নেত্রকোনার হাওরাঞ্চলে বোরো জমি দখল করে কোটি টাকার মাছ লুট
(নেত্রকোনা : জলমহাল ইজারার নামে ধানি জমিতে মাছ ধরা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত) নেত্রকোনার
হাওরাঞ্চলে স্থানীয় প্রভাবশালীরা জলমহাল লিজ নেয়ার নাম করে সাধারণ কৃষকদের
ব্যক্তিমালিকাধীন বোরো জমি দখল করে এরই মধ্যে কোটি টাকার মাছ লুটে নিয়েছে।
তাদের লাঠিয়াল বাহিনী কৃষকদের জমিতে লাগাতারভাবে অবস্থান নেয়ায় নিজ জমিতে
নামতে পারছেন না সাধারণ কৃষক। ফলে চলতি মওসুমে বোরো চাষে মারাত্মক
বিপর্যয়ের চিন্তায় উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন হাওর পাড়ের সাধারণ কৃষকেরা।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, শুষ্ক মওসুমে এক ফসলি জমিতে বোরো আবাদ করে সারা বছরের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সংসারের অন্যান্য খরচ জুগিয়ে থাকেন।
জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলা হাওরের ধান ও মাছ উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরের মল্লিকপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলটুনাই নদীর বৈঠাখালি বাঁধ এলাকায় প্রশাসনের সহযোগিতায় লিজ নেয়ার নাম করে ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রভাবশালী মহল জলমহালের নির্ধারিত এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের সাধারণ কৃষকদের ধানিজমি দখল করে বছরের পর বছর মৎস্য আহরণ করে আসছে। আর প্রশাসনের একশ্রেণীর সুবিধাভোগী কর্মকর্তা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী মহলের লোকজন ইজারাকৃত জমির বাইরে সাধারণ কৃষকদের ধানিজমি দখল করে মাছ লুটে নিচ্ছে। এ সময় কথা হয় মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বারিন তালুকদার, গৌতম দাস, ক্ষিতিষ চন্দ্র দাস, গনি মিয়াসহ আরো অনেকের সাথে। তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল লিজ নেয়ার নাম করে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ধানিজমি দখল করে মাছ ধরে আসছে। তাদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতির কারণে আমরা আমাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। এমনকি নিজ জমি থেকেও মাছ ধরতে পারি না। প্রতি মওসুমে অন্তত কোটি টাকার মাছ লুটে নিচ্ছে তারা। প্রভাবশালী লুটেরাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে মাছ ধরায় ব্যস্ত প্রভাবশালী হায়দার আলী বলেন, আমরা আগে লিজ নিয়ে মাছ ধরতাম। কিন্তু বছর তিনেক ধরে জায়গা নিয়ে মামলা চলায় সরকার টোল নিচ্ছে না। কাজেই আমরা আগের মতো মাছ ধরে আসছি।
ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, ‘জাল যার জলা তার’ সরকারের এ নীতি লঙ্ঘন করে প্রভাবশালী নেতারা ২০-৩০ একর এলাকার জলমহাল বেনামীতে লিজ অথবা খাস কালেকশনের নামে ইজারা নেয়। তারা বর্ষাকালে এলাকার গরিব মানুষকে মাছ ধরতে নিষেধ করে। বাড়ির আঙিনায়ও তারা মাছ ধরতে বাধা দেয়। বোরো লাগানোর সময় খালের মুখগুলো বেঁধে রাখায় পানির আধিক্যের জন্য সময়মতো কৃষকেরা জমি চাষ করতে পারেন না। অন্য দিকে বোরো চাষের মাঝামাঝি সময় খাল ও ডোবার সব পানি সেচে ফেলায় সেচের অভাবে কৃষকদের অনেক জমি অনাবাদি থেকে যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইউসুফ আলী জানান, বৈঠাখালি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রভাবশালী কর্তৃক মাছ লুটে নেয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, শুষ্ক মওসুমে এক ফসলি জমিতে বোরো আবাদ করে সারা বছরের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সংসারের অন্যান্য খরচ জুগিয়ে থাকেন।
জেলার মোহনগঞ্জ, মদন ও খালিয়াজুরী উপজেলা হাওরের ধান ও মাছ উদ্বৃত্ত এলাকা হিসেবে পরিচিত। মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরের মল্লিকপুর গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া জলটুনাই নদীর বৈঠাখালি বাঁধ এলাকায় প্রশাসনের সহযোগিতায় লিজ নেয়ার নাম করে ক্ষমতাসীন দলের একটি প্রভাবশালী মহল জলমহালের নির্ধারিত এলাকা ছাড়িয়ে আশপাশের সাধারণ কৃষকদের ধানিজমি দখল করে বছরের পর বছর মৎস্য আহরণ করে আসছে। আর প্রশাসনের একশ্রেণীর সুবিধাভোগী কর্মকর্তা তাদের সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
মোহনগঞ্জের ডিঙ্গাপোতা হাওরে গিয়ে দেখা যায়, প্রভাবশালী মহলের লোকজন ইজারাকৃত জমির বাইরে সাধারণ কৃষকদের ধানিজমি দখল করে মাছ লুটে নিচ্ছে। এ সময় কথা হয় মাঘান-সিয়াধার ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামের বারিন তালুকদার, গৌতম দাস, ক্ষিতিষ চন্দ্র দাস, গনি মিয়াসহ আরো অনেকের সাথে। তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের নাম ভাঙিয়ে একটি প্রভাবশালী মহল লিজ নেয়ার নাম করে দীর্ঘ দিন ধরে আমাদের ধানিজমি দখল করে মাছ ধরে আসছে। তাদের হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতির কারণে আমরা আমাদের জমিতে চাষাবাদ করতে পারছি না। এমনকি নিজ জমি থেকেও মাছ ধরতে পারি না। প্রতি মওসুমে অন্তত কোটি টাকার মাছ লুটে নিচ্ছে তারা। প্রভাবশালী লুটেরাদের বিরুদ্ধে ভয়ে কেউ কিছু বলতে পারেন না।
এ ব্যাপারে মাছ ধরায় ব্যস্ত প্রভাবশালী হায়দার আলী বলেন, আমরা আগে লিজ নিয়ে মাছ ধরতাম। কিন্তু বছর তিনেক ধরে জায়গা নিয়ে মামলা চলায় সরকার টোল নিচ্ছে না। কাজেই আমরা আগের মতো মাছ ধরে আসছি।
ক্ষেতমজুর সমিতির নেতা মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার আনিছুর রহমান বলেন, ‘জাল যার জলা তার’ সরকারের এ নীতি লঙ্ঘন করে প্রভাবশালী নেতারা ২০-৩০ একর এলাকার জলমহাল বেনামীতে লিজ অথবা খাস কালেকশনের নামে ইজারা নেয়। তারা বর্ষাকালে এলাকার গরিব মানুষকে মাছ ধরতে নিষেধ করে। বাড়ির আঙিনায়ও তারা মাছ ধরতে বাধা দেয়। বোরো লাগানোর সময় খালের মুখগুলো বেঁধে রাখায় পানির আধিক্যের জন্য সময়মতো কৃষকেরা জমি চাষ করতে পারেন না। অন্য দিকে বোরো চাষের মাঝামাঝি সময় খাল ও ডোবার সব পানি সেচে ফেলায় সেচের অভাবে কৃষকদের অনেক জমি অনাবাদি থেকে যায়।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ইউসুফ আলী জানান, বৈঠাখালি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় ইজারা দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রভাবশালী কর্তৃক মাছ লুটে নেয়ার বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
No comments