সহিংসতা আবারো গ্রাস করেছে বাংলাদেশকে -দ্য ডিপ্লোম্যাটের প্রতিবেদন
রাজনৈতিক সহিংসতা বাংলাদেশকে আবারো গ্রাস করছে বলে মন্তব্য করেছে দ্য ডিপ্লোম্যাট। ‘ওয়ান ইয়ার আফটার ইলেকশন, ভায়োলেন্স পারসিস্টস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ মন্তব্য করা হয়। সহিংসতার কারণে বিদেশী বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র এক বছর পূর্তির এক মাস পর সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ হামলা হচ্ছে চলন্ত পথে যাত্রীবাহী বাসে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় শহর বগুড়ায় একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বোমায় চারজন মারা গেছে। একদিন আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকায় থেমে থাকা একটি বাসে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়। পুলিশ এ ঘটনার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে।
নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার ব্যবস্থা চালু না করায় খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন। বাংলাদেশে গত প্রায় দুই দশক ধরে নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা ছিল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বন্দী অথবা আত্মগোপনে আছেন। ৫ জানুয়ারি অবরোধ শুরুর পর থেকে খালেদা জিয়া নিজেও তার অফিসে কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যে অবস্থান করছেন। এ বছর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে বিরোধী দলের ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী।
এখনই হোক বা ৫ বছর পরে হোক, আরেকটি নির্বাচন হলে তাতে খালেদা জিয়াকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া না-ও হতে পারে। এ দিকে পুলিশ বোমা হামলা ও সহিংসতা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয় ভাইবারসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন। কিন্তু এগুলো সবই লক্ষণমাত্র, সহিংসতার আসল কারণ নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতির শীর্ষ পদগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই অনুপস্থিত। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া বিএনপি চালাচ্ছেন ১৯৮৪ সাল থেকে। গত ২৪ বছরে এই দুই দলই পাল্টাপাল্টি করে দেশ শাসন করেছে। দল দু’টির মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতার বিষয়টি পুরোপুরি ঝুলে আছে।
এই বোমা হামলা অবশ্যই চিরস্থায়ী হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের চেহারায় আরো কলঙ্ক লেপন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিদেশী বিনিয়োগ। যে দেশ চিহ্নিত হয় ক্ষমতার লড়াই দিয়ে, সেখানে বিনিয়োগ খুব কমই নিরাপদ হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের ২০১৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের মাত্র এক বছর পূর্তির এক মাস পর সারা দেশে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ছে। অধিকাংশ হামলা হচ্ছে চলন্ত পথে যাত্রীবাহী বাসে। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরাঞ্চলীয় শহর বগুড়ায় একটি ট্রাকে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া বোমায় চারজন মারা গেছে। একদিন আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকায় থেমে থাকা একটি বাসে বিস্ফোরণে সাতজন নিহত হয়। পুলিশ এ ঘটনার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ বিরোধী নেতাকর্মীদের দায়ী করেছে।
নতুন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবিতে সারা দেশে অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি। শেখ হাসিনা কেয়ারটেকার ব্যবস্থা চালু না করায় খালেদা জিয়া ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকেন। বাংলাদেশে গত প্রায় দুই দশক ধরে নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকারব্যবস্থা ছিল একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। বর্তমানে বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের অনেকেই বন্দী অথবা আত্মগোপনে আছেন। ৫ জানুয়ারি অবরোধ শুরুর পর থেকে খালেদা জিয়া নিজেও তার অফিসে কড়া পুলিশ প্রহরার মধ্যে অবস্থান করছেন। এ বছর ছড়িয়ে পড়া সহিংসতায় অর্ধশতাধিক নিহত হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছে বিরোধী দলের ১০ হাজারেরও বেশি নেতাকর্মী।
এখনই হোক বা ৫ বছর পরে হোক, আরেকটি নির্বাচন হলে তাতে খালেদা জিয়াকে অংশগ্রহণ করতে দেয়া না-ও হতে পারে। এ দিকে পুলিশ বোমা হামলা ও সহিংসতা ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে। মোটরসাইকেলে যাত্রী বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সাময়িক নিষিদ্ধ করা হয় ভাইবারসহ বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন অ্যাপ্লিকেশন। কিন্তু এগুলো সবই লক্ষণমাত্র, সহিংসতার আসল কারণ নয়।
বাংলাদেশের রাজনীতির শীর্ষ পদগুলোতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বরাবরই অনুপস্থিত। শেখ হাসিনা ১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া বিএনপি চালাচ্ছেন ১৯৮৪ সাল থেকে। গত ২৪ বছরে এই দুই দলই পাল্টাপাল্টি করে দেশ শাসন করেছে। দল দু’টির মধ্যে কোনো ধরনের সমঝোতার বিষয়টি পুরোপুরি ঝুলে আছে।
এই বোমা হামলা অবশ্যই চিরস্থায়ী হবে না। কিন্তু বাংলাদেশের চেহারায় আরো কলঙ্ক লেপন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিদেশী বিনিয়োগ। যে দেশ চিহ্নিত হয় ক্ষমতার লড়াই দিয়ে, সেখানে বিনিয়োগ খুব কমই নিরাপদ হয়।
No comments