সমালোচনা নয়, বাস্তবতা তুলে ধরেছি -আতিকুল ইসলাম
ক্রেতাদের
জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের কারখানা পরিদর্শন কার্যক্রমের সমালোচনায়
নেমেছেন পোশাকশিল্পের মালিক ও একাধিক মন্ত্রী। অ্যালায়েন্সও এক বিবৃতিতে
সরকারকে পরিষ্কার অবস্থান জানাতে বলেছে। অ্যাকর্ড–বিজিএমইএ গত বুধবার বৈঠক
করেছে। এসব বিষয়ে প্রথম আলোর সঙ্গে কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি আতিকুল
ইসলাম
প্রথম আলো: অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নিয়মের বাইরে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে—এ অভিযোগে তাদের কঠোর সমালোচনা করছেন। এ ধরনের সমালোচনা পোশাকশিল্পের জন্য কতটুকু ইতিবাচক হচ্ছে?
আতিকুল ইসলাম: সমালোচনা নয়, আমরা কেবল বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি। কারখানা সংস্কারে কোটি কোটি টাকা লাগবে। সেটি কোথা থেকে আসবে? বারবার বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি সামনে আনলেও অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ এড়িয়ে যান। কারখানা সংস্কারে এখন পর্যন্ত একটি টাকাও তাঁরা ঋণ দিতে পারেননি। তা ছাড়া অ্যাকর্ডের মূল কমিটিতে আমাদের কাউকে রাখা হয়নি। ফলে আমাদের দাবিদাওয়া ও অভিযোগ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তাঁদের নজরে নিতে হতো। যা হোক, গত সপ্তাহে অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁদের আমরা দেশের আইন ও নিয়মনীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। তাঁরা সেটি মেনে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রথম আলো: যখন কোনো ঘটনা ঘটে, আপনারা তখন নরম সুরে থাকেন। পরে আপনারা সরব হন। এতে বাইরে খারাপ বার্তা যায় কি না?
আতিকুল ইসলাম: তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজা ধসের কারণে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। কাজে নেমে এখন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। সেই বাস্তবতাগুলো আমরা বলেছি। শুরুতে দুই জোটের কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। দুই বছর পর এসে আমাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। তাই খারাপ বার্তা যাওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।
প্রথম আলো: অ্যাকর্ড গত মাসে বলেছে, কারখানা পরিদর্শনের ত্রুটির মাত্র ২০ শতাংশ সংস্কার হয়েছে। এ জন্য তারা মালিকদের গাফিলতিকেও দায়ী করেছে। কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আসলে মালিকেরা কতটা আন্তরিক?
আতিকুল ইসলাম: ৩০ বছর ধরে তিলে তিলে বাংলাদেশে পোশাকশিল্প গড়ে উঠেছে। তাই খুব দ্রুতই যে সবার মনমানসিকতা পরিবর্তন হবে, তেমনটি ভাবার কারণ নেই। তাই গাফিলতি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এটিও সত্য, কারখানা সংস্কারে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন, সেটি জোগাড় করতে অধিকাংশ মালিককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। ত্রুটি সংস্কারে মালিকদের চাপে রেখেছি।
প্রথম আলো: বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নিয়ে সব কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর পরিকল্পনা কী?
আতিকুল ইসলাম: সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোচ্ছে। আমরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নতির কাজগুলো শুরু করেছিলাম। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কারখানা পরিদর্শন ও সংস্কারকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সব কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে আমরা চাইব মালিক ও জোট—উভয় পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি শেষ করতে।
প্রথম আলো: অ্যাকর্ড-অ্যালায়েন্স নিয়মের বাইরে গিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করছে—এ অভিযোগে তাদের কঠোর সমালোচনা করছেন। এ ধরনের সমালোচনা পোশাকশিল্পের জন্য কতটুকু ইতিবাচক হচ্ছে?
আতিকুল ইসলাম: সমালোচনা নয়, আমরা কেবল বাস্তবতাটা তুলে ধরেছি। কারখানা সংস্কারে কোটি কোটি টাকা লাগবে। সেটি কোথা থেকে আসবে? বারবার বিভিন্ন ফোরামে বিষয়টি সামনে আনলেও অ্যাকর্ডের নির্বাহী পরিচালক রব ওয়েজ এড়িয়ে যান। কারখানা সংস্কারে এখন পর্যন্ত একটি টাকাও তাঁরা ঋণ দিতে পারেননি। তা ছাড়া অ্যাকর্ডের মূল কমিটিতে আমাদের কাউকে রাখা হয়নি। ফলে আমাদের দাবিদাওয়া ও অভিযোগ তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে তাঁদের নজরে নিতে হতো। যা হোক, গত সপ্তাহে অ্যাকর্ডের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। তাঁদের আমরা দেশের আইন ও নিয়মনীতি মেনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে বলেছি। তাঁরা সেটি মেনে নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে দূরত্ব কমাতে প্রতি সপ্তাহে বৈঠক করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
প্রথম আলো: যখন কোনো ঘটনা ঘটে, আপনারা তখন নরম সুরে থাকেন। পরে আপনারা সরব হন। এতে বাইরে খারাপ বার্তা যায় কি না?
আতিকুল ইসলাম: তাজরীন ফ্যাশনসে অগ্নিকাণ্ড, রানা প্লাজা ধসের কারণে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স গঠিত হয়। কাজে নেমে এখন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছি আমরা। সেই বাস্তবতাগুলো আমরা বলেছি। শুরুতে দুই জোটের কার্যক্রমকে আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। দুই বছর পর এসে আমাদের মনোভাব পরিবর্তন হয়নি। তাই খারাপ বার্তা যাওয়ার কোনো প্রশ্ন ওঠে না।
প্রথম আলো: অ্যাকর্ড গত মাসে বলেছে, কারখানা পরিদর্শনের ত্রুটির মাত্র ২০ শতাংশ সংস্কার হয়েছে। এ জন্য তারা মালিকদের গাফিলতিকেও দায়ী করেছে। কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে আসলে মালিকেরা কতটা আন্তরিক?
আতিকুল ইসলাম: ৩০ বছর ধরে তিলে তিলে বাংলাদেশে পোশাকশিল্প গড়ে উঠেছে। তাই খুব দ্রুতই যে সবার মনমানসিকতা পরিবর্তন হবে, তেমনটি ভাবার কারণ নেই। তাই গাফিলতি থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। তবে এটিও সত্য, কারখানা সংস্কারে কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন, সেটি জোগাড় করতে অধিকাংশ মালিককে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে আমরা তাঁদের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা বন্ধ করে দিয়েছি। ত্রুটি সংস্কারে মালিকদের চাপে রেখেছি।
প্রথম আলো: বর্তমান প্রেক্ষাপটে অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স নিয়ে সব কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিজিএমইএর পরিকল্পনা কী?
আতিকুল ইসলাম: সবকিছু ঠিকঠাকভাবে এগোচ্ছে। আমরা প্রচণ্ড চাপের মধ্যে কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নতির কাজগুলো শুরু করেছিলাম। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে কারখানা পরিদর্শন ও সংস্কারকাজ কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। সব কারখানায় কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করতে আমরা চাইব মালিক ও জোট—উভয় পক্ষের সহযোগিতার মাধ্যমে কাজটি শেষ করতে।
No comments