বাগানেই পচে যাচ্ছে ফুল লোকসানের মুখে চাষি by মামুন মুহাম্মদ
চরখাগরিয়ায় বাগান থেকে ফুল তুলছেন এক চাষি |
সাতকানিয়ার
চরখাগরিয়ার ফুলচাষি আবদুল গফুর (৩২) প্রতিদিন চট্টগ্রামে ফুল পাঠাতেন তিন
হাজার টাকার। স্থানীয়ভাবে বিক্রি করতেন আরও প্রায় এক হাজার টাকার ফুল।
কিন্তু এক মাস ধরে ফুল বিক্রির সেই টাকার অঙ্ক নেমে এসেছে এক হাজারের নিচে।
কোনো কোনো দিন তা পাঁচ শ টাকার কম। প্রতিদিন ফুল তোলাও বন্ধ করে
দিয়েছেন। কারণ, হরতাল-অবরোধে ফুলের চাহিদা কমে গেছে। ফুল বিক্রি কমে
যাওয়ায় সংসারেও চলছে টানাটানি। গফুরের মতো অবস্থা চরখাগরিয়ার পাঁচ শতাধিক
চাষির। টানা অবরোধ-হরতালে বিপাকে পড়েছেন ফুলচাষিরা। স্থানীয় ক্রেতা ও
চট্টগ্রাম শহরের চেরাগী পাহাড় এলাকার পাইকারি ব্যবসায়ীরা ফুলের ফরমায়েশ
কমিয়ে দেওয়ায় হতাশ তাঁরা। দিন দিন কমছে ফুলের দামও। ফলে লোকসানের আশঙ্কা
করছেন তাঁরা।
১ ও ৩ ফেব্রুয়ারি খাগরিয়া ইউনিয়নের চরখাগরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফুল আর ফুল। ফুটে আছে গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকা। বেশির ভাগ বাগানে চাষি নেই। কয়েকটি বাগানে ফুল তুলছেন চাষিরা। এ ছাড়া কিছু বাগানে ফুল ঝরে পড়ে আছে গাছের নিচে।
চাষিরা জানান, অবরোধ-হরতালের আগে ১০০ গ্ল্যাডিওলাসের স্টিক বিক্রি হয়েছিল ১০০০-১২০০ টাকায়। এখন সেই গ্ল্যাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আগে এক হাজার লাল রঙের গাঁদা ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিপসির বিক্রিই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাষিরা ফুল তোলা অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাগানেই পচে যাচ্ছে ফুল।
ফুলচাষি মো. হেলাল (২৬) বলেন, ‘আগে আলু চাষ করতাম। ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার ৮০ ভাগ চাষি এখন ফুল চাষে নেমেছেন। তবে ২০১৩ সালের মতো ২০১৫ সালের শুরুতেও টানা অবরোধ-হরতালের কারণে ফুল বিক্রি কমে গেছে। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যাঁরা ফুল বিক্রি করতে পেরেছেন, তাঁরা লাভবান হলেও দেরিতে যাঁদের খেতে ফুল ফুটেছে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়বেন।’
চরখাগরিয়া এলাকার ফুলচাষি ও চেরাগী পাহাড়ের ফুল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৩৮) বলেন, ফুল চাষ ও ফুলের ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু অবরোধ ও হরতালের কারণে লাভ তো দূরে, প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘চরখাগরিয়া এলাকায় আট কানির মতো জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করেছি। বাজারে ফুলের দাম কমে যাওয়ায় বাগানের ফুল বাগানেই থেকে যাচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে অন্তত দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, উপজেলার চরখাগরিয়া এলাকায় এবার তিন হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গ্ল্যাডিওলাস ও গাঁদা ফুলের চাষই বেশি। বাগানে ফুলের ফলন হয়েছে খুব ভালো। চাষিরা ফুল চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন। কিন্তু অবরোধ-হরতালের কারণে ফুলের দাম কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাষিদের লোকসান গুনতে হবে।
১ ও ৩ ফেব্রুয়ারি খাগরিয়া ইউনিয়নের চরখাগরিয়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ফুল আর ফুল। ফুটে আছে গাঁদা, গ্ল্যাডিওলাস, জিপসি ও চন্দ্রমল্লিকা। বেশির ভাগ বাগানে চাষি নেই। কয়েকটি বাগানে ফুল তুলছেন চাষিরা। এ ছাড়া কিছু বাগানে ফুল ঝরে পড়ে আছে গাছের নিচে।
চাষিরা জানান, অবরোধ-হরতালের আগে ১০০ গ্ল্যাডিওলাসের স্টিক বিক্রি হয়েছিল ১০০০-১২০০ টাকায়। এখন সেই গ্ল্যাডিওলাস বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আগে এক হাজার লাল রঙের গাঁদা ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল, এখন তা ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। জিপসির বিক্রিই বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চাষিরা ফুল তোলা অনেকটা বন্ধ করে দিয়েছেন। বাগানেই পচে যাচ্ছে ফুল।
ফুলচাষি মো. হেলাল (২৬) বলেন, ‘আগে আলু চাষ করতাম। ফুল চাষে লাভ বেশি হওয়ায় এলাকার ৮০ ভাগ চাষি এখন ফুল চাষে নেমেছেন। তবে ২০১৩ সালের মতো ২০১৫ সালের শুরুতেও টানা অবরোধ-হরতালের কারণে ফুল বিক্রি কমে গেছে। গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে যাঁরা ফুল বিক্রি করতে পেরেছেন, তাঁরা লাভবান হলেও দেরিতে যাঁদের খেতে ফুল ফুটেছে তাঁরা লোকসানের মুখে পড়বেন।’
চরখাগরিয়া এলাকার ফুলচাষি ও চেরাগী পাহাড়ের ফুল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৩৮) বলেন, ফুল চাষ ও ফুলের ব্যবসা ভালোই চলছিল। কিন্তু অবরোধ ও হরতালের কারণে লাভ তো দূরে, প্রতিদিন লোকসান গুনতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, ‘চরখাগরিয়া এলাকায় আট কানির মতো জমিতে বিভিন্ন জাতের ফুলের চাষ করেছি। বাজারে ফুলের দাম কমে যাওয়ায় বাগানের ফুল বাগানেই থেকে যাচ্ছে। গত জানুয়ারি মাসে অন্তত দুই লাখ টাকা লোকসান হয়েছে।’
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন বলেন, উপজেলার চরখাগরিয়া এলাকায় এবার তিন হেক্টর জমিতে ফুলের চাষ হয়েছে। এর মধ্যে গ্ল্যাডিওলাস ও গাঁদা ফুলের চাষই বেশি। বাগানে ফুলের ফলন হয়েছে খুব ভালো। চাষিরা ফুল চাষ করে লাভবানও হচ্ছেন। কিন্তু অবরোধ-হরতালের কারণে ফুলের দাম কমে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে চাষিদের লোকসান গুনতে হবে।
No comments