যমুনার তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন- বেড়ায় ৩২৫ কোটি টাকার প্রতিরা বাঁধসহ ১২ গ্রাম হুমকির মুখে by শফিউল আযম
(বেড়া (পাবনা) : জয়নগর প্রতিরক্ষা বাঁধের পাশ থেকে এভাবেই বালু উত্তোলন করা হচ্ছে : নয়া দিগন্ত) বেড়ার
কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি জয়নগর পয়েন্টে প্রতিরা বাঁধের ৫০ ফুটের মধ্যে
যমুনা নদীর তলদেশ থেকে ড্রেজারের সাহায্যে প্রতিদিন হাজার হাজার ঘনফুট বালু
উত্তোলন করছে। এর ফলে নদী সরে এসে পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এতে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রতিরা বাঁধ, কৈটোলা পাম্পিং
স্টেশনসহ ১২টি গ্রাম ভাঙনের মুখে পড়েছে। এ দিকে চক্রটি বালু বিক্রি করে লাখ
লাখ টাকা লুটে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, স্থায়ী ভাঙন রোধে তৎকালীন জোট সরকার আমলে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা-মেঘনা রিভার ইরোশন মিটিগেশন প্রজেক্টের আওতায় বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ থেকে রাকশা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে (ডান তীর) প্রতিরা বাঁধ তৈরি করা হয়। প্রতিরা বাঁধ নির্মাণের পর মোহনগঞ্জ থেকে রাকশা পর্যন্ত যমুনা নদীভাঙন বন্ধ হয়ে যায় এবং যমুনার পশ্চিম পাড়ে চর জেগে উঠতে থাকে। এর ফলে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কৈটোলা পাম্পিং স্টেশনসহ ৩০টি গ্রাম ভাঙনের কবল থেকে রা পেয়েছে। এতে যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ দিকে এলাকার প্রভাবশালী চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে বেড়ার জয়নগর, মোহনগঞ্জ ও পেঁচাকোলা পয়েন্টে ভাঙন রোধে নির্মিত প্রতিরা বাঁধের প্রায় ৫০ ফুটের মধ্যে যমুনা নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এ ছাড়া চক্রটি যমুনা নদীর হরিরামপুর, মাছখালী, বিজয়গঞ্জ, বেঙ্গালিয়া, লালগোলার চর, চরসাঁরাশিয়া, চরনাকালিয়া, চরনাগদা, ওমরপুর, চরসাফুল্লাপাড়া পয়েন্টেও বালু উত্তোলন করছে। তারা যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন উত্তোলিত হাজার হাজার ঘনফুট বালু প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে নাকালিয়া বাজার বণিক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানিয়েছেন।
জানা যায়, এলাকার ভোলা মেম্বার, লাল মিয়া, ছিদ্দিক মেম্বার, সুজাউদ্দিন মেম্বারসহ একটি চক্র যমুনা নদীর প্রতিরা বাঁধ থেকে ৫০ ফুট দূরে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন করায় যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে জেগে ওঠা চর ভেঙে যাওয়ায় নদী পশ্চিম দিকে সরে এসে প্রতিরা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতিরা বাঁধ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধের কিছু অংশের সিসি ব্লক দেবে গেছে। পেঁচাকোলা গ্রামের আক্কাস আলী জানান, যমুনা নদী তাদের তাড়া করে ফিরত। সব সময় থাকতে হতো ভাঙন আতঙ্কে। জোট সরকার আমলে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংরণ এবং প্রতিরা বাঁধ তৈরি করায় যমুনার ভাঙন বন্ধ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা নদীর মোহনগঞ্জ থেকে নগরবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বালু উত্তোলনকারীদের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। বালুর গুণগত মান ভালো ও পরিবহন খরচ কম হওয়ায় ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ড্রেজার মালিক জানান, নদী থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের কারোরই বৈধ অনুমোদনপত্র নেই।
এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কবিবুর রহমান জানান, যমুনা নদী প্রতিরা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর যেকোনো জায়গা থেকে বালু উত্তোলন প্রতিরা বাঁধের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, নদীর যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তার চার পাশের এলাকা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য বালু মহাল ইজারা দেয়ার আগে নদী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সরেজমিন পর্যবেণের মাধ্যমে ইজারার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। তাহলে তির হাত থেকে রা পাওয়া সম্ভব।
জানা যায়, স্থায়ী ভাঙন রোধে তৎকালীন জোট সরকার আমলে প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে যমুনা-মেঘনা রিভার ইরোশন মিটিগেশন প্রজেক্টের আওতায় বেড়া উপজেলার মোহনগঞ্জ থেকে রাকশা পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে (ডান তীর) প্রতিরা বাঁধ তৈরি করা হয়। প্রতিরা বাঁধ নির্মাণের পর মোহনগঞ্জ থেকে রাকশা পর্যন্ত যমুনা নদীভাঙন বন্ধ হয়ে যায় এবং যমুনার পশ্চিম পাড়ে চর জেগে উঠতে থাকে। এর ফলে প্রায় ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পাবনা সেচ ও পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ, কৈটোলা পাম্পিং স্টেশনসহ ৩০টি গ্রাম ভাঙনের কবল থেকে রা পেয়েছে। এতে যমুনা নদী তীরবর্তী এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ দিকে এলাকার প্রভাবশালী চক্রটি দীর্ঘ দিন ধরে বেড়ার জয়নগর, মোহনগঞ্জ ও পেঁচাকোলা পয়েন্টে ভাঙন রোধে নির্মিত প্রতিরা বাঁধের প্রায় ৫০ ফুটের মধ্যে যমুনা নদীর তলদেশ থেকে বালু উত্তোলন করছে। এ ছাড়া চক্রটি যমুনা নদীর হরিরামপুর, মাছখালী, বিজয়গঞ্জ, বেঙ্গালিয়া, লালগোলার চর, চরসাঁরাশিয়া, চরনাকালিয়া, চরনাগদা, ওমরপুর, চরসাফুল্লাপাড়া পয়েন্টেও বালু উত্তোলন করছে। তারা যমুনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন উত্তোলিত হাজার হাজার ঘনফুট বালু প্রতিদিন ট্রাক ভর্তি করে বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতরে লিখিত অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে নাকালিয়া বাজার বণিক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জানিয়েছেন।
জানা যায়, এলাকার ভোলা মেম্বার, লাল মিয়া, ছিদ্দিক মেম্বার, সুজাউদ্দিন মেম্বারসহ একটি চক্র যমুনা নদীর প্রতিরা বাঁধ থেকে ৫০ ফুট দূরে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ড্রেজারের সাহায্যে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এভাবে বালু উত্তোলন করায় যমুনা নদীর পশ্চিম পাড়ে জেগে ওঠা চর ভেঙে যাওয়ায় নদী পশ্চিম দিকে সরে এসে প্রতিরা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে প্রতিরা বাঁধ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়েছে। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিরক্ষা বাঁধের কিছু অংশের সিসি ব্লক দেবে গেছে। পেঁচাকোলা গ্রামের আক্কাস আলী জানান, যমুনা নদী তাদের তাড়া করে ফিরত। সব সময় থাকতে হতো ভাঙন আতঙ্কে। জোট সরকার আমলে ভাঙন রোধে যমুনা নদীর পশ্চিম তীর সংরণ এবং প্রতিরা বাঁধ তৈরি করায় যমুনার ভাঙন বন্ধ হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যমুনা নদীর মোহনগঞ্জ থেকে নগরবাড়ী পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকাব্যাপী বালু উত্তোলনকারীদের রয়েছে একচ্ছত্র আধিপত্য। বালুর গুণগত মান ভালো ও পরিবহন খরচ কম হওয়ায় ওই এলাকায় সবচেয়ে বেশি বালু উত্তোলন করা হয়। বালু উত্তোলনের সাথে জড়িত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ড্রেজার মালিক জানান, নদী থেকে যারা বালু উত্তোলন করছে তাদের কারোরই বৈধ অনুমোদনপত্র নেই।
এ ব্যাপারে বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কবিবুর রহমান জানান, যমুনা নদী প্রতিরা বাঁধের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর যেকোনো জায়গা থেকে বালু উত্তোলন প্রতিরা বাঁধের জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, নদীর যে স্থান থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তার চার পাশের এলাকা ধসে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সে জন্য বালু মহাল ইজারা দেয়ার আগে নদী বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করে সরেজমিন পর্যবেণের মাধ্যমে ইজারার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত। তাহলে তির হাত থেকে রা পাওয়া সম্ভব।
No comments