মেয়রের ক্ষমতারও বিকেন্দ্রীকরণ দরকার by সারওয়ার জাহান
২৮ এপ্রিল, ২০১৫ ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। এই
নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী মেয়র প্রার্থীরা নির্বাচনী ইশতেহার
দিয়েছেন। মেয়র প্রার্থীদের নির্বাচনী ইশতেহার ও নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে
লিখেছেন নগর পরিকল্পনাবিদ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
সারওয়ার জাহান।
ইশতেহারে মেয়ররা যা বলেছেন, তা বাস্তবায়নে তাঁদের ক্ষমতা পুরোপুরি আছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নগর প্রশাসন কী করতে পারে, তার একটি লম্বা তালিকা ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনে দেওয়া আছে। তবে এর বেশির ভাগই অনেক আগে থেকে আমাদের জাতীয় সরকার ও তার নানা সংস্থা করে আসছিল। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতার মতো কতিপয় কাজ অবশ্য নির্দিষ্টভাবে তাদের আওতায় পড়ে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়র পদপ্রার্থীরা এমন অনেক অঙ্গীকার করেছেন, যা তাঁদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যেমন যানজট। যেসব কারণে এই সমস্যা, এগুলোর সঙ্গে পরিবহন ও অবকাঠামো দুটোই আছে। রাস্তাঘাট তৈরির মতো অবকাঠামোতে করপোরেশনের কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু তার সেবা নিয়ন্ত্রণ করে বিআরটিএ। ট্রাফিক দেখে পুলিশ। এসব বিষয়ে সিটির কিছুই করার নেই। রাস্তাঘাট খারাপ থাকা বা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে তারা কিছু ভূমিকা রাখতে পারে।
এখন মাইকিংয়ে শুনছি, তাঁরা শব্দদূষণও দেখবেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব বিষয় দেখভাল করে। সুতরাং, পরিবেশে তাঁদের তেমন কিছু করার নেই। আবার তাঁরা যদি পরিবেশ অধিদপ্তরকে আস্থায় নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেন, তাহলে তাঁরা সফল হতে পারেন। কারণ, মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচিত হওয়ায় তাঁদের একটা গণভিত্তি থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের কাজ বাস্তবায়নে নগর প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করতে পারে। কারণ, তাদের চেয়ে অনেক বেশি সহজে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। মনে রাখা দরকার, মূলত জনসচেতনতার অভাবেই পরিবেশের প্রভূত ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কাজেই করপোরেশনকে ক্ষমতা দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারে।
খাদ্যে ভেজাল রোধে তাঁর কিছু করার আছে, আবার সেখানেও তাঁকে পুলিশি সহায়তা পেতে হবে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচিত মেয়ররা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে পারেন। ঢাকা একটি আবর্জনার নগরে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতার যে সমস্যা আছে, সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই চারদিকে পানি জমে। প্রতিদিন সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সিটি করপোরেশন এর অর্ধেক সংগ্রহ করছে। বাকিটা পারছে না। এই বর্জ্য নগরের উপরিভাগে যেসব নালা রয়েছে, তাতে গিয়ে জমছে। নর্দমা বন্ধ হওয়ার ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তাই আশা করব, তাঁরা ক্লিন ঢাকার প্রচারণাটা জোরদার করবেন। কারণ, সেটা তাঁদের এখতিয়ারের মধ্যেই আছে। এখানে সাফল্য এলে যানজট থাকবে, কিন্তু ঢাকার চেহারাটা বদলানো যাবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকেও অনেকটা পরিত্রাণ মিলবে। আমরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছি, বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের যে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে, সেটা ঠিকমতো কাজ করে না। তাই আমি আশা করব, আসন্ন নির্বাচনে মেয়র বা কাউন্সিলর পদে যাঁরাই নির্বাচিত হোন, তাঁরা সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেবেন পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে।
তাই রাস্তাঘাট ও ফুটপাত যদি পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে যানজট যন্ত্রণাও কিছুটা লাঘব হবে। বর্তমানে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার ফুটপাত রয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়ানো ও ফুটপাতকে দখলমুক্ত করা যায়। তখন নাগরিককে ফুটপাত ব্যবহারে অধিকতর সচেতন করতে হবে। এভাবে তাঁরা নগরবাসীকে কিছু বেশি আরাম বা স্বস্তি দিতে পারেন। এভাবে নগর প্রশাসন যানজট নিরসনের সহায়ক শক্তি হতে পারে। রাস্তার সাংকেতিক বাতির ব্যবস্থা নগর ভবনের, আর ট্রাফিক-ব্যবস্থা পুলিশের কাছে। তাই উভয়ের মধ্যে একটা সমন্বয় দরকার।
তবে সবশেষে যে বিষয়টির ওপর আমি বেশি জোর দিতে চাই, তা হলো বিকেন্দ্রীকরণ। এটা যেমন জাতীয় সরকারকে করতে হবে, তেমনি এটা নানা মাত্রায় সিটি প্রশাসনকেও করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবে মেয়রকেই ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে দেখা যায়। ভালোভাবে প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে এটা একটা বিরাট বাধা। মেয়ররা যত ধরনের অঙ্গীকার করেছেন, তার মধ্যে করপোরেশনের ওপর অর্পিত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে তেমন কোনো আওয়াজ কানে এল না। অথচ এটাই সব থেকে জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়। ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার কারণে নগর সরকারের ধারণা আরেকটু বেশি ঝামেলায় পড়েছে। আগে একটি করপোরেশন থাকার ফলে এর অর্জন যত সহজ ছিল এখন তা আরেকটু জটিল হয়েছে। আমরা যে ৫৬ সংস্থার কথা বলি, যারা বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে, তাদের দুটি নগর সরকারের মধ্যে ভাগ করতে হবে। তখন আবার সমন্বয়ের সমস্যা বাড়বে।
এখন মেয়ররা সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষি করে কিছু ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তার সার্থক ও গণমুখী প্রয়োগ ঘটাতে গেলে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা লাগবে। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদ ইত্যাদির মতো বহু দৈনন্দিন সেবা রয়েছে, সেসব বিষয়ে মেয়র উদ্যোগী হয়ে আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো দূর করতে পারেন। আমি মনে করি, ভোগান্তিহীন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কাউন্সিলরের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্ডের সঙ্গেও ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশন আইনে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। আবার মেয়রদের ক্ষমতাও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে।
সারওয়ার জাহান: অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, বুয়েট।
ইশতেহারে মেয়ররা যা বলেছেন, তা বাস্তবায়নে তাঁদের ক্ষমতা পুরোপুরি আছে কি না, সেটা একটা প্রশ্ন। নগর প্রশাসন কী করতে পারে, তার একটি লম্বা তালিকা ২০০৯ সালের সিটি করপোরেশন আইনে দেওয়া আছে। তবে এর বেশির ভাগই অনেক আগে থেকে আমাদের জাতীয় সরকার ও তার নানা সংস্থা করে আসছিল। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, জলাবদ্ধতার মতো কতিপয় কাজ অবশ্য নির্দিষ্টভাবে তাদের আওতায় পড়ে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের মেয়র পদপ্রার্থীরা এমন অনেক অঙ্গীকার করেছেন, যা তাঁদের পক্ষে বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। যেমন যানজট। যেসব কারণে এই সমস্যা, এগুলোর সঙ্গে পরিবহন ও অবকাঠামো দুটোই আছে। রাস্তাঘাট তৈরির মতো অবকাঠামোতে করপোরেশনের কিছু দায়িত্ব আছে। কিন্তু তার সেবা নিয়ন্ত্রণ করে বিআরটিএ। ট্রাফিক দেখে পুলিশ। এসব বিষয়ে সিটির কিছুই করার নেই। রাস্তাঘাট খারাপ থাকা বা খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে তারা কিছু ভূমিকা রাখতে পারে।
এখন মাইকিংয়ে শুনছি, তাঁরা শব্দদূষণও দেখবেন। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তর ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এসব বিষয় দেখভাল করে। সুতরাং, পরিবেশে তাঁদের তেমন কিছু করার নেই। আবার তাঁরা যদি পরিবেশ অধিদপ্তরকে আস্থায় নিয়ে কিছু উদ্যোগ নেন, তাহলে তাঁরা সফল হতে পারেন। কারণ, মেয়র ও কাউন্সিলররা নির্বাচিত হওয়ায় তাঁদের একটা গণভিত্তি থাকে। পরিবেশ অধিদপ্তরও স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তাঁদের কাজ বাস্তবায়নে নগর প্রশাসনকে সম্পৃক্ত করতে পারে। কারণ, তাদের চেয়ে অনেক বেশি সহজে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা মানুষকে উদ্দীপ্ত করতে পারে। মনে রাখা দরকার, মূলত জনসচেতনতার অভাবেই পরিবেশের প্রভূত ক্ষতি সাধন হচ্ছে। কাজেই করপোরেশনকে ক্ষমতা দিলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তারা তা বাস্তবায়ন করতে পারে।
খাদ্যে ভেজাল রোধে তাঁর কিছু করার আছে, আবার সেখানেও তাঁকে পুলিশি সহায়তা পেতে হবে। তবে আমি মনে করি, নির্বাচিত মেয়ররা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে বিশেষভাবে নজর দিতে পারেন। ঢাকা একটি আবর্জনার নগরে পরিণত হয়েছে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ঘাটতির কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধতার যে সমস্যা আছে, সেখানে একটু বৃষ্টি হলেই চারদিকে পানি জমে। প্রতিদিন সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টন বর্জ্য উৎপন্ন হয়। সিটি করপোরেশন এর অর্ধেক সংগ্রহ করছে। বাকিটা পারছে না। এই বর্জ্য নগরের উপরিভাগে যেসব নালা রয়েছে, তাতে গিয়ে জমছে। নর্দমা বন্ধ হওয়ার ফলে জলাবদ্ধতার সমস্যা প্রকট হচ্ছে। এর ফলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। তাই আশা করব, তাঁরা ক্লিন ঢাকার প্রচারণাটা জোরদার করবেন। কারণ, সেটা তাঁদের এখতিয়ারের মধ্যেই আছে। এখানে সাফল্য এলে যানজট থাকবে, কিন্তু ঢাকার চেহারাটা বদলানো যাবে। জলাবদ্ধতার সমস্যা থেকেও অনেকটা পরিত্রাণ মিলবে। আমরা একটি সমীক্ষা করে দেখেছি, বর্জ্য অব্যবস্থাপনার কারণে আমাদের যে পানিনিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে, সেটা ঠিকমতো কাজ করে না। তাই আমি আশা করব, আসন্ন নির্বাচনে মেয়র বা কাউন্সিলর পদে যাঁরাই নির্বাচিত হোন, তাঁরা সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেবেন পরিচ্ছন্ন নগর গড়তে।
তাই রাস্তাঘাট ও ফুটপাত যদি পরিচ্ছন্ন রাখা যায়, সুষ্ঠুভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা যায়, তাহলে যানজট যন্ত্রণাও কিছুটা লাঘব হবে। বর্তমানে প্রায় ১৮০ কিলোমিটার ফুটপাত রয়েছে। এর পরিমাণ আরও বাড়ানো ও ফুটপাতকে দখলমুক্ত করা যায়। তখন নাগরিককে ফুটপাত ব্যবহারে অধিকতর সচেতন করতে হবে। এভাবে তাঁরা নগরবাসীকে কিছু বেশি আরাম বা স্বস্তি দিতে পারেন। এভাবে নগর প্রশাসন যানজট নিরসনের সহায়ক শক্তি হতে পারে। রাস্তার সাংকেতিক বাতির ব্যবস্থা নগর ভবনের, আর ট্রাফিক-ব্যবস্থা পুলিশের কাছে। তাই উভয়ের মধ্যে একটা সমন্বয় দরকার।
তবে সবশেষে যে বিষয়টির ওপর আমি বেশি জোর দিতে চাই, তা হলো বিকেন্দ্রীকরণ। এটা যেমন জাতীয় সরকারকে করতে হবে, তেমনি এটা নানা মাত্রায় সিটি প্রশাসনকেও করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে বাস্তবে মেয়রকেই ক্ষমতা কার্যকরভাবে প্রয়োগ করতে দেখা যায়। ভালোভাবে প্রশাসন চালানোর ক্ষেত্রে এটা একটা বিরাট বাধা। মেয়ররা যত ধরনের অঙ্গীকার করেছেন, তার মধ্যে করপোরেশনের ওপর অর্পিত ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণে তেমন কোনো আওয়াজ কানে এল না। অথচ এটাই সব থেকে জরুরি বলে প্রতীয়মান হয়। ঢাকা দুই ভাগ হওয়ার কারণে নগর সরকারের ধারণা আরেকটু বেশি ঝামেলায় পড়েছে। আগে একটি করপোরেশন থাকার ফলে এর অর্জন যত সহজ ছিল এখন তা আরেকটু জটিল হয়েছে। আমরা যে ৫৬ সংস্থার কথা বলি, যারা বিভিন্ন সেবা দিচ্ছে, তাদের দুটি নগর সরকারের মধ্যে ভাগ করতে হবে। তখন আবার সমন্বয়ের সমস্যা বাড়বে।
এখন মেয়ররা সরকারের সঙ্গে দর-কষাকষি করে কিছু ক্ষমতা বাড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু তার সার্থক ও গণমুখী প্রয়োগ ঘটাতে গেলে কাউন্সিলরদের সহযোগিতা লাগবে। জন্মনিবন্ধন, মৃত্যুসনদ ইত্যাদির মতো বহু দৈনন্দিন সেবা রয়েছে, সেসব বিষয়ে মেয়র উদ্যোগী হয়ে আমলাতান্ত্রিক বাধাগুলো দূর করতে পারেন। আমি মনে করি, ভোগান্তিহীন সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে কাউন্সিলরের নেতৃত্বাধীন ওয়ার্ডের সঙ্গেও ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের কথা ভাবতে হবে। সিটি করপোরেশন আইনে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে হবে। আবার মেয়রদের ক্ষমতাও ওয়ার্ড পর্যায়ে বিস্তৃত করতে হবে।
সারওয়ার জাহান: অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, বুয়েট।
No comments