বোস্টন ম্যারাথন হামলা- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জোখারের ক্ষমা প্রার্থনা
জোখার সারনায়েভ |
যুক্তরাষ্ট্রের
বোস্টনে বোমা হামলার দায়ে দোষী সাব্যস্ত তরুণ জোখার সারনায়েভ গত বুধবার
প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন ওই বিস্ফোরণে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত
লোকজনের কাছে। এর কিছুক্ষণ পরই তাঁর মৃত্যুদণ্ডের আনুষ্ঠানিক রায় দেন
আদালত। খবর এএফপির।
চেচেন বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সারনায়েভ বলেন, ‘হামলায় নিহত এবং বেঁচে যাওয়া মানুষদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। আমি দোষী, এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ না থাকুক। যেসব জীবন কেড়ে নিয়েছি, যাঁদের জন্য দুর্ভোগ বয়ে এনেছি এবং যেসব ক্ষতি আমি করেছি, তার জন্য দুঃখিত।’
২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল বোস্টন ম্যারাথন প্রতিযোগিতা চলাকালে বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৬৪ জন হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযানের সময় গোলাগুলিতে পুলিশের এক সদস্যও নিহত হন। একই ধরনের ঘটনায় জোখারের বড় ভাই তামেরলান সারনায়েভও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। জোখার সারনায়েভকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই বছরের ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার এবং হত্যা মামলার শুনানিতে তাঁকে একজন ‘অনুতাপহীন সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন সরকারি কৌঁসুলিরা। জোখারকে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কারাগারে রাখা হবে। পরে তাঁকে কলোরাডোর এডিএক্স ফ্লোরেন্স কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
বোস্টন ম্যারাথন হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া কেউ কেউ জোখার সারনায়েভের ক্ষমা প্রার্থনাকে যথেষ্ট আন্তরিকতাপূর্ণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার তাঁর অপরাধের স্বীকারোক্তি ও দুঃখ প্রকাশের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তবে সরকারি কৌঁসুলিরা জোখারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তিনি বিচার কার্যক্রমের সময় নিরাবেগ ছিলেন এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার পথ বর্জন করার কথা বলেননি।
বোস্টন শহরটি যে অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত, সেই ম্যাসাচুসেটসের আইনে ১৯৪৭ সাল থেকে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই কেবল মার্কিন কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে জোখার সারনায়েভের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে। একাধিক জনমত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বোস্টনের অধিকাংশ বাসিন্দা জোখারের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে অবস্থান নেন।
চেচেন বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক সারনায়েভ বলেন, ‘হামলায় নিহত এবং বেঁচে যাওয়া মানুষদের কাছে আমি ক্ষমা চাই। আমি দোষী, এ সম্পর্কে কোনো সন্দেহ না থাকুক। যেসব জীবন কেড়ে নিয়েছি, যাঁদের জন্য দুর্ভোগ বয়ে এনেছি এবং যেসব ক্ষতি আমি করেছি, তার জন্য দুঃখিত।’
২০১৩ সালের ১৫ এপ্রিল বোস্টন ম্যারাথন প্রতিযোগিতা চলাকালে বোমা হামলায় তিনজন নিহত এবং কমপক্ষে ২৬৪ জন হয়। এ ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের ধরতে পুলিশি অভিযানের সময় গোলাগুলিতে পুলিশের এক সদস্যও নিহত হন। একই ধরনের ঘটনায় জোখারের বড় ভাই তামেরলান সারনায়েভও পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারান। জোখার সারনায়েভকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ওই বছরের ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা হয়। গণবিধ্বংসী অস্ত্র ব্যবহার এবং হত্যা মামলার শুনানিতে তাঁকে একজন ‘অনুতাপহীন সন্ত্রাসী’ আখ্যা দেন সরকারি কৌঁসুলিরা। জোখারকে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের কারাগারে রাখা হবে। পরে তাঁকে কলোরাডোর এডিএক্স ফ্লোরেন্স কারাগারে পাঠানো হতে পারে।
বোস্টন ম্যারাথন হামলায় প্রাণে বেঁচে যাওয়া কেউ কেউ জোখার সারনায়েভের ক্ষমা প্রার্থনাকে যথেষ্ট আন্তরিকতাপূর্ণ হয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আবার তাঁর অপরাধের স্বীকারোক্তি ও দুঃখ প্রকাশের বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। তবে সরকারি কৌঁসুলিরা জোখারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, তিনি বিচার কার্যক্রমের সময় নিরাবেগ ছিলেন এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংসতার পথ বর্জন করার কথা বলেননি।
বোস্টন শহরটি যে অঙ্গরাজ্যে অবস্থিত, সেই ম্যাসাচুসেটসের আইনে ১৯৪৭ সাল থেকে মৃত্যুদণ্ড নিষিদ্ধ রয়েছে। তাই কেবল মার্কিন কেন্দ্রীয় আইন অনুসারে জোখার সারনায়েভের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে। একাধিক জনমত জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, বোস্টনের অধিকাংশ বাসিন্দা জোখারের মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পক্ষে অবস্থান নেন।
No comments