খালেদার কার্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ, উঠে গেছে শ্রমিকদের অবস্থান, ‘নিরাপত্তায়’ কাঁটাতারের বেড়া দিল বিএনপি
(বিএনপির
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারে আজ
সীমানাপ্রাচীর ও ফটকের ওপর কাঁটাতারের বেষ্টনী দেওয়া হয়। ছবি: সাইফুল
ইসলাম) বিএনপি
চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের কাছে বিক্ষোভ করেছে
দিনমজুর সমিতির ব্যানারে শতাধিক লোক। অবরোধ-হরতাল তুলে নেয়ার দাবিতে
ঘণ্টাব্যাপী তারা এ বিক্ষোভ করে। গতকাল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিএনপি
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কাছে ৮৬ নম্বর সড়কের দক্ষিণপ্রান্তে কোদাল-ঝুড়ি
হাতে তারা অবস্থান নেন। অবরোধ ও হরতালবিরোধী নানা স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ
প্রদর্শন করেন। তৃণমূল দিনমজুর সমিতির ব্যানারে এই বিক্ষোভের নেতৃত্বে
ছিলেন গোলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল হক মিন্টু। সাংবাদিকদের
তিনি বলেন, আমরা অবরোধ ও হরতালের কারণে কাজ পাচ্ছি না। গত এক মাস ধরে
আমাদের কোন কাজ-কর্ম নেই। এসব কর্মসূচি আমাদের ধ্বংসের মুখে নিয়ে যাচ্ছে।
এজন্য প্রতিবাদ জানাতে আমরা এখানে এসেছি। এদিকে বিক্ষোভে অংশ নেয়া
দিনমজুরদের কয়েকজন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, মিন্টু তাদের নিয়ে
এসেছেন।
ওদিকে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে গুলশান-২ গোলচত্বরে কাফনের কাপড় পরে দুদিন ধরে অবস্থান করা পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা অবস্থান গুটিয়ে চলে গেছেন। অভিজাত ওই এলাকায় রাস্তার একপাশ বন্ধ করে গত দুদিন ধরে অবস্থান করে আসছিলেন তারা। রাস্তায় অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সংগীত অনুষ্ঠান চলে দিন-রাত। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন- অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। শুক্রবার রাতে গান পরিবেশন করা নারী বাউল শিল্পীদের গায়ে টাকা ছড়িয়ে দিয়ে ফুর্তি করেন অবস্থানকারীরা। মধ্যরাতে অবস্থানের পাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ভোররাতে অবস্থান গুটিয়ে চলে যান চালক ও শ্রমিকরা। একইসঙ্গে সেখানকার অস্থায়ী মঞ্চও গুটিয়ে ফেলা হয়। এদিকে গতকালও গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশে পুলিশি কড়াকড়ি ছিল। কার্যালয়ের প্রবেশমুখে রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে বসে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যারাই কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন তাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখছেন তারা। এছাড়া গতকালও বিচ্ছিন্ন ছিল কার্যালয়ের ফোন-ফ্যাক্স, ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ। কার্যালয়ে আশপাশে মোতায়েন ছিল পোশাকধারীসহ সাদা পোশাকের পুলিশ। ফলে দলের কোন নেতাকর্মী কার্যালয়মুখী হতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৩রা জানুয়ারি থেকে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর সেখানে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
ওদিকে অবরোধ প্রত্যাহারের দাবিতে গুলশান-২ গোলচত্বরে কাফনের কাপড় পরে দুদিন ধরে অবস্থান করা পরিবহন চালক ও শ্রমিকরা অবস্থান গুটিয়ে চলে গেছেন। অভিজাত ওই এলাকায় রাস্তার একপাশ বন্ধ করে গত দুদিন ধরে অবস্থান করে আসছিলেন তারা। রাস্তায় অস্থায়ী মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সংগীত অনুষ্ঠান চলে দিন-রাত। তারা ঘোষণা দিয়েছিলেন- অবরোধ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চলবে। শুক্রবার রাতে গান পরিবেশন করা নারী বাউল শিল্পীদের গায়ে টাকা ছড়িয়ে দিয়ে ফুর্তি করেন অবস্থানকারীরা। মধ্যরাতে অবস্থানের পাশে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এরপর ভোররাতে অবস্থান গুটিয়ে চলে যান চালক ও শ্রমিকরা। একইসঙ্গে সেখানকার অস্থায়ী মঞ্চও গুটিয়ে ফেলা হয়। এদিকে গতকালও গুলশান কার্যালয়ে প্রবেশে পুলিশি কড়াকড়ি ছিল। কার্যালয়ের প্রবেশমুখে রেজিস্ট্রার খাতা নিয়ে বসে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। যারাই কার্যালয়ে প্রবেশ করছেন তাদের নাম-ঠিকানা লিখে রাখছেন তারা। এছাড়া গতকালও বিচ্ছিন্ন ছিল কার্যালয়ের ফোন-ফ্যাক্স, ক্যাবল টিভি ও ইন্টারনেট সংযোগ। কার্যালয়ে আশপাশে মোতায়েন ছিল পোশাকধারীসহ সাদা পোশাকের পুলিশ। ফলে দলের কোন নেতাকর্মী কার্যালয়মুখী হতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, গত ৩রা জানুয়ারি থেকে গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হওয়ার পর সেখানে অবস্থান করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদার জিয়ার কার্যালয়ে কাঁটাতারের ঘের
গুলশানে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ের সীমানাপ্রাচীরের
ওপর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে আজ রোববার
বিএনপির পক্ষ থেকে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর গুলশান-২-এর ৮৬
নম্বর সড়কের ৬ নম্বর ভবনটি খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়। গত ৩
জানুয়ারি থেকে ওই কার্যালয়ে অবস্থান করছেন খালেদা জিয়া। তাঁর
কার্যালয়ের দক্ষিণ ও পূর্ব পাশে দুটি ভবন রয়েছে। আর পশ্চিম ও দক্ষিণ পাশে
রাস্তা। ওই দুই পাশে সীমানাপ্রাচীরের ওপর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হয়।
এমনিতে সীমানাপ্রাচীরের ওপর লোহার কাঁটা দেওয়া আছে। এই কাঁটার ওপর নতুন
করে কাঁটাতারের বেড়া বসানো হয়েছে। ওই কার্যালয়ে অবস্থানরত বিএনপির
চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান প্রথম আলোকে বলেন,
নিরাপত্তার স্বার্থে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা যাতে দেয়াল
টপকে ভেতরে যেতে না পারে, সে জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তিনি দাবি
করেন, দুদিন আগে একজন দেয়াল টপকে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেছিল। আজ দুপুরেও
একজন একই ধরনের চেষ্টা করেছিল। খালেদা জিয়ার কার্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত
পুলিশ এখন আর নেই। তবে কারা কার্যালয়ে যাতায়াত করছেন, তা লিখে রাখছে
গোয়েন্দা পুলিশ। অবশ্য গত তিন দিনে দলের উল্লেখযোগ্য কোনো নেতা
চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেননি। ৩১ জানুয়ারি থেকে এখন
পর্যন্ত খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে কেব্ল টেলিভিশন (ডিশ) ও টেলিফোন সংযোগ
বিচ্ছিন্ন রয়েছে। মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কও দুর্বল। এটা পুনঃস্থাপন করা
হয়নি। ফলে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ও ফ্যাক্স ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তবে
সরকারি মালিকাধীন মুঠোফোন কোম্পানি টেলিটকের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। অবশ্য
টেলিটক থেকে ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যায় না।
No comments