টক শো বনাম সুইট শো by সাজেদুল হক
বুধবারের
ক্যানবেরার মানুকা ওভাল। দেখে বোঝার উপায় নেই বাংলাদেশ না অস্ট্রেলিয়ার
কোন স্টেডিয়াম। গ্যালারি যেন একখণ্ড লাল-সবুজ। একটু পরপর বেজে উঠছে পূর্ব
দিগন্তে সূর্য উঠেছে রক্ত লাল...।
রক্তের রং কেমন তা বাঙালির চেয়ে বেশি আর কে-ইবা জানে? ৩০ লাখ মানুষের রক্তস্রোতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। কিন্তু সে রক্তের প্রবাহ এখনও থামেনি। আজও আপনি সংবাদপত্রের পাতা উল্টালেই দেখলে দেখতে পাবেন কোথাও না কোথাও কেউ পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন? বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর খাতায় নাম উঠেছে কারও। ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কাউকে। কেউবা পঙ্গু হয়ে গেছেন। প্রশ্নটি আজ আরও বড়- এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?
এই যখন অবস্থা তখন কেমন চলছে আমাদের টক শোগুলো। কী নিয়ে আলোচনা চলছে সেখানে। ক্ষেপাটে যোগাযোগ তত্ত্ববিদ মার্শাল ম্যাকলুহান সর্বপ্রথম গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্ব গ্রাম কথাটি ব্যবহার করেন। টেলিভিশন কিভাবে সারা দুনিয়াকে একটি গ্রামে পরিণত করেছে সে বয়ান করে গেছেন তিনি। তবে দুনিয়া এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ক্যানবেরাতেই যেমন বাস করেন সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশী। তবে আক্ষরিক অর্থে ফেসবুকই সারা দুনিয়াকে পরিণত করেছে একটি গ্লোবালভিলেজে। মার্ক জুকারবার্গ নামে এক তরুণের আবিষ্কার পৃথিবীর এক শ’ কোটির বেশি মানুষকে নিয়ে এসেছে একটি ছাতার নিচে। তিন বন্ধু সুমন, মহিউদ্দিন ও শারমিন। স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে একসঙ্গেই। তবে বিশ্ব গ্রামের বদৌলতে তিন বন্ধুর স্থান হয়েছে পৃথিবীর তিনটি শহরে। সুমন থাকে ঢাকাতেই। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ক্যানবেরার মানুকা ওভালের গ্যালারিতে বুধবার ছিল মহিউদ্দিন। যদিও সে থাকে সিডনিতে। আর শারমিনের অস্থায়ী ঠিকানা নিউ ইয়র্ক। তিন বন্ধু কোন রাজনীতি করতো না। তবে তাদের রাজনীতি ছিল। আড্ডায়-আপ্যায়নে প্রায়শই রাজনীতি, পীর, আউলিয়া প্রেম-ভালবাসা- সবকিছু নিয়েই তর্ক-বিতর্কে মেতে উঠতো তারা। এখন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও ফেসবুকে অনলাইনে সবসময়ই যোগাযোগ রাখে তারা। জানতে চেষ্টা করে লেটেস্ট খবর-
শারমিন: জাতিসংঘের প্রেসব্রিফিংয়ে তো প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠছে। যেমনটা গত ৪৩ বছরে কখনোই ঘটেনি। বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর কি?
সুমন: বাংলাদেশে আসলে এখন সর্বশেষ বলে কোন খবর নেই। কারণ খবরের পর খবর আসছে। কোনটি মিথ্যা, কোনটি সত্য। যেমন বুধবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের এক প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, তার সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোন উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। গতকাল এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদার। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন। এ কারণেই আমরা বাংলাদেশে এসেছি। আচ্ছা, মহিউদ্দিন বাংলাদেশ থেকে এতদূরে থাকার পরও তুইতো নিয়মিত টক শো দেখিস। কেমন দেখছিস টক শো গুলো।
মহিউদ্দিন: ঢাকারই একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে পড়ছিলাম, কে একজন বলেছে, বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলই না কি এখন বিটিভি হয়ে গেছে। এ বক্তব্য হয়তো পুরোমাত্রায় সত্য নয়। কিন্তু যে কেউ বুঝতে পারবেন গত এক-দেড় মাসে পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে এখন লাইভ সম্প্রচার বহুলাংশে কমে এসেছে। সহিংসতা-নাশকতার খবর প্রচারে তারা সুস্পষ্ট অনীহা প্রকাশ করছে। তবে সবচেয়ে পরিবর্তন এসেছে টক শোগুলোতেই। এগুলো এখন অনেকটাই মরে গেছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ভাষায় এইসব টক শো-কে এখন বলতে হয় সুইট শো।
সুমন: তিন দিনে বাংলাদেশের ১৮ জন টক শো উপস্থাপকের বক্তব্য শুনেছি একটি টিভি চ্যানেলে। এতে একটি প্রশ্ন মাথার মধ্যে সবসময়ই ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা কেন টক শোর সমালোচনা করেন তা বুঝে আসছে না। তিন পর্বের আলোচনায় বেশির ভাগ উপস্থাপককে কেমন যেন মনে হলো। তারা মনে করেন, অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে চলমান সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। সুশীল সমাজ কেন সংলাপের উদ্যোগ নিলো এজন্যও ক্ষুব্ধ তারা। তারপরও কেন ক্ষমতাসীনরা টক শোর ওপর ক্ষুব্ধ?
শারমিন: তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পেলে বাংলাদেশের জনগণ যে ভুল করে না তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে তিন পর্বের টক শো’টিতে। ওই টক শো’টিতে সাধারণ দর্শকদের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল। তিনটি পর্বেরই টেবিলের সংখ্যালঘুর মত দর্শক ভোটে জয়ী হয়েছে। যদিও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন, দুই উপস্থাপক। ভোটের আগেই তারা বলেছেন, তারা কম ভোট পাবেন। এটা নাকি তাদের জন্য মর্যাদাহানিরও। তাদের এ কথায় বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মনোভাব বুঝতেও সুবিধা হবে।
মহিউদ্দিন: পরিস্থিতি তাহলে কোন দিকে যাচ্ছে?
সুমন: এটাই আসলে এখন সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের কেউই এ প্রশ্নের উত্তর জানেন না। আওয়ামী লীগ বাধ্য না হলে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পথে হাঁটবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও অনড় অবস্থানে। গুলশান কার্যালয়ে অনেকটা বন্দি জীবনই যাপন করছেন তিনি। যদিও মিডিয়ার সামনে মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টাও তিনি করছেন না।
শারমিন: পরিস্থিতি অবশ্যই জটিল। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। ঢাকার পরিস্থিতি হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঢাকাতেই ঘটেছে। তার বেশির ভাগ খবর মিডিয়াতে আসছে না। কিন্তু মানুষের মনে যে আতঙ্ক নেই তা নয়। মহাসড়কগুলো এখনও প্রায় অচল। সহিংসতা, গুলি, গণগ্রেপ্তার চলছে সমানতালেই। এমনকি সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাসা-বাড়িতে হামলার খবরও পাওয়া গেছে।
মহিউদ্দিন: চলমান অবস্থায় দুটি বিকল্প বাংলাদেশের সামনে রয়েছে- ১. সহিংসতা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের অংশ হয়ে যাওয়া। ২. জাতিসংঘ বা সংস্থাটির সমর্থনপুষ্ট কোন শক্তির হস্তক্ষেপে সঙ্কটের সমাধান হওয়া। তবে একটি কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়- সঙ্কটের সমাধান না হলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি যে-ই জিতুক না কেন পরাজিত হবে বাংলাদেশের জনগণ।
লিখেছেন: সাজেদুল হক
রক্তের রং কেমন তা বাঙালির চেয়ে বেশি আর কে-ইবা জানে? ৩০ লাখ মানুষের রক্তস্রোতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা। কিন্তু সে রক্তের প্রবাহ এখনও থামেনি। আজও আপনি সংবাদপত্রের পাতা উল্টালেই দেখলে দেখতে পাবেন কোথাও না কোথাও কেউ পেট্রলবোমায় দগ্ধ হয়েছেন? বার্ন ইউনিটে মৃত্যুর খাতায় নাম উঠেছে কারও। ক্রসফায়ারের নামে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে কাউকে। কেউবা পঙ্গু হয়ে গেছেন। প্রশ্নটি আজ আরও বড়- এই বাংলাদেশ কি আমরা চেয়েছিলাম?
এই যখন অবস্থা তখন কেমন চলছে আমাদের টক শোগুলো। কী নিয়ে আলোচনা চলছে সেখানে। ক্ষেপাটে যোগাযোগ তত্ত্ববিদ মার্শাল ম্যাকলুহান সর্বপ্রথম গ্লোবাল ভিলেজ বা বিশ্ব গ্রাম কথাটি ব্যবহার করেন। টেলিভিশন কিভাবে সারা দুনিয়াকে একটি গ্রামে পরিণত করেছে সে বয়ান করে গেছেন তিনি। তবে দুনিয়া এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। ক্যানবেরাতেই যেমন বাস করেন সাত হাজারের বেশি বাংলাদেশী। তবে আক্ষরিক অর্থে ফেসবুকই সারা দুনিয়াকে পরিণত করেছে একটি গ্লোবালভিলেজে। মার্ক জুকারবার্গ নামে এক তরুণের আবিষ্কার পৃথিবীর এক শ’ কোটির বেশি মানুষকে নিয়ে এসেছে একটি ছাতার নিচে। তিন বন্ধু সুমন, মহিউদ্দিন ও শারমিন। স্কুল, কলেজ আর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন কেটেছে একসঙ্গেই। তবে বিশ্ব গ্রামের বদৌলতে তিন বন্ধুর স্থান হয়েছে পৃথিবীর তিনটি শহরে। সুমন থাকে ঢাকাতেই। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। ক্যানবেরার মানুকা ওভালের গ্যালারিতে বুধবার ছিল মহিউদ্দিন। যদিও সে থাকে সিডনিতে। আর শারমিনের অস্থায়ী ঠিকানা নিউ ইয়র্ক। তিন বন্ধু কোন রাজনীতি করতো না। তবে তাদের রাজনীতি ছিল। আড্ডায়-আপ্যায়নে প্রায়শই রাজনীতি, পীর, আউলিয়া প্রেম-ভালবাসা- সবকিছু নিয়েই তর্ক-বিতর্কে মেতে উঠতো তারা। এখন হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকলেও ফেসবুকে অনলাইনে সবসময়ই যোগাযোগ রাখে তারা। জানতে চেষ্টা করে লেটেস্ট খবর-
শারমিন: জাতিসংঘের প্রেসব্রিফিংয়ে তো প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ প্রসঙ্গ উঠছে। যেমনটা গত ৪৩ বছরে কখনোই ঘটেনি। বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর কি?
সুমন: বাংলাদেশে আসলে এখন সর্বশেষ বলে কোন খবর নেই। কারণ খবরের পর খবর আসছে। কোনটি মিথ্যা, কোনটি সত্য। যেমন বুধবার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশের এক প্রতিমন্ত্রী বলেছিলেন, তার সঙ্গে বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি দল মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কোন উদ্বেগ প্রকাশ করেনি। গতকাল এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইইউ প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিশ্চিয়ান দান প্রেদার। তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই উদ্বিগ্ন। এ কারণেই আমরা বাংলাদেশে এসেছি। আচ্ছা, মহিউদ্দিন বাংলাদেশ থেকে এতদূরে থাকার পরও তুইতো নিয়মিত টক শো দেখিস। কেমন দেখছিস টক শো গুলো।
মহিউদ্দিন: ঢাকারই একটি পত্রিকার অনলাইন সংস্করণে পড়ছিলাম, কে একজন বলেছে, বাংলাদেশের সব টিভি চ্যানেলই না কি এখন বিটিভি হয়ে গেছে। এ বক্তব্য হয়তো পুরোমাত্রায় সত্য নয়। কিন্তু যে কেউ বুঝতে পারবেন গত এক-দেড় মাসে পরিস্থিতির অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। টিভি চ্যানেলগুলোতে এখন লাইভ সম্প্রচার বহুলাংশে কমে এসেছে। সহিংসতা-নাশকতার খবর প্রচারে তারা সুস্পষ্ট অনীহা প্রকাশ করছে। তবে সবচেয়ে পরিবর্তন এসেছে টক শোগুলোতেই। এগুলো এখন অনেকটাই মরে গেছে। অধ্যাপক আসিফ নজরুলের ভাষায় এইসব টক শো-কে এখন বলতে হয় সুইট শো।
সুমন: তিন দিনে বাংলাদেশের ১৮ জন টক শো উপস্থাপকের বক্তব্য শুনেছি একটি টিভি চ্যানেলে। এতে একটি প্রশ্ন মাথার মধ্যে সবসময়ই ঘুরপাক খাচ্ছে। বাংলাদেশে ক্ষমতাসীনরা কেন টক শোর সমালোচনা করেন তা বুঝে আসছে না। তিন পর্বের আলোচনায় বেশির ভাগ উপস্থাপককে কেমন যেন মনে হলো। তারা মনে করেন, অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে চলমান সঙ্কটের সমাধান করতে হবে। সুশীল সমাজ কেন সংলাপের উদ্যোগ নিলো এজন্যও ক্ষুব্ধ তারা। তারপরও কেন ক্ষমতাসীনরা টক শোর ওপর ক্ষুব্ধ?
শারমিন: তবে সিদ্ধান্ত নেয়ার সুযোগ পেলে বাংলাদেশের জনগণ যে ভুল করে না তারও প্রমাণ পাওয়া গেছে তিন পর্বের টক শো’টিতে। ওই টক শো’টিতে সাধারণ দর্শকদের ভোট দেয়ার সুযোগ ছিল। তিনটি পর্বেরই টেবিলের সংখ্যালঘুর মত দর্শক ভোটে জয়ী হয়েছে। যদিও এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন, দুই উপস্থাপক। ভোটের আগেই তারা বলেছেন, তারা কম ভোট পাবেন। এটা নাকি তাদের জন্য মর্যাদাহানিরও। তাদের এ কথায় বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের মনোভাব বুঝতেও সুবিধা হবে।
মহিউদ্দিন: পরিস্থিতি তাহলে কোন দিকে যাচ্ছে?
সুমন: এটাই আসলে এখন সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন। খুব সম্ভবত বাংলাদেশের কেউই এ প্রশ্নের উত্তর জানেন না। আওয়ামী লীগ বাধ্য না হলে মধ্যবর্তী নির্বাচনের পথে হাঁটবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও অনড় অবস্থানে। গুলশান কার্যালয়ে অনেকটা বন্দি জীবনই যাপন করছেন তিনি। যদিও মিডিয়ার সামনে মুখোমুখি হওয়ার চেষ্টাও তিনি করছেন না।
শারমিন: পরিস্থিতি অবশ্যই জটিল। কেউ স্বীকার করুক আর না করুক। ঢাকার পরিস্থিতি হয়তো স্বাভাবিক। কিন্তু সবচেয়ে বেশি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঢাকাতেই ঘটেছে। তার বেশির ভাগ খবর মিডিয়াতে আসছে না। কিন্তু মানুষের মনে যে আতঙ্ক নেই তা নয়। মহাসড়কগুলো এখনও প্রায় অচল। সহিংসতা, গুলি, গণগ্রেপ্তার চলছে সমানতালেই। এমনকি সরকারের কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বাসা-বাড়িতে হামলার খবরও পাওয়া গেছে।
মহিউদ্দিন: চলমান অবস্থায় দুটি বিকল্প বাংলাদেশের সামনে রয়েছে- ১. সহিংসতা বাংলাদেশের মানুষের জীবনের অংশ হয়ে যাওয়া। ২. জাতিসংঘ বা সংস্থাটির সমর্থনপুষ্ট কোন শক্তির হস্তক্ষেপে সঙ্কটের সমাধান হওয়া। তবে একটি কথা নিশ্চিত করেই বলা যায়- সঙ্কটের সমাধান না হলে আওয়ামী লীগ-বিএনপি যে-ই জিতুক না কেন পরাজিত হবে বাংলাদেশের জনগণ।
লিখেছেন: সাজেদুল হক
No comments