কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কে গর্ত
মাত্র দেড় মাস আগে শেষ হয় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের প্রায় ২৪ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ। গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ওই সড়কের পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। চৌড়হাস এলাকা থেকে গতকাল সকালে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ
মহাসড়কের প্রায় ২৪ কিলোমিটারের সংস্কারকাজ দেড় মাস আগে শেষ হয়। কিন্তু গত
কয়েক দিনের বৃষ্টিতে সড়কের পাথর উঠে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর রেলগেট থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ২৪ কিলোমিটার অংশ বড় ও ছোট পাথর দিয়ে কার্পেটিং করার জন্য গত বছর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাত কোটি আট লাখ টাকা। কাজের দায়িত্ব পায় সিলেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল এন্টারপ্রাইজ। চলতি বছরের ৩ মার্চ কাজ শুরু হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২১ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে তড়িঘড়ি করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করা হয়। এর মধ্যে ঠিকাদার প্রায় ছয় কোটি টাকা তুলে নেন।
এই সড়কের বিষয়ে গত ১১ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘পাথর ও বিটুমিন কম ব্যবহারের অভিযোগ’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে পাথরের অনুপাতে গরমিল ছাড়াও প্রয়োজনীয় বিটুমিন না দিয়েই কার্পেটিং করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। দরপত্রের শর্তে পাথর ব্যবহারের যে অনুপাত দেখানো হয়েছে, সেই অনুপাতে কাজ হচ্ছে কি না, তা জানতে কুষ্টিয়ায় কর্মরত একজন প্রকৌশলী ও সড়কের কাজ করেন এমন দুজনকে তখন কাজের স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। কাজ দেখে তাঁরা জানান, পাথর ব্যবহারের অনুপাতে গরমিল রয়েছে। এ ছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সংস্কার করা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাথর উঠে গিয়ে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
শহরের মজমপুর, বিসিক এলাকা, চৌড়হাস, ভাদালিয়া, আলামপুর ও বৃত্তিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পাথর উঠে সড়কের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছোট ছোট গর্তে পানি জমে আছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী ট্রাকের চালক শওকত আলী বলেন, মাত্র দেড় মাস আগে সড়কের কাজ হলো। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই যে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। শুধু শুধু টাকা অপচয় করা হয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই সড়ক বেহাল হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আর কয়েক দিন বৃষ্টি হলে সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকবে না।
বটতৈল এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দীন বলেন, কোনো রকম গোঁজামিল দিয়ে কাজ করে ঠিকাদার চলে গেছেন। কয়েক দিন পরই সড়ক আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
কুষ্টিয়ার একজন পরিবহন মালিক বলেন, ‘সড়কটির সংস্কারের জন্য আমাদের অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। অথচ কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই সড়কটি আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঈদের আগে চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে।’
কুষ্টিয়া সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেব দয়াল বলেন, ঠিকাদার এখনো সব টাকা পাননি। প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া আছে। গর্ত সংস্কারের জন্য কাজ করানোর কথা বলা হয়েছে।
গতকাল মুঠোফোনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, গর্তগুলো মেরামতের জন্য পাথর নেওয়া হচ্ছে। কোনো সমস্যা হবে না।
সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওভার লে (বিদ্যমান সড়কের ওপর পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ) না করলে কোনো সড়কই টেকানো সম্ভব না। এই সংস্কারের শিডিউলে ওভার লের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, কার্যাদেশ অনুসারে ঠিকাদার এক বছর ওই সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
কুষ্টিয়া সড়ক ও জনপথ (সওজ) কার্যালয় সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর রেলগেট থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মহাসড়কের প্রায় ২৪ কিলোমিটার অংশ বড় ও ছোট পাথর দিয়ে কার্পেটিং করার জন্য গত বছর দরপত্র আহ্বান করা হয়। এ জন্য ব্যয় ধরা হয় প্রায় সাত কোটি আট লাখ টাকা। কাজের দায়িত্ব পায় সিলেটের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স জামিল ইকবাল এন্টারপ্রাইজ। চলতি বছরের ৩ মার্চ কাজ শুরু হয়। দরপত্র অনুযায়ী ২১ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। তবে তড়িঘড়ি করে মে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ করা হয়। এর মধ্যে ঠিকাদার প্রায় ছয় কোটি টাকা তুলে নেন।
এই সড়কের বিষয়ে গত ১১ এপ্রিল প্রথম আলোয় ‘পাথর ও বিটুমিন কম ব্যবহারের অভিযোগ’ শিরোনামে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ওই প্রতিবেদনে পাথরের অনুপাতে গরমিল ছাড়াও প্রয়োজনীয় বিটুমিন না দিয়েই কার্পেটিং করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। দরপত্রের শর্তে পাথর ব্যবহারের যে অনুপাত দেখানো হয়েছে, সেই অনুপাতে কাজ হচ্ছে কি না, তা জানতে কুষ্টিয়ায় কর্মরত একজন প্রকৌশলী ও সড়কের কাজ করেন এমন দুজনকে তখন কাজের স্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। কাজ দেখে তাঁরা জানান, পাথর ব্যবহারের অনুপাতে গরমিল রয়েছে। এ ছাড়া নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সংস্কার করা সড়কের বিভিন্ন জায়গায় পাথর উঠে গিয়ে ছোট ছোট গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
শহরের মজমপুর, বিসিক এলাকা, চৌড়হাস, ভাদালিয়া, আলামপুর ও বৃত্তিপাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, পাথর উঠে সড়কের পাশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে আছে। ছোট ছোট গর্তে পানি জমে আছে।
ওই সড়কে চলাচলকারী ট্রাকের চালক শওকত আলী বলেন, মাত্র দেড় মাস আগে সড়কের কাজ হলো। এখন দেখে বোঝার উপায় নেই যে সড়ক সংস্কার করা হয়েছে। শুধু শুধু টাকা অপচয় করা হয়েছে। কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই সড়ক বেহাল হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন, আর কয়েক দিন বৃষ্টি হলে সড়কটি চলাচলের উপযোগী থাকবে না।
বটতৈল এলাকার বাসিন্দা জহির উদ্দীন বলেন, কোনো রকম গোঁজামিল দিয়ে কাজ করে ঠিকাদার চলে গেছেন। কয়েক দিন পরই সড়ক আগের অবস্থায় ফিরে গেছে।
কুষ্টিয়ার একজন পরিবহন মালিক বলেন, ‘সড়কটির সংস্কারের জন্য আমাদের অনেক আন্দোলন-সংগ্রাম করতে হয়েছে। অথচ কয়েক দিনের বৃষ্টিতেই সড়কটি আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। মনে হচ্ছে, ঈদের আগে চালক ও যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হবে।’
কুষ্টিয়া সওজের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী দেব দয়াল বলেন, ঠিকাদার এখনো সব টাকা পাননি। প্রায় এক কোটি টাকা বকেয়া আছে। গর্ত সংস্কারের জন্য কাজ করানোর কথা বলা হয়েছে।
গতকাল মুঠোফোনে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম বলেন, গর্তগুলো মেরামতের জন্য পাথর নেওয়া হচ্ছে। কোনো সমস্যা হবে না।
সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জিয়াউল হায়দার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওভার লে (বিদ্যমান সড়কের ওপর পাথর-বিটুমিনের আস্তরণ) না করলে কোনো সড়কই টেকানো সম্ভব না। এই সংস্কারের শিডিউলে ওভার লের জন্য কোনো বরাদ্দ ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, কার্যাদেশ অনুসারে ঠিকাদার এক বছর ওই সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ করবেন।
No comments