দেশজুড়ে বই উৎসব
বই
হাতে নিয়ে উল্লাসে মেতে উঠে শিক্ষার্থীরা। বছরের শুরুর দিন গতকাল ছিল
দেশজুড়ে বই উৎসব। জেলায় জেলায় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে
তুলে দেয়া হয় নতুন বই।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনায় সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপন করা হয়।ড়খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে স্কুল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হয়। খুলনাঞ্চলের ১৬ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনটি স্তরে মোট চার কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ২১৯টি বই বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেনড়বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনির-উজ-জামান, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, খুলনা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে উপপরিচালক শেখ মো. রায়হান উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে খুলনা জেলা পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৫ বৃহস্পতিবার খুলনা জিলা স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।ড়অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল।ড়সভাপতিত্ব করেন খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম। পরে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টর, নোয়াখালী থেকে জানান, ‘বই হোক নিত্যসঙ্গী’- স্লোগানে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এম এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে এ বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রাথমিক বিভাগের বই উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌস। বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রব, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সামছুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিন উল্লাহ বিএসসি, এমএ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি জানান, ওরা চারজন বাক-প্রতিবন্ধী, বসবাস কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্প হতদরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সন্তান। পড়াশোনা করে উপজেলার ৪৮নং দত্তের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বছর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় ওরা। ননি গোপাল দাসের বাক-প্রতিবন্ধী সন্তান ওই বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আশ্রাব আলীর বাক-প্রতিবন্ধী ২ সন্তান রিয়াজ হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। একই পরিবারের বাক-প্রতিবন্ধী সারমিন আক্তার তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। বই উৎসবে নতুন বই পেয়ে ওরা আনন্দিত ও খুশি। বৃহস্পতিবার সারা দেশের মতো ৪৮নং দত্তের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিবন্ধীদেরও বই দেয়া হয়। বই বিতরণ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলা রানী মিত্র, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী আ. লতিফ খসরু, প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবন্ধী অভিভাবক মঞ্জিলা বলেন, ‘মোর মাইয়া পোলা বই পাইছে মুই হেতে খুশি। আমনেরা ওগোলইগা দোয়া হরবেন।’
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ধোবাউড়ায় বই বিতরণ উদ্বোধন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুজ্জামান মোহাম্মদ খান। আর নতুন বছরে নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় ধোবাউড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ শুরু করে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা, মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুন্সিরহাট মুসলিম ইনস্টিটিউটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল হোসেন খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাহার আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ. বাতেন।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এম সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে নবাগত শিশুদের বরণ এবং বই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে এ বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র চৌধুরী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা। শিশু বরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন অতিথিরা। এবার মৌলভীবাজার জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৪৪ লাখ ২৫ হাজার বই বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে গেছে এবং বিতরণও শুরু করা হয়েছে একই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে। হরতাল থাকলেও নতুন বই নিতে প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ভাল।
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে জানান, বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পাওয়ার আনন্দই আলাদা। আর এ বই যদি পাওয়া যায় বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে, তাহলে আনন্দ বেড়ে যায় বহু গুণ। তাই খুদে শিক্ষার্থীদের আনন্দ দিতে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে নতুন বই বিতরণ করেন। গতকাল সকাল ৯টায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সর্ব প্রথম শুরু হয় বই উৎসব। পরে বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জেকে অ্যান্ড এইচ কে হাই স্কুল, দারুছুন্নাৎ সিনিয়র মাদরাসা হয়ে হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলির সব স্কুলে এবং পরে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপি আবু জাহির বই বিতরণ করেন। বই বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আবদুর রউফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ ভূঁইয়া।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এ সময় জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে সারা জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ বছর মানিকগঞ্জে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮১০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ৯৩ হাজার পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে মানিকগঞ্জে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেছেন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ খান মুন্নু ও অধ্যক্ষ সৈয়দা নাসরিন আক্তার।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর শহরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে পুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবা আক্তার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস জাফরি প্রমুখ। পরে স্কুলটির এক হাজার ২ শ’ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভালুকা উপজেলার ৪৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে ১০ লাখ নতুন বই তুলে দেয়ার মাধ্যমে ভালুকায় বই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, সহকারী কমিশনার ভূমি তরফদার সোহেল রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা মনি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন-অর রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম, আশেক উল্লাহ চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান, সুফিয়া বেগম, আনোয়ারা নিনা, নাসরিন জাহান, আবদুল মান্নান মাস্টার, কামরুল হাসান পাঠান প্রমুখ।
হাওর অঞ্চল প্রতিনিধি জানান, বানিয়াচংয়ে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান। গতকাল স্থানীয় মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়ার মাধ্যমে বিতরণে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বই বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। ইউএনও মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমদ, ওসি লিয়াকত আলী, শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা, মিহির লাল, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, অধ্যক্ষ আবদাল হুসেন খান, শিক্ষক ভানু চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে জানান, নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উপজেলাজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল আমিন দুলাল। প্রতিটি স্কুলের সভাপতি ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বই বিতরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে শতভাগ বই বিতরণ করা হয়।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সোনারগাঁয়ের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ জিআর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে সোনারগাঁ অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা। এ সময় বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আবু তালেব, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফম জাহিদ ইকবাল, শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবালসহ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকরা। পরে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেন। এছাড়াও সোনারগাঁয়ের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, নতুন বছরের প্রথমদিনেই রংপুর বিভাগে ৩ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি নতুন বই পেলো শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮ জেলায় ৫ হাজার ৪৭৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৪৩ জন। এদের মধ্যে বই দেয়া হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৯২১ সেট। একইভাবে বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩০৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৪৭১ বই বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রংপুর জেলায় ১ হাজার ৯৯৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার বই বিতরণ করা হয়। আর মাধ্যমিক ৬৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৫ সেট বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জিলা স্কুল মাঠে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ দিলোয়ার বখ্ত। রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা তাসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ তালুকদার, সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান কাজী মো. জুন্নুন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১৬ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক উৎসব ও বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরুল আলম মৃধা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন, কুষ্টিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মো. নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ডা. আনসার আলী, বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনজুরুল হক ও বিদ্যাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাকসুদা খাতুন রোজী প্রমুখ। স্কুল মাঠে বিদ্যাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে জানান, খুলনায় সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে পাঠ্যপুস্তক উৎসব উদযাপন করা হয়।ড়খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়ে উৎসবের উদ্বোধন করেন। এ উপলক্ষে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, খুলনা অঞ্চলের আয়োজনে স্কুল প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা হয়। খুলনাঞ্চলের ১৬ লাখ ৭৭ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে তিনটি স্তরে মোট চার কোটি ৬ লাখ ৯০ হাজার ২১৯টি বই বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেনড়বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মনির-উজ-জামান, খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ, জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল, খুলনা পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান এবং খুলনা বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে উপপরিচালক শেখ মো. রায়হান উদ্দীন। সভাপতিত্ব করেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা অঞ্চলের উপপরিচালক টিএম জাকির হোসেন। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, রাজনৈতিক নেতা এবং সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ এ উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে খুলনা জেলা পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক উৎসব ২০১৫ বৃহস্পতিবার খুলনা জিলা স্কুল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।ড়অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুস সামাদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা প্রশাসক মো. মোস্তফা কামাল।ড়সভাপতিত্ব করেন খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো. আরিফুল ইসলাম। পরে প্রধান অতিথি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করেন।
স্টাফ রিপোর্টর, নোয়াখালী থেকে জানান, ‘বই হোক নিত্যসঙ্গী’- স্লোগানে শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই তুলে দেয়ার মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। দুপুর ১২টায় জেলা শহর মাইজদীর লক্ষ্মীনারায়ণপুর পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও এম এ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অংশগ্রহণে এ বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিপিও) আনোয়ার হোসেন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে প্রাথমিক বিভাগের বই উৎসবের উদ্বোধন করে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বদরে মুনীর ফেরদৌস। বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রব, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সামছুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মমিন উল্লাহ বিএসসি, এমএ রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হুমায়ূন কবির প্রমুখ।
কাউখালী (পিরোজপুর) প্রতিনিধি জানান, ওরা চারজন বাক-প্রতিবন্ধী, বসবাস কাউখালী উপজেলার ২নং আমরাজুড়ী ইউনিয়নের আবাসন প্রকল্প হতদরিদ্র সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের সন্তান। পড়াশোনা করে উপজেলার ৪৮নং দত্তের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ বছর বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয় ওরা। ননি গোপাল দাসের বাক-প্রতিবন্ধী সন্তান ওই বিদ্যালয় থেকে প্রথম শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। আশ্রাব আলীর বাক-প্রতিবন্ধী ২ সন্তান রিয়াজ হোসেন দ্বিতীয় শ্রেণীতে পরীক্ষা দিয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়। একই পরিবারের বাক-প্রতিবন্ধী সারমিন আক্তার তৃতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হয়েছে। বই উৎসবে নতুন বই পেয়ে ওরা আনন্দিত ও খুশি। বৃহস্পতিবার সারা দেশের মতো ৪৮নং দত্তের হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রতিবন্ধীদেরও বই দেয়া হয়। বই বিতরণ উৎসবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বেলা রানী মিত্র, প্রতিবন্ধী স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা শিক্ষানুরাগী আ. লতিফ খসরু, প্রতিবন্ধীদের অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। প্রতিবন্ধী অভিভাবক মঞ্জিলা বলেন, ‘মোর মাইয়া পোলা বই পাইছে মুই হেতে খুশি। আমনেরা ওগোলইগা দোয়া হরবেন।’
ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, উৎসবমুখর পরিবেশে ধোবাউড়ায় বই বিতরণ উদ্বোধন করলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আনিসুজ্জামান মোহাম্মদ খান। আর নতুন বছরে নতুন বই হাতে পেয়ে আনন্দে মেতে উঠলো বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। গতকাল সকাল ১০টায় ধোবাউড়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণ শুরু করে মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মোহাম্মদীয়া দাখিল মাদরাসা, মুন্সিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুন্সিরহাট মুসলিম ইনস্টিটিউটে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল হোসেন খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আতাহার আলী, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আ. বাতেন।
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি জানান, মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের এম সাইফুর রহমান অডিটরিয়ামে নবাগত শিশুদের বরণ এবং বই বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে এ বই বিতরণ উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসীন আলী এমপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র চৌধুরী ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পঞ্চানন বালা। শিশু বরণ অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন অতিথিরা। এবার মৌলভীবাজার জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে ৪৪ লাখ ২৫ হাজার বই বিতরণ করা হবে। ইতিমধ্যে প্রতিটি বিদ্যালয়ে বই পৌঁছে গেছে এবং বিতরণও শুরু করা হয়েছে একই দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে। হরতাল থাকলেও নতুন বই নিতে প্রতিটি স্কুলে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল ভাল।
স্টাফ রিপোর্টার, হবিগঞ্জ থেকে জানান, বছরের প্রথম দিনেই নতুন বই পাওয়ার আনন্দই আলাদা। আর এ বই যদি পাওয়া যায় বিশিষ্টজনদের কাছ থেকে, তাহলে আনন্দ বেড়ে যায় বহু গুণ। তাই খুদে শিক্ষার্থীদের আনন্দ দিতে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রধান অতিথি থেকে নতুন বই বিতরণ করেন। গতকাল সকাল ৯টায় হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে সর্ব প্রথম শুরু হয় বই উৎসব। পরে বিকেজিসি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, হবিগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ, বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জেকে অ্যান্ড এইচ কে হাই স্কুল, দারুছুন্নাৎ সিনিয়র মাদরাসা হয়ে হবিগঞ্জ শহর ও শহরতলির সব স্কুলে এবং পরে শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমপি আবু জাহির বই বিতরণ করেন। বই বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক আবদুর রউফ, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশফাকুর রহমান চৌধুরী, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম ও জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ ভূঁইয়া।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় ও বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এ বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্য, পরিবারকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন। এ সময় জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে সারা জেলায় এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। এ বছর মানিকগঞ্জে প্রাথমিক পর্যায়ে ৮১০টি বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮০ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে ৯ লাখ ৯৩ হাজার পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হচ্ছে। এদিকে মানিকগঞ্জে মুন্নু ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বই বিতরণ করেছেন মুন্নু ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান হারুনার রশিদ খান মুন্নু ও অধ্যক্ষ সৈয়দা নাসরিন আক্তার।
ফরিদপুর প্রতিনিধি জানান, ফরিদপুর শহরের কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশনের আয়োজনে পুস্তক বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে বক্তব্য রাখেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহবুবা আক্তার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নার্গিস জাফরি প্রমুখ। পরে স্কুলটির এক হাজার ২ শ’ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হয়।
ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি জানান, নতুন বছরের প্রথম দিনেই ভালুকা উপজেলার ৪৭৮টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১ লাখ ৪ হাজার শিক্ষার্থীর হাতে ১০ লাখ নতুন বই তুলে দেয়ার মাধ্যমে ভালুকায় বই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সকালে ভালুকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে বই বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ গোলাম মোস্তফা, সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু, সহকারী কমিশনার ভূমি তরফদার সোহেল রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মনিরা সুলতানা মনি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হারুন-অর রশিদ, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শহিদুল ইসলাম, আশেক উল্লাহ চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান, সুফিয়া বেগম, আনোয়ারা নিনা, নাসরিন জাহান, আবদুল মান্নান মাস্টার, কামরুল হাসান পাঠান প্রমুখ।
হাওর অঞ্চল প্রতিনিধি জানান, বানিয়াচংয়ে নতুন পাঠ্যবই তুলে দিয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করেন এমপি অ্যাডভোকেট আবদুল মজিদ খান। গতকাল স্থানীয় মেধাবিকাশ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিভিন্ন স্কুল ও মাদরাসার ১০০ জন শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়ার মাধ্যমে বিতরণে আনুষ্ঠানিকতা শুরু করা হয়। উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বই বিতরণ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে হ-য-ব-র-ল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এদিকে নতুন বই হাতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দ-উল্লাসে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে। ইউএনও মোহাম্মদ শামছুল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ বশির আহমদ, ওসি লিয়াকত আলী, শিক্ষা কর্মকর্তা কাওছার শোকরানা, মিহির লাল, ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খান, অধ্যক্ষ আবদাল হুসেন খান, শিক্ষক ভানু চন্দ্র চন্দ প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে জানান, নতুন বই পেয়ে শিক্ষার্থীরা আনন্দে মেতে ওঠে। ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনায় উপজেলাজুড়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে বই বিতরণ করা হয়েছে। বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গাজী গোলাম দস্তগীর (বীরপ্রতীক)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ শাহজাহান ভূঁইয়া, ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হারেজ, ফেরদৌসী আলম নীলা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আল আমিন দুলাল। প্রতিটি স্কুলের সভাপতি ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত থেকে বই বিতরণের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার বলেন, উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেজি স্কুল ও উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩১৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে শতভাগ বই বিতরণ করা হয়।
সোনারগাঁ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি জানান, সোনারগাঁয়ের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ জিআর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সকালে সোনারগাঁ অধ্যক্ষ মো. সুলতান মিয়ার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা। বিশেষ অতিথি ছিলেন সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু নাছের ভূঁঞা। এ সময় বক্তব্য রাখেন- সোনারগাঁ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এসএম আবু তালেব, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আফম জাহিদ ইকবাল, শিক্ষানুরাগী আবু নাঈম ইকবালসহ প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্য ও শিক্ষকরা। পরে প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ওই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই বিতরণ করেন। এছাড়াও সোনারগাঁয়ের সকল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসায় বিনামূল্যে বই বিতরণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
স্টাফ রিপোর্টার, রংপুর থেকে জানান, নতুন বছরের প্রথমদিনেই রংপুর বিভাগে ৩ কোটি ৫৯ লাখেরও বেশি নতুন বই পেলো শিক্ষার্থীরা। গতকাল বৃহস্পতিবার বই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়। রংপুর বিভাগীয় শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮ জেলায় ৫ হাজার ৪৭৪ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৭৪৩ জন। এদের মধ্যে বই দেয়া হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ ৪২ হাজার ৯২১ সেট। একইভাবে বিভাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৬ হাজার ৩০৬টি। এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৪৭১ জন। তাদের মধ্যে ১ কোটি ৩২ লাখ ৯২ হাজার ৪৭১ বই বিতরণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রংপুর জেলায় ১ হাজার ৯৯৪ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২২ লাখ ৫০ হাজার বই বিতরণ করা হয়। আর মাধ্যমিক ৬৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখ ২১ হাজার ৪৩৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ লাখ ৮৫ হাজার ৬৯৫ সেট বই বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মরিয়ম নেছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও জিলা স্কুল মাঠে বই বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মুহম্মদ দিলোয়ার বখ্ত। রংপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তনিমা তাসমিন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন- প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপ-পরিচালক মহিউদ্দিন আহমেদ তালুকদার, সাবেক পৌরসভার চেয়ারম্যান কাজী মো. জুন্নুন প্রমুখ।
স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ থেকে জানান, ময়মনসিংহে ১ লাখ ১৬ হাজার বই বিতরণ করা হয়েছে। বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তক উৎসব ও বই বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী। ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ.ন.ম ফয়জুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. শফিউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার নূরুল আলম মৃধা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিকা পারভীন, কুষ্টিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী মো. নজরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, ডা. আনসার আলী, বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মনজুরুল হক ও বিদ্যাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মাকসুদা খাতুন রোজী প্রমুখ। স্কুল মাঠে বিদ্যাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বিদ্যাগঞ্জ রাণী রাজবালা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১ম থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
No comments