ইউক্রেন সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করতে মস্কোয় ওলাঁদ-মারকেল
(মস্কোয়
যাওয়ার আগে কিয়েভে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল ও ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের সাথে করমর্দন করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পরোশেনকো
(মাঝে) : এএফপি) ফ্রান্সের
প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদ ও জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মারকেল
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে ঘোরতর যুদ্ধ বন্ধে মস্কোতে গতকাল শুক্রবার আলোচনায়
বসেছেন। এরপর তারা কিয়েভে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সাথে জরুরি
আলোচনায় বসবেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সমাধান চায়। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে থাকবে না। কেরি এখন কিয়েভে আছেন। মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে মস্কো সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ইউক্রেনের সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি রাশিয়ার নিয়মিত সৈন্যরাও যুদ্ধ করছে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের এমন দাবিও মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘর্ষ জোরদার হয়েছে। ফলে গত সেপ্টেম্বরে বেলারুশের মিনস্কে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভণ্ডুল হয়ে গেছে। এ দিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রাসেলসে ইইউ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার কথা বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এতে ইউক্রেন সঙ্কট প্রধান আলোচ্যসূচি হিসেবে থাকতে পারে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাদ ও জার্মানির চ্যান্সেলর মারকেল নতুন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার বিকেলের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে বসেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সাথে বৈঠকে উভয় নেতা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি। পোরোশেঙ্কো এক বিবৃতিতে বলেন, মারকেল ও ওলাদের সাথে বৈঠকে অস্ত্রবিরতির আশা দেখা দিয়েছে।
গত এপ্রিলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহ শুরু হয়। এর কয়েক সপ্তাহ আগে গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়। ইউক্রেন সরকার ও পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
মানবিক অস্ত্রবিরতি
এদিকে কিয়েভ কর্মকর্তা ও রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শুক্রবার জানিয়েছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের দেবালৎসেভা শহরের চারপাশে স্বল্প সময়ের মানবিক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
অবরুদ্ধ বেসামরিক মানুষকে শহর ত্যাগের সুযোগ দিতে এই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিয়াচেসলাভ অ্যাব্রস্কিন বলেন, ‘বেসামরিক মানুষকে শহর ত্যাগের সুযোগ দিতে তারা দেবালৎসেভের চারপাশের এলাকায় শুক্রবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বিদ্রোহীরা তাদের সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, শহরটির চারপাশে শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় ০৮০০টা থেকে ১৫০০টা পর্যন্ত এই অস্ত্রবিরতি বলবৎ থাকবে। বিদ্রোহীরা শহরটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র কূটনৈতিক সমাধান চায়। তবে রাশিয়ার আগ্রাসনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র চোখ বন্ধ করে থাকবে না। কেরি এখন কিয়েভে আছেন। মস্কোর বিরুদ্ধে ইউক্রেনে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের অস্ত্র দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। তবে মস্কো সে অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ইউক্রেনের সৈন্যদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের পাশাপাশি রাশিয়ার নিয়মিত সৈন্যরাও যুদ্ধ করছে ইউক্রেন ও পশ্চিমাদের এমন দাবিও মস্কো প্রত্যাখ্যান করেছে।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সম্প্রতি সংঘর্ষ জোরদার হয়েছে। ফলে গত সেপ্টেম্বরে বেলারুশের মিনস্কে স্বাক্ষরিত অস্ত্রবিরতি চুক্তি ভণ্ডুল হয়ে গেছে। এ দিকে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্রাসেলসে ইইউ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করবেন। রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের সাথে যুদ্ধ করতে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেয়ার কথা বিবেচনা করছে ওয়াশিংটন। এ ছাড়া মিউনিখে বার্ষিক নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু হচ্ছে। এতে ইউক্রেন সঙ্কট প্রধান আলোচ্যসূচি হিসেবে থাকতে পারে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ওলাদ ও জার্মানির চ্যান্সেলর মারকেল নতুন শান্তি প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার বিকেলের দিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সাথে বৈঠকে বসেন। বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কোর সাথে বৈঠকে উভয় নেতা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানানো হয়নি। পোরোশেঙ্কো এক বিবৃতিতে বলেন, মারকেল ও ওলাদের সাথে বৈঠকে অস্ত্রবিরতির আশা দেখা দিয়েছে।
গত এপ্রিলে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহ শুরু হয়। এর কয়েক সপ্তাহ আগে গণভোটের মাধ্যমে ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রুশ ফেডারেশনে যুক্ত হয়। ইউক্রেন সরকার ও পূর্বাঞ্চলের বিদ্রোহীদের মধ্যে সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৪০০ জন নিহত হয়েছেন।
মানবিক অস্ত্রবিরতি
এদিকে কিয়েভ কর্মকর্তা ও রুশপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা শুক্রবার জানিয়েছে, তারা পূর্ব ইউক্রেনের দেবালৎসেভা শহরের চারপাশে স্বল্প সময়ের মানবিক অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে।
অবরুদ্ধ বেসামরিক মানুষকে শহর ত্যাগের সুযোগ দিতে এই অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে উভয়পক্ষ। ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ভিয়াচেসলাভ অ্যাব্রস্কিন বলেন, ‘বেসামরিক মানুষকে শহর ত্যাগের সুযোগ দিতে তারা দেবালৎসেভের চারপাশের এলাকায় শুক্রবার অস্ত্রবিরতিতে সম্মত হয়েছে। বিদ্রোহীরা তাদের সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, শহরটির চারপাশে শুক্রবার গ্রিনিচ মান সময় ০৮০০টা থেকে ১৫০০টা পর্যন্ত এই অস্ত্রবিরতি বলবৎ থাকবে। বিদ্রোহীরা শহরটিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রেখেছে।
No comments