চাকরিজীবীদের জন্য অবশ্য পালনীয় ৭ স্বাস্থ্য পরামর্শ by কাজী আরিফ আহমেদ
কর্মজীবী
নারী ও পুরুষরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এমন কিছু নিয়মের ব্যত্যয় ঘটান, যা
তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে দীর্ঘমেয়াদে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করে।
সময় থাকতে এ বিষয়গুলোর প্রতি নজর দেয়ার প্রয়োজন মনে না করার ফলে জীবনের
একপর্যায়ে এসব কারণে ভয়াবহ ভুক্তভোগী হতে হয়। অফিসের কাজের ব্যস্ততায় তারা
বুঝে কিংবা না বুঝে নিজের ওপরই যেন অত্যাচার-অবিচার শুরু করে দেন। অল্প
বয়সে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হয়। কখনও সে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ঠেলে
দেয় অকালমৃত্যুর দিকে। প্রকৃত বার্ধক্য আসার আগেই বুড়িয়ে যেতে হয়। তবে
কয়েকটি অভ্যাস দিতে পারে মুক্তি, বাতলে দিতে পারে চিরকাল যৌবন অটুট রাখার
পথ। নিচে রইলো চাকরিজীবীদের প্রতি অতি গুরুত্বপূর্ণ ৭ স্বাস্থ্য পরামর্শ:
১) পানি রাখুন সঙ্গে: যে কোন কাজে যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে এক বোতল পানি রাখুন। আপনি যদি কাজে ব্যস্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পানি পান করার কথা ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করাটা অপরিহার্য। কখনও কখনও ফলের জুসও পান করা যেতে পারে।
২) বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে কর্মস্থলে যান: বাড়িতে পুষ্টিকর দিকগুলো বিবেচনায় যেভাবে রান্না করা হয় বা সালাদ বানানো হয়, তা প্রতিস্থাপন প্রায় অসম্ভব। তাই অযৌক্তিক সব লজ্জা ঝেড়ে ফেলে, বাড়িতে তৈরি করা খাবার নিয়ে অফিসে যাওয়ার অভ্যাস করুন। যদি আপনি পরিবার থেকে দূরে থাকেন, সেক্ষেত্রে পুষ্টি ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ট বিকল্প ব্যবস্থা নির্বাচন করুন।
৩) নিজের প্রতি অতি কঠোর হবেন না: আপনার অফিসের কাজ বা অর্পিত দায়িত্বগুলো পালন অবশ্যই সর্বাগ্রে বিবেচ্য। তবে এর ভেতর থেকেই নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে। কাজের ফাঁকে প্রতি ঘণ্টায় ২ মিনিট চোখ বন্ধ করে একটু নিজেকে শিথিল করে বিশ্রাম নিন। এতে আপনার চিন্তাধারায় স্বচ্ছতা আসবে এবং কর্মক্ষেত্রে আপনার সক্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মধ্যে চেয়ারে বসেই হাত-পা ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন, বা একটু হেঁটে আসুন। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
৪) পিঠ ও পায়ের দিকে নজর রাখুন: অফিসের আরামদায়ক চেয়ারে বসে কাজ করাটা নিঃসন্দেহে স্বস্তিকর। কিন্তু, সেই স্বস্তিটুকু পেতে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তিতে পড়তে যাচ্ছেন না তো? চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। বেঁকে কাজ করবেন না। এতে মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে। পিঠের ব্যথায় ভুগতে হতে পারে। পায়ের দিকেও খেয়াল রাখুন। চেয়ারের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে পা রাখুন, পিঠটাও রাখুন একইভাবে। প্রয়োজনে পা একটু ছড়িয়ে আবার পূর্বাবস্থানে ফিরে আসুন। ৯০ ডিগ্রি নিয়মটা মনে রাখা জরুরি। সঠিক নিয়মে বসার অভ্যাস রপ্ত করুন।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম: সাধারণভাবে, প্রাপ্তবয়স্কদের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আপনার শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩০ মিনিট বা আধ ঘণ্টা কম ঘুমও আপনাকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে আক্রান্ত করতে পারে। আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারফরমেন্স বা কর্মদক্ষতা বাড়াতে ঘুমের বিকল্প নেই। প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৬) ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন ও প্রচুর পানি পান করুন: ক্যাফেইন আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের আগে চা, কফি ও কোমলপানীয় পান থেকে বিরত থাকুন। বরং, সকালে এক গ্লাস ফলের জুস বা লেবুর শরবত পান করুন এবং সন্ধ্যায় পান করুন এক কাপ গ্রিন টি। প্রচুর তবে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৭) নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন করুন: সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন একটি রুটিন করে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন। খালি হাতে ব্যায়াম আদর্শ ব্যায়াম হতে পারে। প্রতিদিন যোগাসন করুন। যোগ-ব্যায়াম চর্চার ফলে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো থাকবে সুস্থ ও সবল। একই সঙ্গে সম্ভব হলে, ভোরে নিয়মিত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো ব্যায়ামগুলো চর্চায় রাখুন।
১) পানি রাখুন সঙ্গে: যে কোন কাজে যেখানেই যান না কেন, সঙ্গে এক বোতল পানি রাখুন। আপনি যদি কাজে ব্যস্ত থাকেন, সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় পানি পান করার কথা ভুল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু, নিয়মিত বিরতিতে পানি পান করাটা অপরিহার্য। কখনও কখনও ফলের জুসও পান করা যেতে পারে।
২) বাড়িতে রান্না করা খাবার নিয়ে কর্মস্থলে যান: বাড়িতে পুষ্টিকর দিকগুলো বিবেচনায় যেভাবে রান্না করা হয় বা সালাদ বানানো হয়, তা প্রতিস্থাপন প্রায় অসম্ভব। তাই অযৌক্তিক সব লজ্জা ঝেড়ে ফেলে, বাড়িতে তৈরি করা খাবার নিয়ে অফিসে যাওয়ার অভ্যাস করুন। যদি আপনি পরিবার থেকে দূরে থাকেন, সেক্ষেত্রে পুষ্টি ও পরিচ্ছন্নতার বিষয়টি মাথায় রেখে সুনির্দিষ্ট বিকল্প ব্যবস্থা নির্বাচন করুন।
৩) নিজের প্রতি অতি কঠোর হবেন না: আপনার অফিসের কাজ বা অর্পিত দায়িত্বগুলো পালন অবশ্যই সর্বাগ্রে বিবেচ্য। তবে এর ভেতর থেকেই নিজের জন্য সময় বের করে নিতে হবে। কাজের ফাঁকে প্রতি ঘণ্টায় ২ মিনিট চোখ বন্ধ করে একটু নিজেকে শিথিল করে বিশ্রাম নিন। এতে আপনার চিন্তাধারায় স্বচ্ছতা আসবে এবং কর্মক্ষেত্রে আপনার সক্রিয়তা আরও বৃদ্ধি পাবে। মাঝে মধ্যে চেয়ারে বসেই হাত-পা ও চোখের কিছু ব্যায়াম করুন, বা একটু হেঁটে আসুন। সব সময় হাসিখুশি থাকার চেষ্টা করুন।
৪) পিঠ ও পায়ের দিকে নজর রাখুন: অফিসের আরামদায়ক চেয়ারে বসে কাজ করাটা নিঃসন্দেহে স্বস্তিকর। কিন্তু, সেই স্বস্তিটুকু পেতে গিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অস্বস্তিতে পড়তে যাচ্ছেন না তো? চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। বেঁকে কাজ করবেন না। এতে মেরুদণ্ডের সমস্যা হতে পারে। পিঠের ব্যথায় ভুগতে হতে পারে। পায়ের দিকেও খেয়াল রাখুন। চেয়ারের সঙ্গে ৯০ ডিগ্রি কোণ করে পা রাখুন, পিঠটাও রাখুন একইভাবে। প্রয়োজনে পা একটু ছড়িয়ে আবার পূর্বাবস্থানে ফিরে আসুন। ৯০ ডিগ্রি নিয়মটা মনে রাখা জরুরি। সঠিক নিয়মে বসার অভ্যাস রপ্ত করুন।
৫) পর্যাপ্ত ঘুম: সাধারণভাবে, প্রাপ্তবয়স্কদের ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। আপনার শরীরের প্রয়োজনের তুলনায় মাত্র ৩০ মিনিট বা আধ ঘণ্টা কম ঘুমও আপনাকে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদে আক্রান্ত করতে পারে। আপনার শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য এবং পারফরমেন্স বা কর্মদক্ষতা বাড়াতে ঘুমের বিকল্প নেই। প্রতি রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৬) ক্যাফেইন থেকে দূরে থাকুন ও প্রচুর পানি পান করুন: ক্যাফেইন আপনার ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের আগে চা, কফি ও কোমলপানীয় পান থেকে বিরত থাকুন। বরং, সকালে এক গ্লাস ফলের জুস বা লেবুর শরবত পান করুন এবং সন্ধ্যায় পান করুন এক কাপ গ্রিন টি। প্রচুর তবে পর্যাপ্ত পানি পান করুন।
৭) নিয়মিত ব্যায়াম ও যোগাসন করুন: সপ্তাহে অন্তত ৪ দিন একটি রুটিন করে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলুন। খালি হাতে ব্যায়াম আদর্শ ব্যায়াম হতে পারে। প্রতিদিন যোগাসন করুন। যোগ-ব্যায়াম চর্চার ফলে আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো থাকবে সুস্থ ও সবল। একই সঙ্গে সম্ভব হলে, ভোরে নিয়মিত হাঁটা, জগিং, সাইকেল চালানো ও সাঁতারের মতো ব্যায়ামগুলো চর্চায় রাখুন।
No comments