সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন
(সঙ্কটের
সমাধান না হলে পরিণাম ভয়াবহ : ড. আকবর আলি খান; সঙ্কট নিরসনে রাষ্ট্রপতিকে
উদ্যোগ নিতে হবে : ড. বদিউল আলম; বর্তমানে নির্বাচন পদ্ধতি শুদ্ধ নয় : ড. এ
টি এম শামসুল হুদা) (জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়া গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে গোলটেবিল আলোচনা করে : নয়া দিগন্ত) দেশের
চলমান পরিস্থিতিকে জাতীয় সঙ্কট হিসেবে অভিহিত করে সেই সঙ্কট থেকে উত্তরণের
জন্য জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশিষ্ট নাগরিকেরা। দেশের বড় দুই
দল বিএনপি-আওয়ামী লীগের অনড় অবস্থানের কারণে পেট্রলবোমা, অগ্নিসংযোগসহ সারা
দেশে সহিসংতা বৃদ্ধি, প্রাণহানি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক বিচারবহির্ভূত
হত্যাকাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা। তাদের মতে, এটি রাজনৈতিক সমস্যা,
রাজনৈতিকভাবেই সরকারকে তা সমাধান করতে হবে। সহিংসতাকে সহিংসতার মাধ্যমে,
গুম-খুন করে, দমন-পীড়ন চালিয়ে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সঙ্কট নিরসনে
রাষ্ট্রপতিকে কার্যকর উদ্যোগ নেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। এ ছাড়া
সরকার ও বিরোধী দলকে সংলাপে বসাতে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে সুশীলসমাজের মধ্য
থেকে পাঁচজনের একটি কমিটি গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছেন কেউ কেউ। গতকাল
রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আয়োজিত ‘জাতীয়
সঙ্কট নিরসনে জাতীয় সংলাপ’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বিশিষ্ট নাগরিকেরা এসব
কথা বলেন।
গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, প্রযুক্তিবিদ হাবিবুল্লাহ করিম, সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এম কে রহমান, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার ও চলমান রাজনীতির মধ্যে রোগ ঢুকে গেছে। তারা যে ভাষায় কথা বলেন, এটি গণতন্ত্রের ভাষা না। তাদের কথাবার্তায় কোনো সহনশীলতা, সহমর্মিতা নেই। তিনি সঙ্কট নিরসনে সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য পাড়া-মহল্লায় যে যেখানে অবস্থান করছেন সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, বর্তমান দুই রাজনৈতিক জোটের যে অবস্থান তাতে সঙ্কটের সমাধান হবে বলে মনে হয় না। সঙ্কটের সমাধান না হলে পরিণাম আরো ভয়াবহ হবে। তিনি বলেন, দেশের সঙ্কট সমাধানে সিভিল সমাজের কিছু করার আছে। কিন্তু তারা কিছু করছে না। সিভিল সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে কিছু একটা করা যেতে পারে।
ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যে নির্বাচন পদ্ধতি আছে এটা শুদ্ধ নয়, গলদ আছে। সবার কাছে মোটামুটি একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয় সেই প্রক্রিয়াতে সামনের দিকে এগোতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভীষণ সঙ্কটের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন। এভাবে বেশি দিন চলবে না। তিনি বলেন, সংবিধানের অনেক জায়গায় ত্রুটি আছে সেগুলো সংশোধন করে সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আজ সমাধানের উপায় খোঁজার তাগিদে আমরা এখানে এক হয়েছি। শুক্রবার গিয়েছিলাম কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষা পরিদর্শন করতে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার সব অভিভাবক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দুই নেত্রীকে সমস্যার সমাধানের জন্য সংলাপের টেবিলে দেখতে চান। মানুষ বিভাজন চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। তাদের কাজ বিবাদ-বিদ্বেষ থেকে এখন প্রতিহিংসায় গিয়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। এটা দেখে আমাদের সন্তানেরা কি ভাবছে। রাজনীতিবিদরা নতুন প্রজন্মকে কী শেখাচ্ছে?
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, মনে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল চলছে। চলমান সহিংসতায় প্রায় ৮০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে। সঙ্কট সমাধানে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। টেকসই সমাধানের জন্য বৃহত্তর পরিসরে সবাইকে ডাকতে হবে। এ ছাড়া ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রণয়ন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ সংলাপের উদ্যোগ, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি গঠনের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সঙ্কট নিরসনের দায়িত্ব সরকারের। তাই সমাধানের জন্য সংলাপ আয়োজন করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তাদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সংলাপের ঘোষণা দিতে হবে। এরপরেই ২০ দলকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে। আমরা ২০ দলের সাথে সংলাপের কথা বলছি না। জাতীয় সংলাপের কথা বলছি। রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান করছি এই সংলাপের ব্যবস্থা করার জন্য।
দেশে একটি ভয়ানক-ভীতিকর, বিপজ্জনক পরিস্থিতি চলছে। যারা দেশের এই অস্বাভাবিক অবস্থা স্বীকার করে না তাদের দ্বারা এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। এটাকে বর্তমান সরকার যে পথে সমাধানের চেষ্টা করছে তাতে সমাধান হবে না।
আ স ম আবদুর রব বলেন, সংবিধানকে খণ্ড বিখণ্ড করা হয়েছে। ১৫৪ জনকে বিনাভোটে নির্বাচিত করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এ সংসদ অবৈধ, সরকারও অবৈধ। জনগণের ওপর তাদের কর্তৃত্ব করার অধিকার নেই। তিনি বলেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়, অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তিনি বলেন, হত্যা, খুন ও গুম করে সমস্যার সমাধান হবে না। ঐক্যপ্রক্রিয়া ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
গোলটেবিল আলোচনার সঞ্চালনা করেন সিনিয়র আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক ও সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন আহমেদ। আলোচনায় অংশ নেন সংবিধান প্রণেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. এ টি এম শামসুল হুদা, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর সালেহউদ্দিন আহমেদ, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, অধ্যাপক ড. সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, বিকল্পধারা বাংলাদেশের মহাসচিব মেজর (অব:) আবদুল মান্নান, প্রযুক্তিবিদ হাবিবুল্লাহ করিম, সুব্রত চৌধুরী, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এম কে রহমান, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান প্রমুখ।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সরকার ও চলমান রাজনীতির মধ্যে রোগ ঢুকে গেছে। তারা যে ভাষায় কথা বলেন, এটি গণতন্ত্রের ভাষা না। তাদের কথাবার্তায় কোনো সহনশীলতা, সহমর্মিতা নেই। তিনি সঙ্কট নিরসনে সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য পাড়া-মহল্লায় যে যেখানে অবস্থান করছেন সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানান।
চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটে উদ্বেগ প্রকাশ করে ড. আকবর আলি খান বলেন, বর্তমান দুই রাজনৈতিক জোটের যে অবস্থান তাতে সঙ্কটের সমাধান হবে বলে মনে হয় না। সঙ্কটের সমাধান না হলে পরিণাম আরো ভয়াবহ হবে। তিনি বলেন, দেশের সঙ্কট সমাধানে সিভিল সমাজের কিছু করার আছে। কিন্তু তারা কিছু করছে না। সিভিল সমাজ ঐক্যবদ্ধ হলে কিছু একটা করা যেতে পারে।
ড. এ টি এম শামসুল হুদা বলেন, দেশের পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমানে যে নির্বাচন পদ্ধতি আছে এটা শুদ্ধ নয়, গলদ আছে। সবার কাছে মোটামুটি একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচন যাতে হয় সেই প্রক্রিয়াতে সামনের দিকে এগোতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ ভীষণ সঙ্কটের মধ্যে জীবন অতিবাহিত করছেন। এভাবে বেশি দিন চলবে না। তিনি বলেন, সংবিধানের অনেক জায়গায় ত্রুটি আছে সেগুলো সংশোধন করে সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি নির্বাচন কমিশন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান।
রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, আজ সমাধানের উপায় খোঁজার তাগিদে আমরা এখানে এক হয়েছি। শুক্রবার গিয়েছিলাম কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষা পরিদর্শন করতে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সেখানকার সব অভিভাবক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা দুই নেত্রীকে সমস্যার সমাধানের জন্য সংলাপের টেবিলে দেখতে চান। মানুষ বিভাজন চায় না, শান্তি চায়। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো শান্তিকে দূরে ঠেলে দিয়েছে। তাদের কাজ বিবাদ-বিদ্বেষ থেকে এখন প্রতিহিংসায় গিয়ে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিদ্যুতের লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। এটা দেখে আমাদের সন্তানেরা কি ভাবছে। রাজনীতিবিদরা নতুন প্রজন্মকে কী শেখাচ্ছে?
ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, মনে হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল চলছে। চলমান সহিংসতায় প্রায় ৮০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। তিনি বলেন, বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করে সমস্যার সমাধান করা যাবে না। এটি রাজনৈতিক সমস্যা রাজনৈতিকভাবেই এর সমাধান করতে হবে। সঙ্কট সমাধানে সংলাপের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সঙ্কট নিরসনে এগিয়ে আসতে হবে। টেকসই সমাধানের জন্য বৃহত্তর পরিসরে সবাইকে ডাকতে হবে। এ ছাড়া ঐকমত্যের ভিত্তিতে জাতীয় সনদ প্রণয়ন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের পরোক্ষ সংলাপের উদ্যোগ, সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি গঠনের প্রয়োজনের কথা তুলে ধরেন তিনি।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, বর্তমান সঙ্কট নিরসনের দায়িত্ব সরকারের। তাই সমাধানের জন্য সংলাপ আয়োজন করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। তাদের মধ্যবর্তী নির্বাচনের জন্য সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দিয়ে সংলাপের ঘোষণা দিতে হবে। এরপরেই ২০ দলকে অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দিতে হবে। আমরা ২০ দলের সাথে সংলাপের কথা বলছি না। জাতীয় সংলাপের কথা বলছি। রাষ্ট্রপতিকে আহ্বান করছি এই সংলাপের ব্যবস্থা করার জন্য।
দেশে একটি ভয়ানক-ভীতিকর, বিপজ্জনক পরিস্থিতি চলছে। যারা দেশের এই অস্বাভাবিক অবস্থা স্বীকার করে না তাদের দ্বারা এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান রাজনৈতিকভাবে করতে হবে। এটাকে বর্তমান সরকার যে পথে সমাধানের চেষ্টা করছে তাতে সমাধান হবে না।
আ স ম আবদুর রব বলেন, সংবিধানকে খণ্ড বিখণ্ড করা হয়েছে। ১৫৪ জনকে বিনাভোটে নির্বাচিত করা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী এ সংসদ অবৈধ, সরকারও অবৈধ। জনগণের ওপর তাদের কর্তৃত্ব করার অধিকার নেই। তিনি বলেন, এ সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে চায়, অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। কারণ তারা জনগণকে ভয় পায়। তিনি বলেন, হত্যা, খুন ও গুম করে সমস্যার সমাধান হবে না। ঐক্যপ্রক্রিয়া ছাড়া এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়।
No comments