প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারে জলাবদ্ধতা
টানা বর্ষণে ভোলা শহরের বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। গতকাল বেলা ১১টায় শহরের কালীবাড়ি সড়ক থেকে তোলা ছবি l প্রথম আলো |
চার
দিনের প্রবল বর্ষণে ভোলা শহরের বিভিন্ন সড়ক ও বাড়িঘরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি
হয়েছে। গত বুধবার রাত থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার জেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষ
চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর বাউফলের ২০টি গ্রাম ও আটটি চরের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা শহরের প্রধান সড়ক, আলিয়া মাদ্রাসা, চরনোয়াবাদ, কালীবাড়ি রোড ও গাজীপুর সড়কের সংযোগ সড়ক, টিঅ্যান্ডটি গলি, পাঁচ তহবিল সড়ক, ভোলা-খেয়াঘাট সড়কসহ শহরের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। শহরের অনেক এলাকার লোকজন গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম বাহাউদ্দিন বলেন, যত্রতত্র পুকুর ভরাট ও পর্যাপ্ত নালা না থাকায় শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আলিয়া মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, নালার সংকটে তাঁদের এলাকার পানি বের হতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি, ঢালচরসহ ছয়টি চর, মনপুরা উপজেলার চারটি চর, দৌলতখান উপজেলার পাঁচটি চর, ভোলা সদর উপজেলার দুটি চর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার রাতের ঝড়ে জেলায় কমপক্ষে ৫০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত থেকে জেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জসিম জনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মুঠোফোনে চার্জ নেই। ফলে সব যোগাযোগ বন্ধ হতে বসেছে।
বিদ্যুৎ না থাকার কারণ সম্পর্কে পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী জানান, ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। গ্যাসচালিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা-বাউফলের জাতীয় গ্রিড লাইনের খুঁটিও ভেঙে গেছে।
ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, তাঁদের কেন্দ্র ভালো আছে। কিন্তু বিতরণ লাইন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
চার দিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ২০টি গ্রাম ও আটি চর প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোয়ারের সময় তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এ কারণে কালাইয়া-কেশবপুর সড়ক কাম বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ, বড়ডালিমা, কচুয়া, নিমদী, ধানদী, তাঁতেরকাঠি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ ছাড়া কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলী, মমিনপুর ও জাফরাবাদ, ধুলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া ও বাসুদেবপাশা গ্রাম, কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা, কনকদিয়া ইউনিয়নের আয়লা ও ঝিলনা গ্রাম, কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা ও বগী গ্রাম, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চারটি গ্রামসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
ধানদী গ্রামের রিকশাচালক মো. জালাল বলেন, ‘বৃষ্টির লইগা মানুষ ঘর অইতে বাইর অয় না। হেইয়ার লইগা রিকশা চালান বন্ধ। পোলাপাইন নিয়া খুব কষ্টে দিন চলছে।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বাড়ায় চরগুলোর মধ্যে আন্তযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
চরমিয়াজানের কৃষক শাহ আলম জানান, প্রায় তিন একর জমিতে রোপণের জন্য তিনি আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন। যা গত চার দিন ধরে তলিয়ে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার জামান বলেন, বীজের যাতে ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে মাঠকর্মীরা কাজ করছেন। তাঁরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন।
এদিকে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর বাউফলের ২০টি গ্রাম ও আটটি চরের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, ভোলা শহরের প্রধান সড়ক, আলিয়া মাদ্রাসা, চরনোয়াবাদ, কালীবাড়ি রোড ও গাজীপুর সড়কের সংযোগ সড়ক, টিঅ্যান্ডটি গলি, পাঁচ তহবিল সড়ক, ভোলা-খেয়াঘাট সড়কসহ শহরের অধিকাংশ এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে গেছে। শহরের অনেক এলাকার লোকজন গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে।
নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব এস এম বাহাউদ্দিন বলেন, যত্রতত্র পুকুর ভরাট ও পর্যাপ্ত নালা না থাকায় শহরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
আলিয়া মাদ্রাসা রোডের বাসিন্দা মাসুম বিল্লাহ বলেন, নালার সংকটে তাঁদের এলাকার পানি বের হতে পারছে না।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে চরফ্যাশনের কুকরিমুকরি, ঢালচরসহ ছয়টি চর, মনপুরা উপজেলার চারটি চর, দৌলতখান উপজেলার পাঁচটি চর, ভোলা সদর উপজেলার দুটি চর প্লাবিত হয়েছে। এ ছাড়া বুধবার রাতের ঝড়ে জেলায় কমপক্ষে ৫০টি কাঁচাঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। ভেঙে গেছে বিদ্যুতের খুঁটি।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত থেকে জেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। লালমোহন রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি জসিম জনি বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও মুঠোফোনে চার্জ নেই। ফলে সব যোগাযোগ বন্ধ হতে বসেছে।
বিদ্যুৎ না থাকার কারণ সম্পর্কে পশ্চিমাঞ্চলীয় বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আলী জানান, ঝোড়ো বাতাস ও ভারী বর্ষণে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে গেছে। গ্যাসচালিত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া ভোলা-বাউফলের জাতীয় গ্রিড লাইনের খুঁটিও ভেঙে গেছে।
ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ভেঞ্চার এনার্জি রিসোর্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপক হাফিজুর রহমান বলেন, তাঁদের কেন্দ্র ভালো আছে। কিন্তু বিতরণ লাইন ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
চার দিন ধরে প্রবল বর্ষণ ও জোয়ারের পানি অস্বাভাবিক বেড়ে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ২০টি গ্রাম ও আটি চর প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে আমন ধানের বীজতলা।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে অবিরাম বৃষ্টিপাতের সঙ্গে জোয়ারের সময় তেঁতুলিয়া নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে থাকে। এ কারণে কালাইয়া-কেশবপুর সড়ক কাম বেড়িবাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ, বড়ডালিমা, কচুয়া, নিমদী, ধানদী, তাঁতেরকাঠি গ্রাম প্লাবিত হয়।
এ ছাড়া কেশবপুর ইউনিয়নের তালতলী, মমিনপুর ও জাফরাবাদ, ধুলিয়া ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া ও বাসুদেবপাশা গ্রাম, কাছিপাড়া ইউনিয়নের কারখানা, কনকদিয়া ইউনিয়নের আয়লা ও ঝিলনা গ্রাম, কালাইয়া ইউনিয়নের শৌলা ও বগী গ্রাম, চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চারটি গ্রামসহ ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়।
ধানদী গ্রামের রিকশাচালক মো. জালাল বলেন, ‘বৃষ্টির লইগা মানুষ ঘর অইতে বাইর অয় না। হেইয়ার লইগা রিকশা চালান বন্ধ। পোলাপাইন নিয়া খুব কষ্টে দিন চলছে।’
চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা প্রশাসক ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়া বলেন, ‘স্বাভাবিকের চেয়ে দুই-তিন ফুট পানি বাড়ায় চরগুলোর মধ্যে আন্তযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।’
এদিকে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর ৫০০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা ছিল। ইতিমধ্যে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে আমনের বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।
চরমিয়াজানের কৃষক শাহ আলম জানান, প্রায় তিন একর জমিতে রোপণের জন্য তিনি আমনের বীজতলা তৈরি করেছেন। যা গত চার দিন ধরে তলিয়ে আছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সরোয়ার জামান বলেন, বীজের যাতে ক্ষতি না হয়, সে লক্ষ্যে মাঠকর্মীরা কাজ করছেন। তাঁরা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দিচ্ছেন।
No comments