মিড-ডে মিল দেশে দেশে
ভারতের বিহার রাজ্যের একটি স্কুলে বাচ্চারা দুপুরের খাবার খাচ্ছে |
ডাল
দৌড়চ্ছে। মানে সে যাকে বলে ঊর্ধশ্বাসে দৌড়। পাতে পড়ই ছুট। ভাতের চেহারা
দেখলে মোটাসোটা কুস্তিগিরও লজ্জা পাবেন। বুঝে উঠতে পারবেন না, কে বেশি
মোটা! আর মশলাপাতির কথা না হয় বাদই দেয়া গেল। ভারতের বেশিরভাগ প্রাথমিক
স্কুলে মিড ডে মিল বলতে সাধারণত এ রকম একটা চিত্র ভেসে ওঠে। কখনও-সখনও এর
সঙ্গে একটা ডিম বা ‘ব্লেড দিয়ে কাটা’ এক টুকরো মাছ। তবে ব্যতিক্রম অবশ্যই
রয়েছে। দক্ষিণ ভারতের দিকে অনেক স্কুলে দুপুরের খাবার হিসেবে দেয়া হয়, ভাত,
সাম্বার, এক রকমের সব্জি, টক দই, কেসরি (এক রকমের মিষ্টি) এবং শেষে ঘোল।
লেখাটা সমালোচনা করার জন্য নয়, বরং এটা দেখানোর জন্য, যে দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে আসতে চলেছে তাদের অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিতে কিভাবে ‘সংরক্ষণ’ করা হয়। আসুন একটা তালিকায় চোখ বোলানো যাক :
প্রথমেই দেখা যাক মার্কিন মুলুকের স্কুলগুলির দিকে। সেখানে দুপুরে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ানো হয় পপকর্ন চিকেন সঙ্গে টমাটো কেচাপ, খানিকটা ম্যাশড পোটাটো (আমাদের আলু ভর্তার বিদেশী সংস্করণ), সেদ্ধ মটরশুটি, ফ্রুট কাপ এবং একটি ঢাউস সাইজের চকোলেট চিপস কুকি।
এস্তোনিয়ায় মিড ডে মিল হিসেবে দেয়া হয় ভাত, এক টুকরো মাংস, বেগুনি বাঁধাকপি এবং এক কাপ চকোলেট শেক।
ইতালিতে দেয়া হয়, পাস্তা, মাছ, দুই রকমের সালাড, ব্রেড রোল, কালো আঙুর। ফ্রান্স থেকে ব্রাজিল, কোরিয়া থেকে ইংল্যান্ড, স্কুলের এ রকম দীর্ঘ তালিকা রয়েছে, যেখানকার মিড-ডে মিলের বিবরণ শুনে রীতিমতো ভিরমি খেতে হয়। তবে এর পরও এ সব দেশের মিড-ডে মিল নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কারণ, সেখানকার স্কুলের খাদ্য তালিকায় তাজা শাকসব্জি এবং ফল নেই।
ফারাক যে বিস্তর তা আলাদা করে লেখার প্রয়োজন নেই। ফারাকটা দেখানোর জন্যেও এই প্রতিবেদন নয়। লেখার মাধ্যমে শুধু এক বার মনে করিয়ে দেওয়া, দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুস্থ-সবল হলে দেশও সুস্থ-সবল হবে। ইন্টারনেটে প্রচারিত সিনেমার তারকাদের ভিডিও নিয়ে হইচই করার চেয়ে ঢের বেশি গুরুতর বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।
লেখাটা সমালোচনা করার জন্য নয়, বরং এটা দেখানোর জন্য, যে দেশের ভবিষ্যত যাদের হাতে আসতে চলেছে তাদের অন্যান্য পশ্চিমী দেশগুলিতে কিভাবে ‘সংরক্ষণ’ করা হয়। আসুন একটা তালিকায় চোখ বোলানো যাক :
প্রথমেই দেখা যাক মার্কিন মুলুকের স্কুলগুলির দিকে। সেখানে দুপুরে স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের খাওয়ানো হয় পপকর্ন চিকেন সঙ্গে টমাটো কেচাপ, খানিকটা ম্যাশড পোটাটো (আমাদের আলু ভর্তার বিদেশী সংস্করণ), সেদ্ধ মটরশুটি, ফ্রুট কাপ এবং একটি ঢাউস সাইজের চকোলেট চিপস কুকি।
এস্তোনিয়ায় মিড ডে মিল হিসেবে দেয়া হয় ভাত, এক টুকরো মাংস, বেগুনি বাঁধাকপি এবং এক কাপ চকোলেট শেক।
ইতালিতে দেয়া হয়, পাস্তা, মাছ, দুই রকমের সালাড, ব্রেড রোল, কালো আঙুর। ফ্রান্স থেকে ব্রাজিল, কোরিয়া থেকে ইংল্যান্ড, স্কুলের এ রকম দীর্ঘ তালিকা রয়েছে, যেখানকার মিড-ডে মিলের বিবরণ শুনে রীতিমতো ভিরমি খেতে হয়। তবে এর পরও এ সব দেশের মিড-ডে মিল নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। কারণ, সেখানকার স্কুলের খাদ্য তালিকায় তাজা শাকসব্জি এবং ফল নেই।
ফারাক যে বিস্তর তা আলাদা করে লেখার প্রয়োজন নেই। ফারাকটা দেখানোর জন্যেও এই প্রতিবেদন নয়। লেখার মাধ্যমে শুধু এক বার মনে করিয়ে দেওয়া, দেশের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুস্থ-সবল হলে দেশও সুস্থ-সবল হবে। ইন্টারনেটে প্রচারিত সিনেমার তারকাদের ভিডিও নিয়ে হইচই করার চেয়ে ঢের বেশি গুরুতর বিষয় রয়েছে, যা নিয়ে ভাবনা-চিন্তার প্রয়োজন রয়েছে।
No comments