নজিরবিহীন ভোটই হলো
ভোটের
ইতিহাসে নতুন অধ্যায় যোগ হলো বাংলাদেশে। শঙ্কা ছিল আগেই। এ নির্বাচন হবে
নজিরবিহীন। হলোও তাই। ভোটের উৎসব শেষ হয়ে গেল সকাল ৯টার মধ্যেই। আগের রাত
থেকেই ইশারা-ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। ব্যালট পেপারে সিলমারা আরা ছিনতাইয়ের
খবর মিলছিলো। যদিও তার সংখ্যা ছিল কম।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দৃশ্যপট খারাপের দিকে যেতে থাকে। প্রথম বাধা আসে গণমাধ্যমের দিকেই। অতীতের সবক’টি নির্বাচনেই কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়া সুযোগ ছিল ক্যামেরার। কিন্তু এদিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিডিয়া। বলা হয়, কেন্দ্রের চারশ’ গজের ভেতর ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যাবে না। পুলিশের বক্তব্য তারা এ কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের দাবি, পুলিশকে এ ধরনের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে একথা বলেই তিনি নিজের দায়িত্ব সেরেছেন। কোন ব্যবস্থা নেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা নির্বাচন কমিশন কেউই এখন বিরোধীদের ছাড়া অন্য কারও কোন অপরাধ খুঁজে পান না। নিকট ভবিষ্যতে তারা সেটা পাবেন বলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করেন না।
মঙ্গলবার ভোট শুরুর আধঘণ্টার ভেতরেই প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই বিরোধী সমর্থক প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে ভালই সমন্বয় ছিল। কেন্দ্র বিরোধী এজেন্টমুক্ত করার পর বিরোধী ভোটারমুক্তও করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। কেন্দ্রের সামনেও জটলা তৈরি করেন তারা। কোন কেন্দ্রের আশপাশেই বিরোধী সমর্থকদের দেখা যায়নি। কোথাও দেখা গেছে প্রকাশ্যে সিল মারতে। কোথাও দেখা গেছে ভোটারদের নির্দেশনা দিতে। অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বলা বাহুল্য, এ সংঘর্ষ হয়েছে সরকারি দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেই।
বেলা ১২টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এমন একটি বহুল আলোচিত নির্বাচনে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার ভেতরেই বিরোধী সমর্থকদের সরে যাওয়ার ঘটনাও অভিনব।
কলঙ্কজনক ভোট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে সবকিছু এত খোলামেলা হওয়ার ঘটনা সম্ভবত এবারই প্রথম। একদিনের বাদশারা তাদের রায় দিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, মঙ্গলবার কোন মঙ্গল বয়ে নিয়ে আনেনি। ভোটের উৎসবে মøান হয়েছে গণতন্ত্র। বেশির ভাগ মানুষই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এ নিয়ে বেশি বলাও অবশ্য মুশকিল। কিছু কিছু পত্রিকা বলেছিল, এ নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই কি বলা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরও একবার পরাজিত হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার সকাল থেকেই দৃশ্যপট খারাপের দিকে যেতে থাকে। প্রথম বাধা আসে গণমাধ্যমের দিকেই। অতীতের সবক’টি নির্বাচনেই কেন্দ্রের ভেতরে যাওয়া সুযোগ ছিল ক্যামেরার। কিন্তু এদিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে মিডিয়া। বলা হয়, কেন্দ্রের চারশ’ গজের ভেতর ক্যামেরা নিয়ে যাওয়া যাবে না। পুলিশের বক্তব্য তারা এ কাজ করছেন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশেই। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার শাহনেওয়াজের দাবি, পুলিশকে এ ধরনের কোন নির্দেশনা দেয়া হয়নি। তবে একথা বলেই তিনি নিজের দায়িত্ব সেরেছেন। কোন ব্যবস্থা নেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা নির্বাচন কমিশন কেউই এখন বিরোধীদের ছাড়া অন্য কারও কোন অপরাধ খুঁজে পান না। নিকট ভবিষ্যতে তারা সেটা পাবেন বলেও পর্যবেক্ষকরা মনে করেন না।
মঙ্গলবার ভোট শুরুর আধঘণ্টার ভেতরেই প্রায় সব কেন্দ্র থেকেই বিরোধী সমর্থক প্রার্থীদের এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং সরকার সমর্থক নেতাকর্মীদের মধ্যে ভালই সমন্বয় ছিল। কেন্দ্র বিরোধী এজেন্টমুক্ত করার পর বিরোধী ভোটারমুক্তও করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন যুবলীগ-ছাত্রলীগ কর্মীরা। কেন্দ্রের সামনেও জটলা তৈরি করেন তারা। কোন কেন্দ্রের আশপাশেই বিরোধী সমর্থকদের দেখা যায়নি। কোথাও দেখা গেছে প্রকাশ্যে সিল মারতে। কোথাও দেখা গেছে ভোটারদের নির্দেশনা দিতে। অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ে কয়েকটি কেন্দ্রে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। বলা বাহুল্য, এ সংঘর্ষ হয়েছে সরকারি দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের সমর্থকদের মধ্যেই।
বেলা ১২টার দিকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ায় বিএনপি। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও দক্ষিণের প্রার্থী মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাসকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। এমন একটি বহুল আলোচিত নির্বাচনে ভোট শুরুর চার ঘণ্টার ভেতরেই বিরোধী সমর্থকদের সরে যাওয়ার ঘটনাও অভিনব।
কলঙ্কজনক ভোট বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। তবে সবকিছু এত খোলামেলা হওয়ার ঘটনা সম্ভবত এবারই প্রথম। একদিনের বাদশারা তাদের রায় দিতে পারবেন কি-না তা নিয়ে আগেই শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছিল। দুঃখজনক হলেও সত্য, মঙ্গলবার কোন মঙ্গল বয়ে নিয়ে আনেনি। ভোটের উৎসবে মøান হয়েছে গণতন্ত্র। বেশির ভাগ মানুষই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এ নিয়ে বেশি বলাও অবশ্য মুশকিল। কিছু কিছু পত্রিকা বলেছিল, এ নির্বাচন হবে গণতন্ত্রের অগ্নিপরীক্ষা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগেই কি বলা যায়, বাংলাদেশে গণতন্ত্র আরও একবার পরাজিত হয়েছে।
No comments