আবুধাবির আগুনে তাদের স্বপ্নও পুড়ে গেছে by সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুদ
সংযুক্ত
আরব আমিরাতের আবুধাবির মোসাফফায় এলাকায় ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ভয়াবহ
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত ১০ জনের মধ্যে ৩ বাংলাদেশী রয়েছেন। এর ধ্যে
ফটিকছড়ির দুজন। তারা হচ্ছেন আব্দুস শুক্কুর (৪৫) পিতা মৃত মীর আহম্মদ সাং
আলমের ঘোনা, সুয়াবিল, ভূজপুর। অপরজন সেলিম উদ্দিন (৩৬), পিতা নুরুল আবছার,
তিতা গাজীর বাড়ী, বাবুনগর, ফটিকছড়ি। এই আগুনের খবর দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়লে প্রবাসীদের স্বজন ও এলাকাবাসী হতবাক হয়ে পড়েন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সুয়াবিল আলমের ঘোনার আব্দুস শুক্কুর বুধবার শেষ বারের মতো তার স্ত্রী পপি আক্তারের সাথে টেলিফোনে কথা হয়। তার একদিন পর পপি আক্তার স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে একমাত্র পুত্র ওয়াসফিয়াকে (৭) বুকে জড়িয়ে আহজারী করছেন। ছোট্ট ওয়াসফিয়া নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।
শুক্করের স্ত্রী বিলাপ করতে করতে করতে বলেন, কি হবে আমার ওয়াসফিয়ার? সে কাকে বাবা ডাকবে? আমি কিছু বুঝিনা তোমরা তার বাবাকে এনে দাও।
উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের নিহত আবদুল শুক্করের পরিবারে আজ সকালের এমন হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছিল।
ঘটনায় নিহত ফটিকছড়ির অপরজন সেলিম উদ্দিন। উপজেলার বাবুনগর গ্রামের আজম কাবের তিতাগাজীর বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। নুরুল আবছারের দুই ছেলের মধ্যে সবার বড় সেলিম। সেলিম মা-বাবা, ভাই আর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যৌথ পরিবারে থাকতেন। দুই ছেলে শাহাদাৎ (১৩) ও আরমান (১০)। তারা বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। সেলিম সর্বশেষ চার বছর আগে দেশে এসেছিলেন। আগামী ১ মার্চ দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে বাড়িতে আসার দিনক্ষণ গুনছিলেন।
ঘটনার তিন দিন আগে স্বামীর সাথে কথা হয় স্ত্রী সাখু আকতারের। স্ত্রীকে বলেছিলেন, সব প্রস্ততি শেষ । আর ক‘টা দিন বাকি, বাড়িতে আসছি। অপেক্ষায় থেকো। কে জানতো এই অপোর প্রহর যে আর জীবনেও শেষ হবে না?
সাখু আকতার বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার ছেলেদেরকে মানুষের মতো মানুষ করার ইচ্ছা ছিল আমার স্বামীর। এখন কী হবে আমার ছেলেদের জীবন।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার সুয়াবিল আলমের ঘোনার আব্দুস শুক্কুর বুধবার শেষ বারের মতো তার স্ত্রী পপি আক্তারের সাথে টেলিফোনে কথা হয়। তার একদিন পর পপি আক্তার স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ শুনে একমাত্র পুত্র ওয়াসফিয়াকে (৭) বুকে জড়িয়ে আহজারী করছেন। ছোট্ট ওয়াসফিয়া নির্বাক হয়ে তাকিয়ে আছে মায়ের দিকে।
শুক্করের স্ত্রী বিলাপ করতে করতে করতে বলেন, কি হবে আমার ওয়াসফিয়ার? সে কাকে বাবা ডাকবে? আমি কিছু বুঝিনা তোমরা তার বাবাকে এনে দাও।
উপজেলার সুয়াবিল ইউনিয়নের নিহত আবদুল শুক্করের পরিবারে আজ সকালের এমন হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখে উপস্থিত সবার চোখের পানি গড়িয়ে পড়ছিল।
ঘটনায় নিহত ফটিকছড়ির অপরজন সেলিম উদ্দিন। উপজেলার বাবুনগর গ্রামের আজম কাবের তিতাগাজীর বাড়িতেও চলছে শোকের মাতম। নুরুল আবছারের দুই ছেলের মধ্যে সবার বড় সেলিম। সেলিম মা-বাবা, ভাই আর স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে যৌথ পরিবারে থাকতেন। দুই ছেলে শাহাদাৎ (১৩) ও আরমান (১০)। তারা বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করছে। সেলিম সর্বশেষ চার বছর আগে দেশে এসেছিলেন। আগামী ১ মার্চ দেশে আসার সব প্রস্তুতি নিয়ে বাড়িতে আসার দিনক্ষণ গুনছিলেন।
ঘটনার তিন দিন আগে স্বামীর সাথে কথা হয় স্ত্রী সাখু আকতারের। স্ত্রীকে বলেছিলেন, সব প্রস্ততি শেষ । আর ক‘টা দিন বাকি, বাড়িতে আসছি। অপেক্ষায় থেকো। কে জানতো এই অপোর প্রহর যে আর জীবনেও শেষ হবে না?
সাখু আকতার বিলাপ করতে করতে বলেন, আমার ছেলেদেরকে মানুষের মতো মানুষ করার ইচ্ছা ছিল আমার স্বামীর। এখন কী হবে আমার ছেলেদের জীবন।
No comments