প্রস্তাবিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট মানবাধিকারের মানদণ্ড লঙ্ঘন করে -অধিকার এবং ওবিএস-এর বিবৃতি
প্রস্তাবিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৫ ও ফরেইন ডোনেশনস (ভলান্টারি অ্যাক্টিভিটিজ) রেগুলেশন অ্যাক্ট ২০১৪ বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই প্রত্যাখ্যান করতে হবে। কেননা, উভয় আইনই বাকস্বাধীনতা ও সংগঠন করার অধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড লঙ্ঘন করে। এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে মানবাধিকার সংস্থা অধিকার ও অবজারভেটরি ফর দ্য প্রোটেকশন অব হিউম্যান রাইটস ডিফন্ডার্স (ওবিএস)।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৫-এর মাধ্যমে মুক্তচিন্তার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সংহত করতে চায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ আইনের ফলে অপরাধ সংগঠনের সুযোগ বৃদ্ধি করে। আর বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) আইনের চেয়েও আরও কঠোর শাস্তির বিধান এ আইনে রাখা হয়েছে। এ আইন মোতাবেক, বিদেশী নাগরিকসহ বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক যদি অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ান, তাহলে কর্তৃপক্ষ তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। বর্তমানে বিদ্যমান আইসিটি আইনে ইতিমধ্যে মানহানিকর ও ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ প্রকাশনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এ আইন ইতিমধ্যেই বিরোধী মত, বিশেষ করে মানবাধিকার রক্ষকদের স্তব্ধ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এ দমন-পীড়ন নতুন প্রস্তাবিত আইনের দরুন কেবলমাত্র বৃদ্ধি পাবে।
মুক্ত মতপ্রকাশের কণ্ঠরোধ এবং নাগরিক সমাজের কাজ সীমাবদ্ধ করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপের একটি অংশ এই প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন। ফরেন ডোনেশন (ভলান্টারি অ্যাক্টিভিটিজ) বা বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৪ মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে তা আইন হিসেবে পাস হওয়ার অপেক্ষায় সংসদে রয়েছে। এতে করে নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। এ আইন অনুযায়ী, নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও)-গুলো এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো (এনজিও-এবি) থেকে আগাম অনুমতি ব্যতীত কোন বিদেশী অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। একই সঙ্গে এমন কোন অনুদানের অর্থ দিয়ে এনজিওগুলো কি কর্মকাণ্ড গ্রহণ করবে সেটাও অবহিত করতে হবে এনজিও-এবি-কে। এনজিও-এবি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। যেসব এনজিও বিদেশী অনুদান পেয়ে থাকে তাদের কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ এবং বাতিল করার কর্তৃত্ব রয়েছে এনজিও-এবির। এতে কোন আপিল বা স্বতন্ত্র পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার সুযোগ নেই। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস, এফআইডিএইচ এর প্রেসিডেন্ট করিম লাহিড়জি বলেন, ‘প্রস্তাবিত এসব আইনি সংস্কার মুক্ত মতপ্রকাশে অধিকতর দমননীতি সৃষ্টি করবে আর মানবাধিকার রক্ষকদের নিরাপদে, স্বাধীন ও কার্যকরভাবে বাংলাদেশ কাজ করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করবে।’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক ও বিশ্বজনীন অধিকার যে অধিকার অসংখ্য আন্তর্জাতিক চুক্তি ও মানদণ্ডে সংরক্ষিত রয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের ২২তম অনুচ্ছেদে- বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ওএমসিটি’র মহাসচিব জেরাল্ড স্ট্যাবেরক বলেন, অবিলম্বে এ দুটি প্রস্তাবিত আইন প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আইন যেন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকর সুরক্ষা করতে আমরা আহ্বান জানাই।
১৯৯৭ সালে অবজারভেটরি ফর দ্য প্রোটেশশন অব হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স (ওবিএস) যৌথভাবে গঠন করে এফআইডিএইচ এবং ওএমসিটি। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো মানবাধিকার রক্ষকদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নমূলক পরিস্থিরি প্রতিহত বা সমাধান করতে হস্তক্ষেপ করা।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, নতুন প্রস্তাবিত সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০১৫-এর মাধ্যমে মুক্তচিন্তার ওপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ সংহত করতে চায় বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আইনটি মন্ত্রিসভার অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এ আইনের ফলে অপরাধ সংগঠনের সুযোগ বৃদ্ধি করে। আর বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ (আইসিটি) আইনের চেয়েও আরও কঠোর শাস্তির বিধান এ আইনে রাখা হয়েছে। এ আইন মোতাবেক, বিদেশী নাগরিকসহ বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক যদি অনলাইন যোগাযোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ‘জাতীয় নিরাপত্তা’র প্রতি হুমকি হয়ে দাঁড়ান, তাহলে কর্তৃপক্ষ তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে পারবে। বর্তমানে বিদ্যমান আইসিটি আইনে ইতিমধ্যে মানহানিকর ও ‘রাষ্ট্রবিরোধী’ প্রকাশনাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে। এ আইন ইতিমধ্যেই বিরোধী মত, বিশেষ করে মানবাধিকার রক্ষকদের স্তব্ধ করতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আর এ দমন-পীড়ন নতুন প্রস্তাবিত আইনের দরুন কেবলমাত্র বৃদ্ধি পাবে।
মুক্ত মতপ্রকাশের কণ্ঠরোধ এবং নাগরিক সমাজের কাজ সীমাবদ্ধ করতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের নিয়মতান্ত্রিক পদক্ষেপের একটি অংশ এই প্রস্তাবিত সাইবার নিরাপত্তা আইন। ফরেন ডোনেশন (ভলান্টারি অ্যাক্টিভিটিজ) বা বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৪ মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদিত হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে তা আইন হিসেবে পাস হওয়ার অপেক্ষায় সংসদে রয়েছে। এতে করে নাগরিক সমাজের সংগঠনগুলোর ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ বৃদ্ধি পাবে। এ আইন অনুযায়ী, নন-গভর্নমেন্টাল অর্গানাইজেশন (এনজিও)-গুলো এনজিও অ্যাফেয়ার্স ব্যুরো (এনজিও-এবি) থেকে আগাম অনুমতি ব্যতীত কোন বিদেশী অনুদান গ্রহণ করতে পারবে না। একই সঙ্গে এমন কোন অনুদানের অর্থ দিয়ে এনজিওগুলো কি কর্মকাণ্ড গ্রহণ করবে সেটাও অবহিত করতে হবে এনজিও-এবি-কে। এনজিও-এবি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়েরর সরাসরি তত্ত্বাবধানে পরিচালিত। যেসব এনজিও বিদেশী অনুদান পেয়ে থাকে তাদের কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ এবং বাতিল করার কর্তৃত্ব রয়েছে এনজিও-এবির। এতে কোন আপিল বা স্বতন্ত্র পর্যালোচনা প্রক্রিয়ার সুযোগ নেই। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব হিউম্যান রাইটস, এফআইডিএইচ এর প্রেসিডেন্ট করিম লাহিড়জি বলেন, ‘প্রস্তাবিত এসব আইনি সংস্কার মুক্ত মতপ্রকাশে অধিকতর দমননীতি সৃষ্টি করবে আর মানবাধিকার রক্ষকদের নিরাপদে, স্বাধীন ও কার্যকরভাবে বাংলাদেশ কাজ করার ক্ষমতা সীমাবদ্ধ করবে।’ মতপ্রকাশের স্বাধীনতা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক ও বিশ্বজনীন অধিকার যে অধিকার অসংখ্য আন্তর্জাতিক চুক্তি ও মানদণ্ডে সংরক্ষিত রয়েছে। বিশেষ করে ইন্টারন্যাশনাল কভেন্যান্ট অন সিভিল অ্যান্ড পলিটিক্যাল রাইটসের ২২তম অনুচ্ছেদে- বাংলাদেশ যে আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। ওএমসিটি’র মহাসচিব জেরাল্ড স্ট্যাবেরক বলেন, অবিলম্বে এ দুটি প্রস্তাবিত আইন প্রত্যাখ্যান করার জন্য আমরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই। একইসঙ্গে বাংলাদেশের আইন যেন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ থাকে সেটা নিশ্চিত করতে এবং মৌলিক স্বাধীনতা ও মানবাধিকর সুরক্ষা করতে আমরা আহ্বান জানাই।
১৯৯৭ সালে অবজারভেটরি ফর দ্য প্রোটেশশন অব হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার্স (ওবিএস) যৌথভাবে গঠন করে এফআইডিএইচ এবং ওএমসিটি। এ কার্যক্রমের লক্ষ্য হলো মানবাধিকার রক্ষকদের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নমূলক পরিস্থিরি প্রতিহত বা সমাধান করতে হস্তক্ষেপ করা।
No comments