'হে মোর দুর্ভাগা দেশ' by মাকিদ হায়দার

'হায় আমার মাথার চতুর্দিকে যদি চোখ বসানো থাকত, তাহলে আচক্রবাল বিস্তৃত এই সুন্দরী ধরণীর সম্পূর্ণ সৌন্দর্য একসঙ্গে দেখতে পেতুম।' পৃথিবী বিখ্যাত দার্শনিক আনাতোল ফ্রাঁস আরও বলেছেন, আমার মনের চোখ তো একটি বা দুটি নয়, মনের চোখ বাড়ানো-কমানো সম্পূর্ণ নিজের হাতে। নানা জ্ঞান-বিজ্ঞান যতই আমি আয়ত্ত করতে থাকি, ততই একটি করে আমার মনের চোখ ফুটতে থাকে।
এই বিখ্যাত দার্শনিক তার 'পেঙ্গুইন আইল্যান্ড' নামে একটি গ্রন্থে পাঠকদের জানিয়েছেন, কী করে পেঙ্গুইন পাখিরা মানুষরূপে একদিন রূপান্তরিত হলো বহুবিধ বিবর্তনের মধ্য দিয়ে, এমনকি শেষ অবধি তাদের কী পরিণতি ঘটল কপালে। পাখিকে মানুষ বানাবার জন্য কোনো কঠিন প্রক্রিয়ার সাহায্য নিতে হয়নি। ঈশ্বরের ইচ্ছা হলো_ পাখিরা মানুষ হোক। তক্ষুনি পেঙ্গুইনগুলো মানুষ হয়ে গেল।
অষ্টাদশ এবং ঊনবিংশ শতাব্দীতে এমনকি বিংশ শতাব্দীতে অথবা প্রাগৈতিহাসিককালেও হয়তো অনুরূপ ঘটনা ঘটেছিল। তবে ফ্রাঁস বোধহয় সংবাদটি পাননি যে বাংলাদেশ নামক একটি শান্তিপ্রিয় দেশে গত ৫ জানুয়ারি ২০১৫ থেকে সেসব পেঙ্গুইন থেকে মনুষ্য রূপ পাওয়া দত্যিদের কথা। খবরটি পেলে নিশ্চয়ই তিনি তার 'পেঙ্গুইন আইল্যান্ড' গ্রন্থের কলেবর বৃদ্ধির সুযোগ পেতেন।
যত দূর জানা যায়, প্রাচীনকালের আর্যরা বাংলাদেশের সেই সময়ের অধিবাসীদের-বসবাসকারীদের পক্ষী জাতি হিসেবেই বর্ণনা করেছিলেন। পূর্বেই বলেছি, অষ্টাদশ, ঊনবিংশ, বিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্যন্ত বিভিন্ন চরিত্রের পক্ষীদের যেসব বর্ণনা, 'হুতোম পেঁচার নকশায়' গ্রন্থকার কালীপ্রসন্ন সিংহ ১৮৬২ সালে এবং প্যারীচাঁদ মিত্র 'আলালের ঘরের দুলাল' গ্রন্থে পক্ষী এবং ওই সময়ের দুলালদের কথা জানালেও জানাননি পক্ষীরা এবং দুলালরা কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা ছিলেন কি-না কিংবা সুবিধাবাদী বা দলবদলকারী কেউ ছিলেন কি-না। সেটি যেমন বঙ্গের দুই খ্যাতিমান লেখক জানতে পারেননি, পারেননি আনাতোল নিজেও। জানলে ফরাসিদের সুবিধা হতো। ভারতবর্ষের পাশেই বঙ্গদেশ নামক একটি দেশ আছে, সে দেশের জনগণকে ঈশ্বর পক্ষী বানাবার আগেই বঙ্গবাসীরা পক্ষী হওয়ার অপেক্ষায় বসে আছেন মাটির ওপরে। গাছের ডালে এমনকি ফ্রাঁসের যদি জানা থাকত তার পেঙ্গুইন আইল্যান্ডের হাজার হাজার সংস্করণে ঠাঁই পেতো বঙ্গদেশ বা বাংলাদেশ। অথবা পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের দ্বিপদসম্পন্ন পক্ষীদের।
সেই বাংলাদেশের উত্তরে আছে বগুড়া নামক জেলা শহর এবং জেলা শহরে আছে অনেক উপজেলা। সেই উপজেলার ভেতরে আছে অনেক গ্রাম, সেই গ্রামেরই একটির নাম নন্দীগ্রাম, আরও আছে গাবতলী, শাজাহানপুর। গাবতলী উপজেলার প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক বকুল মিয়া। তিনিসহ আরও অনেকেই ২০১৩ সালের নভেম্বর মাসে চাঁদের ভেতরে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর চেহারা দেখতে পেয়েছিলেন। অপরদিকে বগুড়া জেলার দক্ষিণে নন্দীগ্রাম নামক উপজেলায় মৌলবাদীরা যে তাণ্ডবের সৃষ্টি করেছিল, সেটি কল্পনাতীত। জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করে সমগ্র বাংলাদেশের জনমনে শুধু আতঙ্কই সৃষ্টি করেনি, চেষ্টা করেছিল দেশটিকে একটি মৌলবাদী দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে।
প্রসঙ্গক্রমে বলা যেতে পারে, ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকরা সর্বক্ষণই স্বচেষ্টায় নিয়োজিত দেশটিকে ইসলামী রাষ্ট্রের রূপ দিতে। সেটি যে কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়, সেটি জনসাধারণ যেমন জানে, তেমনি জানে বর্তমান সরকার। তবে ২০১৩ সালের নভেম্বরের আগেই সরকার বারবার চাইছিল দেশে যেন অশান্তির সৃষ্টি না হয়। সভা-সমাবেশ করার আবেদন জানিয়ে অনুমতি পেয়েছিল ২০ দলীয় জোটের প্রধান দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। সমাবেশ করার দিনটি ছিল ২৫ অক্টোবর। তবে তার আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছিলেন, 'আগামী ২৫ অক্টোবর শুক্রবারই হবে ফাইনাল। ওই সমাবেশকে ফাইনাল খেলা হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেছিলেন (১৫ অক্টোবর, মঙ্গলবার), কোয়ার্টার ফাইনাল সেমিফাইনাল হয়েছে। এবার হবে ফাইনাল খেলা, খেলাটি হবে ২৫ অক্টোবর।' আওয়ামী লীগের সঙ্গে। ঠাকুরগাঁওয়ের মির্জা পরিবারের কৃতী সন্তান মির্জা হাফিজ, মির্জা বাবলু, মির্জা আলমগীর এদের আদি নিবাস পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে। '৪৭-এর দেশ ভাগের পর হয়তো মির্জা পরিবার থিতু হয়েছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে। মির্জা হাফিজ পরবর্তী সময়ে যথেষ্ট সুনামের সঙ্গে রাজনীতিতে এসে বিএনপির শাসনামলে হয়েছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার।
যত দূর জেনেছি, মির্জা ফখরুল এক সময় নাটকে অভিনয় করতেন এবং খেলাধুলায় ছিলেন অদম্য এবং তিনি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক। ঠাকুরগাঁওয়ের বিখ্যাত টাউন ক্লাবের সম্ভবত সভাপতি-মহাসচিব ছিলেন, যেহেতু তিনি একজন প্রাক্তন খেলোয়াড় এবং সংগঠক, তাই তিনি ১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার নিদ্বর্িধায় বলে দিয়েছিলেন. ফাইনাল খেলার তারিখ ২৫ অক্টোবর শুক্রবার। ইতিপূর্বে কোয়ার্টার, সেমিফাইনাল খেলা হয়ে গেছে। এবার হবে ফাইনাল। তবে তিনি যে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, সেই দলের ভেতরে একজন ভালো ফুটবল খেলোয়াড় এখনও আছেন, যিনি তার স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রভূত নাম করেছিলেন ফুটবলার হিসেবে। এখনও ফুটবলভক্তরা জানেন মেজর (অব.) আবদুল হাফিজের নাম। ফুটবল খেলার জীবনে ওয়ারী কিংবা ওয়ান্ডারার্সের সঙ্গে হয়তো খেলেছেন মোহামেডান ক্লাবের বিশিষ্ট খেলোয়াড় হিসেবে। ঢাকা স্টেডিয়ামে তার সুনিপুণ পায়ের খেলা বেশ অনেকবার অনেকেই দেখেছেন; কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে খেতাবপ্রাপ্ত মেজর হাফিজকে এক-এগারোর সময় সুনিপুণ খেলা দেখাতে গিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল থেকে চলে যেতে হয়েছিল। যেমন গিয়েছিলেন ওই একই দলের লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান এবং তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান ভূঁইয়া।
শোনা যায়, আবদুল মান্নান ভূঁইয়ার হয়তো মৃত্যুর পরে মাহবুব এবং মেজর হাফিজ স্বদলে ফিরে এসেছিলেন অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে। মির্জা ফখরুলের ফাইনাল খেলার কথা যদি হাফিজ সাহেব বলতেন, বিষয়টি মন্দ হতো না। যেহেতু তিনি ঢাকা স্টেডিয়ামে নিয়মিত ফুটবল খেলতেন আর একজন ঠাকুরগাঁওয়ের কোনো ক্লাবের ছিলেন সংগঠক-সভাপতি, সম্পাদক। অভিজ্ঞতা থাকলে হয়তো মির্জা সাহেব বলতেন, আর ড্র নয়, এবার জিততেই হবে।
মির্জা সাহেবের মতো আরও কয়েকটি দল খেলতে চেয়েছিল ১৯৮৪ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর বুধবারে। আগামীকাল হরতাল ডেকেছিল এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে। সমগ্র দেশে সে বোধহয় প্রথম হরতাল ডেকেছিল এরশাদ বা সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াও এমনকি বোমাবাজরা তখনকার দিনে পেট্রোল বোমার নাম কেউ জানত কিনা সন্দেহ আছে। তবু বিরোধীরা সাহস করে হরতাল পালন করছিল ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবারে ১৯৮৪ সালে। দেশব্যাপী হরতাল পালিত হলো ও ধ্বংস, ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও এবং আইন রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি হরতালকারীদের আক্রমণের ফলে ওইদিনই নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল তিনজনে সরকারি ভাষ্যানুসারে। তবে বেসরকারি হিসেবে সাতের অধিক। আর ওই একই দিনে আওয়ামী লীগের নেতা বাংলাদেশ রেড ক্রস সোসাইটির সভাপতি তাকেই ঢাকার কালীগঞ্জে হত্যা করল কুখ্যাত ইমদুর সহযোগী আজম খান গুলি করে ও চাকু মেরে। নিহত হলেন ময়েজ উদ্দিন আহমদ। যত দূর মনে পড়ে, এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সূত্রপাত ১৯৮৪ সালের সেপ্টেম্বরের ২৭ তারিখ থেকে। তবে ততকালীন রাষ্ট্রপতি হরতাল, অবরোধ, জ্বালাও-পোড়াকে সামনের দিকে যেতে দেননি। যেহেতু সমগ্র দেশ ছিল সামরিক শাসন। ফলে আইন কেউ অমান্য করার সাহস দেখাতে পারেনি। তবে চেষ্টা করেছিল, ফলপ্রসূ হয়নি।
তখনও দেশে ফুটবল খেলা হতো। ঢাকা স্টেডিয়ামে যেদিন আবাহনী ও মোহামেডানের খেলা হতো, সেদিন বিশাল লম্বা লাইন দিয়ে সকাল থেকেই ফুটবলপ্রেমীরা গ্যালারিতে ঢুকে যেতেন খেলা শুরু হওয়ার এক-দুই ঘণ্টা আগেই। আবাহনীর সমর্থকরা যেদিকে বসত, তার বিপরীততে থাকত মোহামেডানের সমর্থক। খেলাতে একবার কি দু'বার ড্র হয়েছিল বলে যতদূর মনে পড়ে। মির্জা সাহেব ড্রয়ের কথা না বলে বললেন ফাইনাল হবে; কিন্তু ফাইনাল এখনও হয়নি। তবে বোধহয় ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারির পর থেকে ২০ দলীয় জোট সমগ্র দেশে শুরু করেছে তাদের পূর্বঘোষিত ফাইনাল খেলার মহড়া। সেই মহড়ায় প্রাণহানি, পেট্রোল বোমা, জ্বালাও-পোড়াও, অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে ফেলে দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি ফাইনালের খেলোয়াড়রা। এমনকি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জন্য আবদুল হাফিজের মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য। তিনি জানিয়েছেন, 'কিসের পরীক্ষা, কিসের কী।' তার কথাটি মোটেই শ্রুতিমধুর মনে হয়নি মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের। তিনি তো একদা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেছিলেন। তিনি তো একদা ছিলেন পানিসম্পদমন্ত্রী। তার কাছ থেকে 'কিসের পরীক্ষা, কিসের কী' না শুনে বরং তারই দলের ভাইস চেয়ারম্যান যদি বলতেন, তাহলে হয়তো শোভা পেত উপরোক্ত অমৃত বাণী।
আনাতোল ফ্রাঁস তার 'পেঙ্গুইন আইল্যান্ডে' যদি লিখতেন, বাংলাদেশের মানুষরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে দুর্ধর্ষ পাকিস্তানি খুনিদের পরাজিত করেছিল, শেখ মুজিবুর রহমান নামের একজন বাঙালির ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুনে এবং ৯ মাসের যুদ্ধে একটি দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিল, মাত্র একটি লোকের উদাত্ত আহ্বানে। সেই বাংলাদেশে জনগণ স্বাধীনতার ৪৩ বছর পর কেন স্বদেশের মানুষকে পেট্রোল বোমা মেরে, গাড়ি জ্বালিয়ে আহত-নিহত করছে। ফ্রাঁস হয়তো আরও লিখতে পারতেন, মুসলিম এবং খ্রিস্টানদের কবর দেওয়া হয়, বৌদ্ধ এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষদের শ্মশানে নিয়ে দাহ করা হয়। এখন দেখছি একজন মুসলমান আরকেজন মুসলমানকে জীবন্ত দাহ করছে পেট্রোল বোমায়। কোনো ধর্মে কি আছে?
পেঙ্গুইন পাখিরা যেদিন থেকে মানুষরূপে রূপান্তরিত হলো সেদিন থেকেই বিভিন্ন দলে-গোত্রে বিভক্ত হলেও তাদের মাথায় হয়তো রাজনীতি শব্দটির উদ্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে কোথাকার কোন দুষ্টলোক এসে শুরু করলেন দলবাজি, রাজনীতি নামের এক নতুন খেলা। সেই যে খেলা শুরু হয়েছে তার আর শেষ নেই। যে খেলার শেষ নেই, সে খেলায় যে ফাইনাল কোনোদিনই হবে না, হয়তো এটা আশা করা সমীচীন নাও হতে পারে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, মানুষ পুড়িয়ে মারা, দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দেওয়া।
ফ্রাঁস তার গ্রন্থে আরও কিছু তথ্য দিতে পারতেন, কিংবা গ্রন্থটির কলেবর বৃদ্ধির জন্য মৌমাছিদের আচার-আচরণ নিয়ে লিখলে সহৃদয় পাঠক জানতেন, মৌমাছিরা ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে তাদেরই রানীর নির্দেশে। হয়তো ফরাসি দেশে মৌমাছীদের দেখা পাওয়া দুষ্কর হলেও বঙ্গদেশের সুন্দরবনে, এমনকি অনেকের বাড়ির আম-জামগাছে এই বসন্তকালে প্রচুর মৌচাক দেখতে পাওয়া যায়। মৌচাকের শ্রমিক মৌমাছিরা রানীমার নির্দেশ পেলেই কাউকে কামড়াতে দ্বিধাবোধ করে না এবং কর্ম শেষে রানীমাকে গিয়ে শ্রমিক মৌমাছিরা নিশ্চয়ই জানিয়ে দেয়, আপনার নির্দেশানুসারেই কমড়ে দিয়েছি পেঙ্গুইন পাখি থেকে রূপান্তরিত ১৬-১৭ কোটি বাংলাদেশি পুঙ্গবদের। হয়তো রানী মোমাছি শ্রমিক মৌমাছিদের কথা শুনে স্মিতহাস্যে জানিয়ে দেয়, আরও কামড়াতে হবে, যেন চোখ-মুখ চেনা না যায়, যেন বাংলাদেশি পুঙ্গবরা পাকিস্তানিদের চেহারা ফিরে পায়, ফিরে পেলেই আমার শান্তি।
১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের কথা আনাতোল ফ্রাঁস জানতেন কিনা জানি না, জানলে নিশ্চয়ই তিনি কবি রবীন্দ্রনাথকে লিখতে দিতেন না 'হে মোর দুর্ভাগা দেশ' নামের পদ্যটি। যদি ফ্রাঁসের মাথায় চতুর্দিকে চোখ বসানো থাকত।
কবি

No comments

Powered by Blogger.