ব্যালট সংকট: ফিরে গেলেন ভোটাররা
বেলা
সাড়ে ১১টা স্পট সিদ্বেশ্বরী গার্সল স্কুল। এই কেন্দ্রের ৮টি বুথেই ব্যালট
নেই। ভোটাররা দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও ভেতরে প্রবেশ করতে না পেরে
বিফল মনোরথে ফিরে যান। একই অবস্থা রাজধানীর সেগুনবাগিচা হাইস্কুল কেন্দ্রে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে ব্যাপট জালভোটের কারনে দুপুর ১২টার মধ্যেই অধিকাংশ কেন্দ্রে ব্যালট সংকট দেখা দেয়।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সকালে যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ক্যাডাররা প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল বাক্সে ভরে দেয়। বেলা নটার পর ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। অসংখ্য ভোটার ভোট দিতে এসে দেখেন তাদের ভোট দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ ভোটার নম্বর খুঁজে পাননি। ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্বেচ্ছাসেবকদের কোন পাত্তা নেই। সকালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক ও পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে। ফলে ভোট দিতে গিয়ে শত শত ভোটারদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণের ১১ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় যুগান্তরের সাংবাদিক ওয়াবেদ অংশুমানকে লাঞ্চিত করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা। তারা (ছাত্রলীগ-যুবলীগ) তাকে রক্তাক্ত করেই কান্ত হয়নি, তার জামা কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলে।
স্কুলের দোতলায় পৌনে বারোয় ২ নং পুরুষ বুথে গিয়ে দেখা গেলো একজন যুবক দরজা আটকে রেখেছে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেলো ৪-৫জন যুবক প্রকাশ্যে সিল মারছে। একটু পরে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ১০-১২জন ভোটার রুমে প্রবেশ করে ব্যালট চাইলে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার বললেন,ব্যালট শেষ। এসময় একজন বৃদ্ধ মুজিব মিঞা পাশে দাড়ানো এক যুবককে বললেন,মিঞা ভোটটাও দিতে দিলা না।
একই অবস্থা দোতলার ৪নং মহিলা বুথে। মহিলা বুথের ভেতরে প্রকাশ্যে কয়েকজন কিশোর ব্যালট পেপারে সমানতালে একটার পর একটা সিল মারছেন। আরেকজন সেগুলো ছিড়ে বাক্সে ভরছেন। এব্যাপারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে প্ওায়া যায়নি। দোতলায় ১০-১২ জন পৃুলিশ নির্বিকার দাড়িয়েছিলেন।
এছাড়া রাজধানীর সেগুন বাগিচা হাইস্কুল,টিএন্ডটি কলোনী হাইস্কুল এন্ড কলেজ, বধির স্কুল, শান্তিবাগ স্কুল ও বঙ্গবাজার এলাকার ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১২ টার মধ্যেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। জালভোট দেয়ার কারনে ব্যালট সংকট থাকায় এসব কেন্দ্রের ভোটারদের ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেক ভোটার নম্বর না প্ওায়ায় এসএমএস করে নম্বর সংগ্রহ কর্ওে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দুটি বুথের ব্যালট পেপার নিয়ে সরকারদলীয় সমর্থকরা। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের আধা ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যালয়টির ৫ ও ৬ নম্বর বুথে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একাধিক ভোটার অভিযোগ করেন, এখানে পুলিশের একাধিক সদস্য ওই যুবকদের ভেতরে প্রবেশে সহযোগিতা করেছে।
এছাড়া মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী ভোট কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুনের স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে নিহত যুবলীগ নেতা মিল্কির ড্রাইভার সাগর।
এছাড়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সিলভারডেল প্রিপারেটরি এ্যান্ড গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্র নম্বর ১ ও ২, নিটল স্কলার টিউটোরিয়াল এ্যান্ড হাই স্কুল, ওয়ারী সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ওয়ারী আবদুর রহিম কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্র ১ ও ২, ওয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়, ফকির চাঁন সর্দার কমিউনিটি সেন্টার, নারিন্দা সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বেশীরভাগ কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারদলীয় সমর্থক ও কর্মীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে রেখেছে।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সকালে যুবলীগ,ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থক ক্যাডাররা প্রকাশ্যে ব্যালটে সিল বাক্সে ভরে দেয়। বেলা নটার পর ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়তে থাকে। অসংখ্য ভোটার ভোট দিতে এসে দেখেন তাদের ভোট দেয়া হয়েছে। কেউ কেউ ভোটার নম্বর খুঁজে পাননি। ভোট কেন্দ্রের বাইরে স্বেচ্ছাসেবকদের কোন পাত্তা নেই। সকালে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীদের স্বেচ্ছাসেবক ও পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া অধিকাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে। ফলে ভোট দিতে গিয়ে শত শত ভোটারদের বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণের ১১ নং ওয়ার্ডের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় যুগান্তরের সাংবাদিক ওয়াবেদ অংশুমানকে লাঞ্চিত করে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডাররা। তারা (ছাত্রলীগ-যুবলীগ) তাকে রক্তাক্ত করেই কান্ত হয়নি, তার জামা কাপড়ও ছিঁড়ে ফেলে।
স্কুলের দোতলায় পৌনে বারোয় ২ নং পুরুষ বুথে গিয়ে দেখা গেলো একজন যুবক দরজা আটকে রেখেছে। ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেলো ৪-৫জন যুবক প্রকাশ্যে সিল মারছে। একটু পরে সাংবাদিক পরিচয় জানার পর ১০-১২জন ভোটার রুমে প্রবেশ করে ব্যালট চাইলে সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার বললেন,ব্যালট শেষ। এসময় একজন বৃদ্ধ মুজিব মিঞা পাশে দাড়ানো এক যুবককে বললেন,মিঞা ভোটটাও দিতে দিলা না।
একই অবস্থা দোতলার ৪নং মহিলা বুথে। মহিলা বুথের ভেতরে প্রকাশ্যে কয়েকজন কিশোর ব্যালট পেপারে সমানতালে একটার পর একটা সিল মারছেন। আরেকজন সেগুলো ছিড়ে বাক্সে ভরছেন। এব্যাপারে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলেও তাকে প্ওায়া যায়নি। দোতলায় ১০-১২ জন পৃুলিশ নির্বিকার দাড়িয়েছিলেন।
এছাড়া রাজধানীর সেগুন বাগিচা হাইস্কুল,টিএন্ডটি কলোনী হাইস্কুল এন্ড কলেজ, বধির স্কুল, শান্তিবাগ স্কুল ও বঙ্গবাজার এলাকার ভোট কেন্দ্রে দুপুর ১২ টার মধ্যেই ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যায়। জালভোট দেয়ার কারনে ব্যালট সংকট থাকায় এসব কেন্দ্রের ভোটারদের ভোট না দিয়েই ফিরে যেতে দেখা গেছে। আবার অনেক ভোটার নম্বর না প্ওায়ায় এসএমএস করে নম্বর সংগ্রহ কর্ওে বুথে গিয়ে ভোট দিতে পারেনি।
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের খিলগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রের দুটি বুথের ব্যালট পেপার নিয়ে সরকারদলীয় সমর্থকরা। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণের আধা ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যালয়টির ৫ ও ৬ নম্বর বুথে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ও ভোটার তালিকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়। একাধিক ভোটার অভিযোগ করেন, এখানে পুলিশের একাধিক সদস্য ওই যুবকদের ভেতরে প্রবেশে সহযোগিতা করেছে।
এছাড়া মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনী ভোট কেন্দ্রে বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী হারুনের স্ত্রীকে লাঞ্চিত করে নিহত যুবলীগ নেতা মিল্কির ড্রাইভার সাগর।
এছাড়া ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের সিলভারডেল প্রিপারেটরি এ্যান্ড গার্লস হাই স্কুল কেন্দ্র নম্বর ১ ও ২, নিটল স্কলার টিউটোরিয়াল এ্যান্ড হাই স্কুল, ওয়ারী সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ওয়ারী আবদুর রহিম কমিউনিটি সেন্টার কেন্দ্র ১ ও ২, ওয়ারী উচ্চ বিদ্যালয়, ফকির চাঁন সর্দার কমিউনিটি সেন্টার, নারিন্দা সরকারি বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৯টি কেন্দ্র পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বেশীরভাগ কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ শেষ পর্যায়ে। প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না। সরকারদলীয় সমর্থক ও কর্মীরা ভোটকেন্দ্র দখল করে রেখেছে।
No comments