প্রায় দুই দশক পর গণমাধ্যমের মুখোমুখি- ক্ষমা চাইলেন নরিয়েগা
পানামার
সাবেক সামরিক একনায়ক জেনারেল ম্যানুয়েল নরিয়েগা তাঁর জারি করা সামরিক
শাসনের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। কারাবন্দী নরিয়েগা পানামার টেলিমেট্রো
টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এভাবে ক্ষমা চেয়ে দীর্ঘ নীরবতা
ভাঙেন। খবর গার্ডিয়ানের।
একসময়ের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের চর জেনারেল নরিয়েগার শাসনের (১৯৮৩-১৯৮৯) অবসান ঘটে দেশটিতে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের পর। নরিয়েগার শাসনকালকে পানামার অন্ধকার সময় বলে অভিহিত করা হয়। সে সময় শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করেন নরিয়েগা। নরিয়েগার পতনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে তিন দশকের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে।
সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নরিয়েগা বলেন, ‘সামরিক যুগের অবসান চেয়ে সেই দলের শেষ কমান্ডার হিসেবে আমি ক্ষমা চাইছি।’ এখন নরিয়েগার বয়স ৮১ বছর।
১৯৯৬ সালের পর নরিয়েগা এই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন। ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় তাঁর সাক্ষাৎকার নেন সিএনএনের প্রখ্যাত উপস্থাপক ল্যারি কিং। কলম্বিয়ার কোকেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বন্দী করে নিয়ে আসে। টেলিভিশনে নরিয়েগা একটি লিখিত বিবৃতি পড়েন। তিনি জানেন, গির্জায় তাঁর পরিবার এবং অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন আলোচনার পর তিনি ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, এই ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত লাভালাভ নেই। কেবল সামরিক শাসনের কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি চেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে কারাবাসের পর নরিয়েগাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অর্থ পাচারের মামলায় তাঁর সাজা হয়। ২০১১ সালে তাঁকে আবার ফেরত পাঠানো হয় পানামায়। দেশে এসে হত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় নরিয়েগার ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে নরিয়েগা তাঁর বিরুদ্ধে দেশটির দুজন খ্যাতিমান বিরোধী নেতার নিরুদ্দেশ ও হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। নিজেকে ‘সামরিক আমলের শেষ জেনারেল’ আখ্যা দিয়ে নরিয়েগা তাঁর আমলে ‘নিগৃহীত, আক্রান্ত ও আহতদের’ কাছে ক্ষমা চান।
নরিয়েগার এই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর পানামাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ কেউ একসময়ের এই একগুঁয়ে সামরিক সরকারের ক্ষমা চাওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন। তবে অনেকেই একে সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য একটি নীরব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন। নরিয়েগার জীবনী লেখক আর এম কস্টার বলেন, নরিয়েগা যা বলেন এর কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা—এর মধ্যে বিভেদ করাটা মুশকিল।
একসময়ের মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইয়ের চর জেনারেল নরিয়েগার শাসনের (১৯৮৩-১৯৮৯) অবসান ঘটে দেশটিতে ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযানের পর। নরিয়েগার শাসনকালকে পানামার অন্ধকার সময় বলে অভিহিত করা হয়। সে সময় শত শত রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করেন নরিয়েগা। নরিয়েগার পতনের মধ্য দিয়ে দেশটিতে তিন দশকের সামরিক শাসনের অবসান ঘটে।
সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে নরিয়েগা বলেন, ‘সামরিক যুগের অবসান চেয়ে সেই দলের শেষ কমান্ডার হিসেবে আমি ক্ষমা চাইছি।’ এখন নরিয়েগার বয়স ৮১ বছর।
১৯৯৬ সালের পর নরিয়েগা এই প্রথম গণমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন। ১৯৯৬ সালে সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় তাঁর সাক্ষাৎকার নেন সিএনএনের প্রখ্যাত উপস্থাপক ল্যারি কিং। কলম্বিয়ার কোকেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগসাজশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে বন্দী করে নিয়ে আসে। টেলিভিশনে নরিয়েগা একটি লিখিত বিবৃতি পড়েন। তিনি জানেন, গির্জায় তাঁর পরিবার এবং অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে বেশ কয়েক দিন আলোচনার পর তিনি ক্ষমা চাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানান, এই ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে তাঁর কোনো ব্যক্তিগত লাভালাভ নেই। কেবল সামরিক শাসনের কালো অধ্যায়ের সমাপ্তি চেয়েই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে কারাবাসের পর নরিয়েগাকে ফ্রান্সে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে অর্থ পাচারের মামলায় তাঁর সাজা হয়। ২০১১ সালে তাঁকে আবার ফেরত পাঠানো হয় পানামায়। দেশে এসে হত্যা, দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মামলায় নরিয়েগার ৬০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সাক্ষাৎকারে নরিয়েগা তাঁর বিরুদ্ধে দেশটির দুজন খ্যাতিমান বিরোধী নেতার নিরুদ্দেশ ও হত্যার অভিযোগ প্রসঙ্গে কিছু বলেননি। নিজেকে ‘সামরিক আমলের শেষ জেনারেল’ আখ্যা দিয়ে নরিয়েগা তাঁর আমলে ‘নিগৃহীত, আক্রান্ত ও আহতদের’ কাছে ক্ষমা চান।
নরিয়েগার এই সাক্ষাৎকার প্রচারের পর পানামাবাসীর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। কেউ কেউ একসময়ের এই একগুঁয়ে সামরিক সরকারের ক্ষমা চাওয়ায় বিস্মিত হয়েছেন। তবে অনেকেই একে সাজার মেয়াদ কমানোর জন্য একটি নীরব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন। নরিয়েগার জীবনী লেখক আর এম কস্টার বলেন, নরিয়েগা যা বলেন এর কোনটা সত্য আর কোনটা মিথ্যা—এর মধ্যে বিভেদ করাটা মুশকিল।
No comments