জলছন্দের জলকাব্য by মুজিবুল হক
(কালার প্লেট আয়োজিত জলরঙের প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শকেরা l সৌরভ দাশ) নীল
আকাশে সাদা তুলো মেঘ। নদীর পাড়ে বাঁধা সারি সারি মাছ ধরার নৌকা। পড়ে আছে
ছড়ানো-ছিটানো গাছের গুঁড়ি। ওপারে কুয়াশাচ্ছন্ন গাঢ় সবুজ পাহাড়। লাল,
নীল, খয়েরি, ধূসর রঙের ব্যবহারে নিসর্গের ছবিটি এঁকেছেন শিল্পী তন্ময়
চক্রবর্তী। কালার প্লেটের আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমীর আর্ট
গ্যালারিতে আয়োজিত জলছন্দ শিরোনামে প্রদর্শনীতে স্থান পায় ছবিটি। ১০ জন
শৌখিন শিল্পী ও ৪৭ জন শিক্ষার্থীর ৫৭টি জলরং নিয়ে এ যৌথ চিত্র প্রদর্শনী
শুরু হয় ৫ ফেব্রুয়ারি। গত বছরের ২২ থেকে ৩১ ডিসেম্বর জলরং নিয়ে অনুষ্ঠিত
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের চিত্রকর্ম নিয়ে এই প্রদর্শনীর আয়োজন।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসিমা আখতার। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মনসুর উল করিম, শিল্পী জসিম উদ্দিন ও খাজা কাইয়ূম।
প্রদর্শনীতে দেখা গেছে, শিল্পীরা যেন হুবহু নিসর্গের রং হাজির করেছেন তাঁদের ক্যানভাসে। প্রকৃতির বাস্তব আকৃতিকেই ছবির বিষয় করেছেন অনেকে। কিছু ছবিতে স্পেস, রং আর জলরঙে ধোয়া কাজে এনে দিয়েছে ছন্দ। চারপাশের নিসর্গের ছুটে চলা সৌন্দর্য হাজির হয়েছে নিজস্ব ভঙ্গিতে।
গ্যালারিতে ঢোকার পর চোখে পড়বে ফুলদানিতে একগুচ্ছ ফুল। গোলাপ, রজনীগন্ধা, বেলী, অর্কিড, ডালিয়া ও সবুজ পাতা বাহারি ফুলের উপস্থাপন করা হয়েছে সাদা কাগজের বুনট অংশে (হ্যান্ডমেড পেপার)।
ছবিটি অলক কুমার সরকারের। উজ্জ্বল রঙের পরিমিত ব্যবহার আর শান্ত রঙের উপস্থিতি ছবিটিতে স্থিতি তৈরি করেছে। এ ছাড়া নিসর্গের ছবি এঁকেছেন অনিমেষ মজুমদার, এম এ হাসান, হ্লাবাসু চৌধুরী, রাজীব শীল, সাদিয়া আফরিন, সজীব সেন, জয়তু চাকমা ও মো. নাজিমউদ্দীন। তাঁদের কাজে নির্দিষ্ট কিছু রঙের ব্যবহার স্পষ্ট হয়ে দেখা যায়।
জড় জীবন করেছেন কনক দে, মরিয়ম বেগম, রাবেয়া, রীনা চাকমা, তানজিনা আহমেদ, পারমিতা সরকার, প্রাচী সাহা ও নাজমুল হোসেন। তাঁদের কাজে দেখা যায় রং-রেখা আর ছন্দের সরল উপস্থাপন।
শিল্পকলার শেষ কক্ষের দেয়ালে প্রশিক্ষকদের মধ্যে রাসেল কান্তি দাশ, বখতিয়ার হোসেন, সঞ্চয় সরকার, আনিসুজ্জামান, শেখ মোহাম্মদ জনের কাজ নজর কাড়ছে। এই প্রদর্শনীতে দর্শক দেখতে পেয়েছেন শিল্পীদের চোখে দেখা নিসর্গের অভিধান। শিল্পকর্মগুলো আমাদের ভাবনার দুয়ারে সতেজ প্রকৃতিকে নতুন করে কড়া নাড়াতে সক্ষম।
প্রদর্শনী সম্পের্ক কালার প্লেটের সংগঠক মিঠু মুৎসুদ্দী ও সজলচন্দ্র নাথ বলেন, চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চারুকলা চর্চা শুরু হওয়ার পর থেকে এখানকার নিসর্গ ছবি জলরঙে উঠে এসেছে সহজ মাধ্যম হিসেবে। সময়ের পথপরিক্রমায় শিল্পে যুক্ত হয়েছে নানা মাধ্যম, করণ ও কৌশল। যার ফলে জলরঙের শিল্প আজ অবহেলিত, কিন্তু জলরং খুব সহজে ও কম ব্যয়ে করা সম্ভব। এই শিল্প খুব সহজে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হয় ৭ ফেব্রুয়ারি।
প্রদর্শনী উদ্বোধন করেন চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসিমা আখতার। অতিথি ছিলেন অধ্যাপক মনসুর উল করিম, শিল্পী জসিম উদ্দিন ও খাজা কাইয়ূম।
প্রদর্শনীতে দেখা গেছে, শিল্পীরা যেন হুবহু নিসর্গের রং হাজির করেছেন তাঁদের ক্যানভাসে। প্রকৃতির বাস্তব আকৃতিকেই ছবির বিষয় করেছেন অনেকে। কিছু ছবিতে স্পেস, রং আর জলরঙে ধোয়া কাজে এনে দিয়েছে ছন্দ। চারপাশের নিসর্গের ছুটে চলা সৌন্দর্য হাজির হয়েছে নিজস্ব ভঙ্গিতে।
গ্যালারিতে ঢোকার পর চোখে পড়বে ফুলদানিতে একগুচ্ছ ফুল। গোলাপ, রজনীগন্ধা, বেলী, অর্কিড, ডালিয়া ও সবুজ পাতা বাহারি ফুলের উপস্থাপন করা হয়েছে সাদা কাগজের বুনট অংশে (হ্যান্ডমেড পেপার)।
ছবিটি অলক কুমার সরকারের। উজ্জ্বল রঙের পরিমিত ব্যবহার আর শান্ত রঙের উপস্থিতি ছবিটিতে স্থিতি তৈরি করেছে। এ ছাড়া নিসর্গের ছবি এঁকেছেন অনিমেষ মজুমদার, এম এ হাসান, হ্লাবাসু চৌধুরী, রাজীব শীল, সাদিয়া আফরিন, সজীব সেন, জয়তু চাকমা ও মো. নাজিমউদ্দীন। তাঁদের কাজে নির্দিষ্ট কিছু রঙের ব্যবহার স্পষ্ট হয়ে দেখা যায়।
জড় জীবন করেছেন কনক দে, মরিয়ম বেগম, রাবেয়া, রীনা চাকমা, তানজিনা আহমেদ, পারমিতা সরকার, প্রাচী সাহা ও নাজমুল হোসেন। তাঁদের কাজে দেখা যায় রং-রেখা আর ছন্দের সরল উপস্থাপন।
শিল্পকলার শেষ কক্ষের দেয়ালে প্রশিক্ষকদের মধ্যে রাসেল কান্তি দাশ, বখতিয়ার হোসেন, সঞ্চয় সরকার, আনিসুজ্জামান, শেখ মোহাম্মদ জনের কাজ নজর কাড়ছে। এই প্রদর্শনীতে দর্শক দেখতে পেয়েছেন শিল্পীদের চোখে দেখা নিসর্গের অভিধান। শিল্পকর্মগুলো আমাদের ভাবনার দুয়ারে সতেজ প্রকৃতিকে নতুন করে কড়া নাড়াতে সক্ষম।
প্রদর্শনী সম্পের্ক কালার প্লেটের সংগঠক মিঠু মুৎসুদ্দী ও সজলচন্দ্র নাথ বলেন, চট্টগ্রামে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চারুকলা চর্চা শুরু হওয়ার পর থেকে এখানকার নিসর্গ ছবি জলরঙে উঠে এসেছে সহজ মাধ্যম হিসেবে। সময়ের পথপরিক্রমায় শিল্পে যুক্ত হয়েছে নানা মাধ্যম, করণ ও কৌশল। যার ফলে জলরঙের শিল্প আজ অবহেলিত, কিন্তু জলরং খুব সহজে ও কম ব্যয়ে করা সম্ভব। এই শিল্প খুব সহজে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়।
তিন দিনব্যাপী এই প্রদর্শনী শেষ হয় ৭ ফেব্রুয়ারি।
No comments