শাহ আজিজ বললেন, সালাহউদ্দিন তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন
সংসদ
শুরু হলো। প্রানবন্ত সংসদ। যেমন একদিনের কথা বলি, বি. চৌধুরী সাহেব তখন
সংসদের ডেপুটি লিডার হিসেবে সংসদ পরিচালনা করছেন। বরিশালের মহিউদ্দিন সাহেব
এমন গরম বক্তৃতা দিচ্ছেন যে, বি চৌধুরী সাহেব আর সামাল দিতে পারছেন না।
তিনি আমাকে বললেন যে, আপনি চাচাকে (শাহ আজিজুর রহমান সাহেব) ডেকে নিয়ে
আসেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, চাচা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। আমি গেলাম এবং আস্তে করে চাচার মাথায় হাত দিয়ে বললাম, চাচা সংসদে ভীষণ গ-গোল হচ্ছে। তখন তিনি ঘুম থেকে উঠে মুখে একটু পানি দিয়ে সংসদে গিয়ে বসলেন। বসে তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন, মাননীয় স্পিকার মি. মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আবার কি বলে। সে একজন ননসেন্স। শাহ আজিজুর রহমান সাহেব বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে মহিউদ্দিন সাহেব আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন, শালা তোর দাঁত ভেঙ্গে দেব। শাহ আজিজ আবার দাড়িয়ে বললেন, মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আমার বডিগার্ড ছিল, তার আবার সংসদে কিসের বক্তৃতা। মাননীয় স্পিকার, আমি আপনার কাছে আমার নিরাপত্তা দাবী করছি। সংসদে হাসির রোল পড়ে গেল। তারপর স্পীকার সকল বক্তৃতা এক্সপাঞ্জ করে নিলেন।
আর একদিনের এক ঘটনা। সংসদে খুব হৈ চৈ। আমি শাহ আজিজ সাহেবকে গিয়ে বললাম যে, যে চাচা সংসদে খুব হৈ চৈ চলছে। তিনি হাতে একটা বই নিয়ে টলতে টলতে সংসদে আসলেন। তখন মেনন সাহেব বক্তৃতা করছেন। সালাউদ্দিন কাদের সাহেব , বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রমুখ জাদরেল নেতৃবৃন্দ সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন, কঠিন বক্তৃতা করছেন। তখন শাহ সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন যে, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী মেনন সাহেব যেটা বললেন সেটা ঠিক না। অন্য একটি বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি সেটি বলে দিলেন। তখন সালাউদ্দিন কাদের সাহেব বললেন, আপনি আমাদেরকে বইটি দেন। শাহ সাহেব তখন বললেন, সালাউদ্দিন, আমার খুব দুঃখ হয়। তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। তিনি তোমাকে ব্যারিস্টার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তুমি পড়ালেখা কর নাই। তখন মেনন সাহেবউঠে দাঁড়ালেন। শাহ সাহেব মেননের উদ্দেশ্যে বললেন, মেনন, তোমার তো সতেরটা কেস আমিই করেছি। সারা জীবন জেলখানায় ছিলে আর সেখানে শুধু কমিউনিস্টদের চটি বই পড়েছ। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দিকে চেয়ে বললেন, আপনি তো একজন শিক্ষিত লোক, আপনিও কি তাদের দলে নাকি? একটু কষ্ট করে পেছন দিক দিয়ে ওদিকটায় যান। সেখানে দেখবেন লাইব্রেরি লেখা একটা জায়গা রয়েছে এবং সেখানে makes parliamentary practice বইটি রয়েছে। সেখানে আপনারা তিনজন মিলে বইটি বের করে পড়ে আসুন।
এভাবে সংসদ ভালভাবেই চলতেছিল। সংসদে যখন বিরোধী নেতৃবৃন্দ, আসাদুজ্জামান সাহেব, মহিউদ্দিন সাহেব, সবুর সাহেব, আতাউর রহমান সাহেবরা ওয়াকআউট করতেন তখন আমরা তাঁদের বাসায় বাসায় যেতাম। তাঁদেরকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করতাম, বলতাম যে আমরা কোনদিন সংসদ দেখিনি। আপনারা না আসলে আমরা শিখবো কোত্থেকে। আপনাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। তখন দেখতাম, তাঁরা শাহ সাহেবকে গালাগালি করে একদিন পর আবার সংসদে যোগ দিতেন।
জাতীয় পার্টি দলীয় এমপি এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল তার লেখা ‘আত্মসত্তার রাজনীতি এবং আমার ভাবনা’ শীর্ষক গ্রন্থে এসব কথা লিখেছেন। তিনি জিয়াউর রহমানের কেবিনেটের সদস্য ছিলেন।
এ.কে.এম মাঈদুল ইসলাম মুকুল আরও লিখেছেন, চাচা তখন ঘুমাচ্ছিলেন। আমি গেলাম এবং আস্তে করে চাচার মাথায় হাত দিয়ে বললাম, চাচা সংসদে ভীষণ গ-গোল হচ্ছে। তখন তিনি ঘুম থেকে উঠে মুখে একটু পানি দিয়ে সংসদে গিয়ে বসলেন। বসে তিনি এদিক ওদিক তাকিয়ে বললেন, মাননীয় স্পিকার মি. মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আবার কি বলে। সে একজন ননসেন্স। শাহ আজিজুর রহমান সাহেব বসলেন। সঙ্গে সঙ্গে মহিউদ্দিন সাহেব আরও ক্ষেপে গিয়ে বললেন, শালা তোর দাঁত ভেঙ্গে দেব। শাহ আজিজ আবার দাড়িয়ে বললেন, মহিউদ্দিন একজন গু-া, সে আমার বডিগার্ড ছিল, তার আবার সংসদে কিসের বক্তৃতা। মাননীয় স্পিকার, আমি আপনার কাছে আমার নিরাপত্তা দাবী করছি। সংসদে হাসির রোল পড়ে গেল। তারপর স্পীকার সকল বক্তৃতা এক্সপাঞ্জ করে নিলেন।
আর একদিনের এক ঘটনা। সংসদে খুব হৈ চৈ। আমি শাহ আজিজ সাহেবকে গিয়ে বললাম যে, যে চাচা সংসদে খুব হৈ চৈ চলছে। তিনি হাতে একটা বই নিয়ে টলতে টলতে সংসদে আসলেন। তখন মেনন সাহেব বক্তৃতা করছেন। সালাউদ্দিন কাদের সাহেব , বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত প্রমুখ জাদরেল নেতৃবৃন্দ সরকারের কঠোর সমালোচনা করছেন, কঠিন বক্তৃতা করছেন। তখন শাহ সাহেব দাঁড়িয়ে বললেন যে, সংসদীয় রীতি অনুযায়ী মেনন সাহেব যেটা বললেন সেটা ঠিক না। অন্য একটি বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি সেটি বলে দিলেন। তখন সালাউদ্দিন কাদের সাহেব বললেন, আপনি আমাদেরকে বইটি দেন। শাহ সাহেব তখন বললেন, সালাউদ্দিন, আমার খুব দুঃখ হয়। তোমার বাবা আমার বন্ধু ছিলেন। তিনি তোমাকে ব্যারিস্টার বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তুমি পড়ালেখা কর নাই। তখন মেনন সাহেবউঠে দাঁড়ালেন। শাহ সাহেব মেননের উদ্দেশ্যে বললেন, মেনন, তোমার তো সতেরটা কেস আমিই করেছি। সারা জীবন জেলখানায় ছিলে আর সেখানে শুধু কমিউনিস্টদের চটি বই পড়েছ। সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের দিকে চেয়ে বললেন, আপনি তো একজন শিক্ষিত লোক, আপনিও কি তাদের দলে নাকি? একটু কষ্ট করে পেছন দিক দিয়ে ওদিকটায় যান। সেখানে দেখবেন লাইব্রেরি লেখা একটা জায়গা রয়েছে এবং সেখানে makes parliamentary practice বইটি রয়েছে। সেখানে আপনারা তিনজন মিলে বইটি বের করে পড়ে আসুন।
এভাবে সংসদ ভালভাবেই চলতেছিল। সংসদে যখন বিরোধী নেতৃবৃন্দ, আসাদুজ্জামান সাহেব, মহিউদ্দিন সাহেব, সবুর সাহেব, আতাউর রহমান সাহেবরা ওয়াকআউট করতেন তখন আমরা তাঁদের বাসায় বাসায় যেতাম। তাঁদেরকে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করতাম, বলতাম যে আমরা কোনদিন সংসদ দেখিনি। আপনারা না আসলে আমরা শিখবো কোত্থেকে। আপনাদের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। তখন দেখতাম, তাঁরা শাহ সাহেবকে গালাগালি করে একদিন পর আবার সংসদে যোগ দিতেন।
No comments