কৃষকের নাম ভাঙিয়ে সরকারি গুদামে আ.লীগ নেতার ধান
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় সরকারিভাবে বোরো ধান কেনা শুরু হয়েছে। তবে কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড দেখিয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় এক নেতা সব ধান সরবরাহ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সাতটি গুদামে চলতি বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জয়পুরহাট সদর উপজেলার গুদামে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় ৩৩৪ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ কেনার কথা। ২৩ জুন পর্যন্ত এ খাদ্যগুদামে ২০৬ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। সদরের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব চাল সদরের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
উপজেলার ইছুয়া গ্রামের কার্ডধারী ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কেউ সরকারি গুদামে এ বছর ধান বিক্রি করেননি। তাঁদের নামে কে বা কারা সরকারি গুদামে ৮৮০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছে তার কিছুই তাঁরা জানেন না। এই ১১ জন কৃষকের মধ্যে সাত-আটজনই প্রান্তিক কৃষক।
জানতে চাইলে জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও চাতাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় ধান কেনার বরাদ্দ ৩৩৪ মেট্রিক টন। এই সামান্য ধান সদরের বিপুলসংখ্যক কৃষকের কাছ থেকে কিনতে গেলে ঝামেলা হবে—এ আশঙ্কায় তিনি আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওই সব কৃষকের কার্ড ব্যবহার করে ধান বিক্রি করেছেন।
এদিকে সদরের খাদ্যগুদামে কৃষকদের নামে দাখিল করা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডগুলো অনেক আগেই কৃষি বিভাগ থেকে বাতিল করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে মুদ্রণ করা কার্ডগুলো বৈধ হিসেবে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এর আগের কার্ডগুলোর কোনো বৈধতা নেই।
তারপরও ওই কার্ডে ধান ক্রয়ের বিষয়ে খাদ্যগুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মনীতির মাধ্যমেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। বাতিল করা কার্ডের বিষয়ে তিনি জানান, কৃষকেরাই ওই সব কার্ড দিয়ে ধান সরবরাহ করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি ক্রয়নীতি অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকেই ধান কিনে নিচ্ছি। অনিয়মের বিষয়ে কোনো কৃষকই অভিযোগ দিতে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, কৃষকের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করার নিয়ম। এ নিয়ম ভঙ্গ করে খাদ্য বিভাগের লোকজন যদি ভুয়া কার্ডে কৃষকের নামে ধান ক্রয় দেখান তার দায়দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার পাঁচটি উপজেলার সাতটি গুদামে চলতি বোরো মৌসুমে ১ হাজার ৫১৫ মেট্রিক টন ধান ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু জয়পুরহাট সদর উপজেলার গুদামে ধান ক্রয় শুরু হয়েছে। এ উপজেলায় ৩৩৪ মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ কেনার কথা। ২৩ জুন পর্যন্ত এ খাদ্যগুদামে ২০৬ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়। সদরের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এসব চাল সদরের বিভিন্ন গ্রামের কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডের মাধ্যমে কেনা হয়েছে।
উপজেলার ইছুয়া গ্রামের কার্ডধারী ১৪ জনের মধ্যে ১১ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা কেউ সরকারি গুদামে এ বছর ধান বিক্রি করেননি। তাঁদের নামে কে বা কারা সরকারি গুদামে ৮৮০ টাকা মণ দরে ধান বিক্রি করেছে তার কিছুই তাঁরা জানেন না। এই ১১ জন কৃষকের মধ্যে সাত-আটজনই প্রান্তিক কৃষক।
জানতে চাইলে জয়পুরহাট পৌর আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক ও চাতাল ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম বলেন, সদর উপজেলায় ধান কেনার বরাদ্দ ৩৩৪ মেট্রিক টন। এই সামান্য ধান সদরের বিপুলসংখ্যক কৃষকের কাছ থেকে কিনতে গেলে ঝামেলা হবে—এ আশঙ্কায় তিনি আওয়ামী লীগের কিছু নেতাদের সঙ্গে কথা বলে ওই সব কৃষকের কার্ড ব্যবহার করে ধান বিক্রি করেছেন।
এদিকে সদরের খাদ্যগুদামে কৃষকদের নামে দাখিল করা কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ডগুলো অনেক আগেই কৃষি বিভাগ থেকে বাতিল করা হয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল মজিদ বলেন, ২০১৪ সালের জুন মাসে মুদ্রণ করা কার্ডগুলো বৈধ হিসেবে কৃষকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। এর আগের কার্ডগুলোর কোনো বৈধতা নেই।
তারপরও ওই কার্ডে ধান ক্রয়ের বিষয়ে খাদ্যগুদামের সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান বলেন, সরকারি নিয়মনীতির মাধ্যমেই কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। বাতিল করা কার্ডের বিষয়ে তিনি জানান, কৃষকেরাই ওই সব কার্ড দিয়ে ধান সরবরাহ করছেন।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার চৌধুরী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারি ক্রয়নীতি অনুযায়ী কৃষকদের কাছ থেকেই ধান কিনে নিচ্ছি। অনিয়মের বিষয়ে কোনো কৃষকই অভিযোগ দিতে আসেনি। তবে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও দোগাছি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম বলেন, কৃষকের কাছ থেকেই ধান ক্রয় করার নিয়ম। এ নিয়ম ভঙ্গ করে খাদ্য বিভাগের লোকজন যদি ভুয়া কার্ডে কৃষকের নামে ধান ক্রয় দেখান তার দায়দায়িত্ব তাঁদেরই নিতে হবে।
No comments