মহিউদ্দিন না চাইলেও সাইফের সঙ্গে মেয়র by মাসুদ মিলাদ
সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী ‘বন্দর রক্ষায়’ যে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছেন, সেই প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়েই বন্দরের কাজ পেয়েছেন নতুন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের দুটি জেটি পরিচালনার কাজ সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের সঙ্গে ভাগাভাগি করে পেয়েছে মেয়র আ জ ম নাসির ও সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর মালিকানাধীন দুটি প্রতিষ্ঠান। মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং আ জ ম নাছির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মধ্যে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর জেটি পরিচালন-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজের এই চুক্তি সই হয়েছে। এত দ্রুত চুক্তি সই হওয়ার বিষয়টিকে নজিরবিহীন বলছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর কারণ হিসেবে বলছেন, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা, মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিয়ে বন্দরের পর্ষদ সভা, পর্ষদের সিদ্ধান্ত, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, বন্দর থেকে চুক্তির জন্য নোটিশ জারি এবং দিনক্ষণ ঠিক করে চুক্তি সই—সব কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১২টি কার্যদিবসে। এর আগে এত কম সময়ে জেটি পরিচালনার দরপত্র জমা দেওয়ার পর চুক্তি সই হয়নি।
তবে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কাছে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর ১৪ দলের নেতারা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্দরের মাধ্যমে এই টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। চুক্তি সইয়ের পর বিকেলে নগরের চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে ব্যবসা ও ১৪ দলের বৈঠকের বিষয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে আমার ব্যবসায়িক পরিচয় রয়েছে। বন্দরে অনেক দিন ধরে ব্যবসা করছি। এর সঙ্গে রাজনীতি মেলানোর সুযোগ নেই। ১৪ দলের সভায় কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা নেই।’ তিনি জানান, দরপত্রের শর্ত মেনে এবং সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান নিউমুরিং টার্মিনালের কাজ পেয়েছে।
চুক্তি সইয়ের পর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন গতকাল বন্দর ভবনে প্রথম আলোকে জানান, এখন দ্রুত টার্মিনালের দুটি জেটিতে কাজ শুরু করা হবে। এই দরপত্রে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছিরের প্রতিষ্ঠান এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের ৩০ শতাংশ এবং নোয়াখালীর সদর আসনের সরকারদলীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্সের ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ করছে।
গত বছর বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গত ১০ সেপ্টেম্বর লালদীঘি মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ডাকে সমাবেশ হয়। এতে আ জ ম নাছির উদ্দিনও বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন মহিউদ্দিন।
সাইফ পাওয়ারটেক টার্মিনালের কাজ পেতে দরপত্র জমা দেওয়ার পর মহিউদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বন্দরের যন্ত্রপাতি আছে। শ্রমিকও আছে। এর পরও কেন মধ্যস্বত্বভোগীদের দিয়ে কাজ করাতে হবে?’
গত ৯ জুন নিউমুরিং টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে অপারেটর নিয়োগের দরপত্র জমা নেয় বন্দর। সাইফ পাওয়ারটেক ছাড়াও আরও দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও দরপত্রের শর্ত পূরণ না করায় মূল্যায়ন কমিটির বাছাইয়ে তারা বাদ পড়ে যায়। দুটি প্রতিষ্ঠান হলো কনটেইনার অ্যান্ড টার্মিনাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও মেসার্স বশীর আহমেদ। এর মধ্যে কনটেইনার অ্যান্ড টার্মিনাল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্ণফুলী গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এটি সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীদের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
বন্দর সূত্র জানায়, চুক্তি সই হওয়া সাইফ পাওয়ারটেক দুই বছরে দুটি জেটিতে ৭ লাখ ১ হাজার ৪০০ কনটেইনার ওঠানো-নামানো, স্থানান্তরসহ ছয়টি কাজ করবে। এ কাজের জন্য তারা দর দিয়েছে ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। বন্দরের হিসাবে এই কাজের সম্ভাব্য দর ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা। এই দর বন্দরের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এর আগে অন্য জেটিতে ঠিকাদারের দর বন্দরের সম্ভাব্য হিসাবের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি হওয়ায় দরপত্রটি অনুমোদন করেনি বন্দর।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মধ্যে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর জেটি পরিচালন-সংক্রান্ত চুক্তি সই হয়েছে। দরপত্র জমা দেওয়ার মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি টাকার কাজের এই চুক্তি সই হয়েছে। এত দ্রুত চুক্তি সই হওয়ার বিষয়টিকে নজিরবিহীন বলছেন বন্দরসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। এর কারণ হিসেবে বলছেন, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভা, মূল্যায়ন প্রতিবেদন নিয়ে বন্দরের পর্ষদ সভা, পর্ষদের সিদ্ধান্ত, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন, বন্দর থেকে চুক্তির জন্য নোটিশ জারি এবং দিনক্ষণ ঠিক করে চুক্তি সই—সব কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ১২টি কার্যদিবসে। এর আগে এত কম সময়ে জেটি পরিচালনার দরপত্র জমা দেওয়ার পর চুক্তি সই হয়নি।
তবে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার দায়িত্ব বিশেষ কোনো গোষ্ঠীর কাছে না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম নগর ১৪ দলের নেতারা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্দরের মাধ্যমে এই টার্মিনাল পরিচালনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। চুক্তি সইয়ের পর বিকেলে নগরের চশমা হিলে মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় এ সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে ব্যবসা ও ১৪ দলের বৈঠকের বিষয়ে মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন গতকাল রাতে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে আমার ব্যবসায়িক পরিচয় রয়েছে। বন্দরে অনেক দিন ধরে ব্যবসা করছি। এর সঙ্গে রাজনীতি মেলানোর সুযোগ নেই। ১৪ দলের সভায় কী আলোচনা হয়েছে, তা জানা নেই।’ তিনি জানান, দরপত্রের শর্ত মেনে এবং সব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাঁর প্রতিষ্ঠান নিউমুরিং টার্মিনালের কাজ পেয়েছে।
চুক্তি সইয়ের পর সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তরফদার রুহুল আমিন গতকাল বন্দর ভবনে প্রথম আলোকে জানান, এখন দ্রুত টার্মিনালের দুটি জেটিতে কাজ শুরু করা হবে। এই দরপত্রে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছিরের প্রতিষ্ঠান এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের ৩০ শতাংশ এবং নোয়াখালীর সদর আসনের সরকারদলীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্সের ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।
এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের চেয়ারম্যান আ জ ম নাছির। তাঁর প্রতিষ্ঠানটি বন্দরে কনটেইনার ওঠানো-নামানোর কাজ করছে।
গত বছর বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে গত ১০ সেপ্টেম্বর লালদীঘি মাঠে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ডাকে সমাবেশ হয়। এতে আ জ ম নাছির উদ্দিনও বক্তব্য দেন। ওই সমাবেশ থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে এক মাসের সময়সীমা বেঁধে দেন মহিউদ্দিন।
সাইফ পাওয়ারটেক টার্মিনালের কাজ পেতে দরপত্র জমা দেওয়ার পর মহিউদ্দিন চৌধুরী মুঠোফোনে তখন প্রথম আলোকে বলেছিলেন, ‘বন্দরের যন্ত্রপাতি আছে। শ্রমিকও আছে। এর পরও কেন মধ্যস্বত্বভোগীদের দিয়ে কাজ করাতে হবে?’
গত ৯ জুন নিউমুরিং টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর জেটিতে অপারেটর নিয়োগের দরপত্র জমা নেয় বন্দর। সাইফ পাওয়ারটেক ছাড়াও আরও দুটি প্রতিষ্ঠান দরপত্র জমা দিলেও দরপত্রের শর্ত পূরণ না করায় মূল্যায়ন কমিটির বাছাইয়ে তারা বাদ পড়ে যায়। দুটি প্রতিষ্ঠান হলো কনটেইনার অ্যান্ড টার্মিনাল সার্ভিসেস লিমিটেড ও মেসার্স বশীর আহমেদ। এর মধ্যে কনটেইনার অ্যান্ড টার্মিনাল সার্ভিসেস লিমিটেড কর্ণফুলী গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান। এটি সাংসদ সাবের হোসেন চৌধুরীদের পারিবারিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান।
বন্দর সূত্র জানায়, চুক্তি সই হওয়া সাইফ পাওয়ারটেক দুই বছরে দুটি জেটিতে ৭ লাখ ১ হাজার ৪০০ কনটেইনার ওঠানো-নামানো, স্থানান্তরসহ ছয়টি কাজ করবে। এ কাজের জন্য তারা দর দিয়েছে ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা। বন্দরের হিসাবে এই কাজের সম্ভাব্য দর ৪১ কোটি ৫৬ লাখ ৫১ হাজার ২০০ টাকা। এই দর বন্দরের প্রাক্কলিত দরের চেয়ে ১৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এর আগে অন্য জেটিতে ঠিকাদারের দর বন্দরের সম্ভাব্য হিসাবের চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি হওয়ায় দরপত্রটি অনুমোদন করেনি বন্দর।
No comments