গতিরোধকের নিজেরই দুর্গতি by কমল জোহা খান
রক্ষণাবেক্ষণের একদিন পর কাঁটা হারিয়ে বসে গতিরোধক যন্ত্রটি। ছবি: কমল জোহা খান |
উল্টো পথে গাড়িতে চলাচল বন্ধ করতে
কাঁটাযুক্ত গতিরোধক যন্ত্র বসিয়ে ছিল ট্রাফিক বিভাগ। কিন্তু গাড়ির চাকা
ফুটো করা দূরের কথা, কাঁটাই হারিয়ে ফেলেছে যন্ত্রটি। অথচ যন্ত্রটি কিনতে
ট্রাফিক বিভাগের খরচ হয়েছিল ছয় লাখ টাকা।
ভিআইপি সড়কে উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে ২০১৪ সালের ২৩ মে রাজধানীর হেয়ার রোডে গতিরোধক যন্ত্রটি প্রথম বসানো হয়। সেদিন এর উদ্বোধন করেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। ২৮ ফুট দীর্ঘ যন্ত্রটি বসানোর সময় ট্রাফিক জানায়, সোজা পথে চলার প্রতিরোধক যন্ত্রটি যেমন যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে, তেমনি উল্টো পথে গেলেই প্রতিরোধক যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত কাঁটাগুলো বিঁধে যাবে গাড়ির চাকায়। এমনটি ঘটলে চাকা ফুটো হওয়া গাড়ি নিয়ে রাজপথেই বসে থাকতে হতে পারে চালককে।
ট্রাফিক বিভাগের দাবি ছিল, বৃষ্টির পানিতে বা ধুলোয় কাঁটাগুলোতে মরচে পড়বে না। কাঁটাগুলো অকেজো হবে না। ৪৫ মিলিমিটার পর পর প্রতিরোধক যন্ত্রে বসানো কাঁটাগুলো সব সময় রাস্তায় তিন ইঞ্চি উঁচু হয়ে থাকবে। যন্ত্রের কাঁটাগুলো আলাদা আলাদা স্প্রিংয়ের ওপর দাঁড়ানো। কেউ চেষ্টা করে এক থেকে দুটি কাঁটা নামাতে পারবে, কিন্তু অন্যগুলো ঠিকই সোজা হয়ে থাকবে। ব্যাক গিয়ারে চালানোর চেষ্টা করা হলেও প্রতিরোধক যন্ত্রটি গাড়ি চাকা ঠিকই ফুটো করে দেবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ২৮ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিরোধ যন্ত্রটি নির্মাণ করেছে ধোলাইখালের সোহেল মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও খরচ দুটিই বহন কবরে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু উদ্বোধনের দুদিন যেতে না যেতে যন্ত্রটি নিজেই বসে যায়। এর স্প্রিং যায় ভেঙে।
জানা গেছে, এক মন্ত্রীর গাড়ির চাকা ফুটো হয়ে যাওয়ায় কয়েক মাস পরে গতিরোধকটি বসানো হয় ডিএমপি সদর দপ্তরের উল্টোদিকে। এবার অবশ্য যন্ত্রটি আরও শক্ত ও মজবুত করা হয়েছে বলে দাবি করেন যন্ত্রটির নির্মাতা সোহেল মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্ণধার সাদিক হোসেন।
ভিআইপি সড়কে উল্টো পথে যান চলাচল বন্ধে ২০১৪ সালের ২৩ মে রাজধানীর হেয়ার রোডে গতিরোধক যন্ত্রটি প্রথম বসানো হয়। সেদিন এর উদ্বোধন করেন পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক (আইজি) হাসান মাহমুদ খন্দকার। ২৮ ফুট দীর্ঘ যন্ত্রটি বসানোর সময় ট্রাফিক জানায়, সোজা পথে চলার প্রতিরোধক যন্ত্রটি যেমন যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করবে, তেমনি উল্টো পথে গেলেই প্রতিরোধক যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত কাঁটাগুলো বিঁধে যাবে গাড়ির চাকায়। এমনটি ঘটলে চাকা ফুটো হওয়া গাড়ি নিয়ে রাজপথেই বসে থাকতে হতে পারে চালককে।
ট্রাফিক বিভাগের দাবি ছিল, বৃষ্টির পানিতে বা ধুলোয় কাঁটাগুলোতে মরচে পড়বে না। কাঁটাগুলো অকেজো হবে না। ৪৫ মিলিমিটার পর পর প্রতিরোধক যন্ত্রে বসানো কাঁটাগুলো সব সময় রাস্তায় তিন ইঞ্চি উঁচু হয়ে থাকবে। যন্ত্রের কাঁটাগুলো আলাদা আলাদা স্প্রিংয়ের ওপর দাঁড়ানো। কেউ চেষ্টা করে এক থেকে দুটি কাঁটা নামাতে পারবে, কিন্তু অন্যগুলো ঠিকই সোজা হয়ে থাকবে। ব্যাক গিয়ারে চালানোর চেষ্টা করা হলেও প্রতিরোধক যন্ত্রটি গাড়ি চাকা ঠিকই ফুটো করে দেবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ২৮ ফুট দৈর্ঘ্যের প্রতিরোধ যন্ত্রটি নির্মাণ করেছে ধোলাইখালের সোহেল মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি। রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ও খরচ দুটিই বহন কবরে প্রতিষ্ঠানটি।
কিন্তু উদ্বোধনের দুদিন যেতে না যেতে যন্ত্রটি নিজেই বসে যায়। এর স্প্রিং যায় ভেঙে।
জানা গেছে, এক মন্ত্রীর গাড়ির চাকা ফুটো হয়ে যাওয়ায় কয়েক মাস পরে গতিরোধকটি বসানো হয় ডিএমপি সদর দপ্তরের উল্টোদিকে। এবার অবশ্য যন্ত্রটি আরও শক্ত ও মজবুত করা হয়েছে বলে দাবি করেন যন্ত্রটির নির্মাতা সোহেল মেটাল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কর্ণধার সাদিক হোসেন।
রক্ষণাবেক্ষণের একদিন পর কাঁটা হারিয়ে বসে গতিরোধক যন্ত্রটি। ছবি: কমল জোহা খান |
সাদিক হোসেন সেসময় প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০০ টন ওজন সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে। এবার আর মরচে পড়বে না।’
তবে ‘শক্ত-মজবুত’ যন্ত্রটি এবার গাড়ির গতিরোধ করতে পারেননি। কাঁটা ভেঙে, স্প্রিং বসে গিয়ে নিজেই যেন আত্ম-সমর্পণ করে বসে। এখন কেবল কয়েকটি কাঁটা চোখে পড়ে। রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। সব শেষ ২৩ জুন রাতে এটি ঠিকঠাক করা হয়েছিল। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, পরের দিনই এর বেশ কয়েকটি কাঁটা বসে পড়ে। যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় গতিরোধক যন্ত্রটির ডান অংশটি বেশি ক্ষতি হয়েছে।
যন্ত্রটি কার্যকর হচ্ছে না—এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাদিক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে এই সড়ক দিয়ে সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাক চলাচল করে। যন্ত্রটির সামনে এসব গাড়ি গতি কমালেই ময়লা পড়ে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানির সঙ্গে কাদা এসে জমে যন্ত্রটির ভেতর। তাই কাঁটাগুলো বসে যায়।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুসলেহউদ্দিন আহমেদ জানান, যন্ত্রটি কার্যকর আছে। পরীক্ষামূলকভাবে এটি বসানো হয়েছিল। তবে রাজধানীর অন্য কোনো সড়কে এ ধরনের গতিরোধক যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেই।
তবে ‘শক্ত-মজবুত’ যন্ত্রটি এবার গাড়ির গতিরোধ করতে পারেননি। কাঁটা ভেঙে, স্প্রিং বসে গিয়ে নিজেই যেন আত্ম-সমর্পণ করে বসে। এখন কেবল কয়েকটি কাঁটা চোখে পড়ে। রক্ষণাবেক্ষণ করা হলেও কাজের কাজ কিছুই হয় না। সব শেষ ২৩ জুন রাতে এটি ঠিকঠাক করা হয়েছিল। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, পরের দিনই এর বেশ কয়েকটি কাঁটা বসে পড়ে। যানবাহনের চাপ বেশি থাকায় গতিরোধক যন্ত্রটির ডান অংশটি বেশি ক্ষতি হয়েছে।
যন্ত্রটি কার্যকর হচ্ছে না—এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে সাদিক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে এই সড়ক দিয়ে সিটি করপোরেশনের ময়লার ট্রাক চলাচল করে। যন্ত্রটির সামনে এসব গাড়ি গতি কমালেই ময়লা পড়ে। এ ছাড়া বৃষ্টির পানির সঙ্গে কাদা এসে জমে যন্ত্রটির ভেতর। তাই কাঁটাগুলো বসে যায়।’
এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুসলেহউদ্দিন আহমেদ জানান, যন্ত্রটি কার্যকর আছে। পরীক্ষামূলকভাবে এটি বসানো হয়েছিল। তবে রাজধানীর অন্য কোনো সড়কে এ ধরনের গতিরোধক যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেই।
No comments