সব দলকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
যুক্তরাষ্ট্রের
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে আবারও উঠে এলো বাংলাদেশ
পরিস্থিতি। ওই মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেরি হার্ফ আবারও জানিয়ে দিলেন
বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র। একই
সঙ্গে তিনি শান্তিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালাতে অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ দিতে সরকারের
প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে এ সময়ে কোন সহায়তা দিচ্ছে
কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত নন মেরি হার্প। এর আগে ৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি একটি
বিবৃতি দেন। তাতেও তিনি বাংলাদেশে সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সরকারের
প্রতি আহ্বান জানান রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ দিতে। এর পরদিন ৬ই
ফেব্রুয়ারি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে অংশ নেন তিনি। এখানে তা প্রশ্ন-উত্তর আকারে তুলে ধরা হলো:
প্রশ্ন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে একটি প্রশ্ন আছে। দেশটিতে সহিংসতা ও অন্যান্য অনেক কিছু সহ বহু ঘটনা ঘটছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরকার কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন রকম সহায়তা চেয়েছে?
উত্তর: আমার জানামতে তারা তা চায়নি। বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতায় অবশ্যই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিবেকহীন হামলার ঘটনা ঘটছে সেখানে। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাস। লাইন থেকে বিচ্যুত করা হচ্ছে ট্রেন। এতে অনেকে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এরা নিরপরাধী, ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আমরা সব দলকে তাদের সদস্যদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ দিতে হবে। সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আমাদের টিমের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয় না যে, কোন রকম সহায়তা আমরা দিচ্ছি।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্য যেকোন রকম ঘটনাই হোক সরকার বলছে, এগুলো হলো সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
উত্তর: ভাল কথা। আপনি এটাকে যে ভাবেই দেখেন না কেন অবশ্যই এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
প্রশ্ন: বাংলাদেশ প্রসঙ্গে দ্রুততার সঙ্গে একটি প্রশ্ন আছে। দেশটিতে সহিংসতা ও অন্যান্য অনেক কিছু সহ বহু ঘটনা ঘটছে। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরকার কি যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কোন রকম সহায়তা চেয়েছে?
উত্তর: আমার জানামতে তারা তা চায়নি। বাংলাদেশে চলমান অস্থিরতা ও সহিংসতায় অবশ্যই আমরা (যুক্তরাষ্ট্র) গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিবেকহীন হামলার ঘটনা ঘটছে সেখানে। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাস। লাইন থেকে বিচ্যুত করা হচ্ছে ট্রেন। এতে অনেকে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। এরা নিরপরাধী, ঘটনার শিকার হচ্ছেন। আমরা সব দলকে তাদের সদস্যদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে আমরা সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি, শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য অত্যাবশ্যকীয় সুযোগ দিতে হবে। সহায়তার বিষয়টি নিয়ে আমাদের টিমের সঙ্গে কথা বলে দেখতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয় না যে, কোন রকম সহায়তা আমরা দিচ্ছি।
প্রশ্ন: রাজনৈতিক সহিংসতা ও অন্য যেকোন রকম ঘটনাই হোক সরকার বলছে, এগুলো হলো সরকারের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। এ বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?
উত্তর: ভাল কথা। আপনি এটাকে যে ভাবেই দেখেন না কেন অবশ্যই এটা বন্ধ হওয়া উচিত।
No comments