‘অনুমতি না দিলেও ৫ জানুয়ারি যা করার তাই করব’
নতুন
নির্বাচনের লক্ষ্যে বেগম খালেদা জিয়ার দেয়া সাত দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান
করে আওয়ামী লীগ নেতারা যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে বিএনপির স্থায়ী
কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সাত দফা প্রত্যাখ্যান
করলে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। এতে আশ্চর্যের কিছু নেই। কারণ আওয়ামী
লীগ জন্মলগ্ন থেকেই শান্তিপূর্ণ রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। তারা
একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী, তারা খুনির দল, লুটেরার দল।”
শুক্রবার সকালে ছাত্রদলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মঈন খান এসব কথা বলেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঈন খান বলেন, “অনুমতি দিক বা না দিক ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজপথে থাকবে। আমাদের যা করণীয় তাই করব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেককাটা অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ রিজভী বলেন, “এক ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ৫ জানুয়ারি সরকার তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেছে। এখন তারা বলছে ৫ জানুয়ারি ওই তামাশার নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। আমরা গণতন্ত্র হত্যার ওই দিনটিতে ঢাকায় জনসভার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছি। আমাদের নেতারা আজ মহানগর পুলিশ দফতরে গিয়েছিলেন। তারা (পুলিশ) বলেছে, জনসভার অনুমতি দেবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, ৫ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি করতেই হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
৩১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে সাত দফা প্রস্তাব দেন।
কিন্তু ওইদিনই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাত দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। মধ্যবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।”
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও বলেন, “সাত দফা দিয়ে কাজ হবে না। এক দফা মেনেই ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে আসতে হবে। এর থেকে পিছু হটার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
সমাবেশের অনুমতি পেয়েও পিছু হটলো ছাত্রদল
অনুমতি পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ করছে না ছাত্রদল। ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ করার কথা ছিল। সংগঠনটির দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার নতুন বার্তা ডটকমকে একথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারি রাজধানীতে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হবে। ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি অনেক বড় কর্মসূচি। একসঙ্গে দু’টি কর্মসূচি পালন করা সম্ভব নয়। তাই ২ জানুয়ারি শুক্রবার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দীতে ছাত্রদলের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার নামে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। তাই সমাবেশে যোগ দিলে তাদের আটক করা হতে পারে এই আশঙ্কায় সমাবেশ আপাতত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তিতে সুবিধামত ৫ জানুয়ারির পরে ছাত্র সমাবেশ করা হতে পারে জানা গেছে। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যারলয়ে কেককাটা, শুক্রবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও ফাতিহা পাঠের কর্মসূচি ঠিক আছে বলে জানা গেছে।
শুক্রবার সকালে ছাত্রদলের ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে নেতাকর্মীদের নিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর মঈন খান এসব কথা বলেন। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিব আহসান ও সাধারণ সম্পাদক আকরামুল হাসানসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের কয়েক হাজার নেতাকর্মী জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। এ সময় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন,শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঈন খান বলেন, “অনুমতি দিক বা না দিক ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে বিএনপি রাজপথে থাকবে। আমাদের যা করণীয় তাই করব।”
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেককাটা অনুষ্ঠানে বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ রিজভী বলেন, “এক ব্যক্তির স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ৫ জানুয়ারি সরকার তামাশার নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করেছে। এখন তারা বলছে ৫ জানুয়ারি ওই তামাশার নির্বাচনের বর্ষপূর্তি উদযাপন করবে। আমরা গণতন্ত্র হত্যার ওই দিনটিতে ঢাকায় জনসভার অনুমতি চেয়ে পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন করেছি। আমাদের নেতারা আজ মহানগর পুলিশ দফতরে গিয়েছিলেন। তারা (পুলিশ) বলেছে, জনসভার অনুমতি দেবে না। আমরা স্পষ্টভাষায় বলে দিতে চাই, ৫ জানুয়ারি আমাদের কর্মসূচি করতেই হবে। এই লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।”
৩১ ডিসেম্বর বুধবার সন্ধ্যা সাতটায় গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে সাত দফা প্রস্তাব দেন।
কিন্তু ওইদিনই বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাত দফা প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, “এ দেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। মধ্যবর্তী নির্বাচন ও তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার কোনো সুযোগ নেই।”
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াও বলেন, “সাত দফা দিয়ে কাজ হবে না। এক দফা মেনেই ২০১৯ সালে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নির্বাচনে আসতে হবে। এর থেকে পিছু হটার কোনো সম্ভাবনা নেই।”
সমাবেশের অনুমতি পেয়েও পিছু হটলো ছাত্রদল
অনুমতি পাওয়ার পরও প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুক্রবারের ছাত্র সমাবেশ করছে না ছাত্রদল। ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র সমাবেশ করার কথা ছিল। সংগঠনটির দফতর সম্পাদক আবদুস সাত্তার নতুন বার্তা ডটকমকে একথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, “৫ জানুয়ারি রাজধানীতে গণতন্ত্র হত্যা দিবসের কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হবে। ৫ জানুয়ারির কর্মসূচি অনেক বড় কর্মসূচি। একসঙ্গে দু’টি কর্মসূচি পালন করা সম্ভব নয়। তাই ২ জানুয়ারি শুক্রবার ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দীতে ছাত্রদলের সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদলের অনেক কেন্দ্রীয় নেতার নামে ইতিমধ্যে মামলা হয়েছে। তাই সমাবেশে যোগ দিলে তাদের আটক করা হতে পারে এই আশঙ্কায় সমাবেশ আপাতত না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে পরবর্তিতে সুবিধামত ৫ জানুয়ারির পরে ছাত্র সমাবেশ করা হতে পারে জানা গেছে। তবে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কার্যারলয়ে কেককাটা, শুক্রবার সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল ও ফাতিহা পাঠের কর্মসূচি ঠিক আছে বলে জানা গেছে।
No comments