারপরও ভোটাভুটির ফল প্রকাশের পর স্তব্ধ হয়ে যান আইনপ্রণেতারা।
৪৩৬ নম্বর অনুচ্ছেদে পরিবর্তন আনার বিরুদ্ধে আগে থেকেই নানা যুক্তি দেখিয়ে আসছিলেন পার্লামেন্টে সেনাবাহিনীর মনোনীত এমপিরা। গতকাল ভোটাভুটির আগেও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল টিন সান নাইং সাংবাদিকদের বলেন, এই প্রস্তাবিত পরিবর্তন ‘উপযোগী নয়’। কারণ, মিয়ানমারের গণতন্ত্র এখনো ‘সদ্যোজাত পর্যায়ে’ রয়েছে।
পর্যবেক্ষকদের মতে, মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এখনো তার সংবিধানের রক্ষাকর্তার ভূমিকা আঁকড়ে ধরে রাখার পক্ষে।
No comments