স্কুলে স্কুলে বই উৎসব
শুরু
হয়েছে ‘স্কুলে স্কুলে বই উৎসব’। জামায়াতের ডাকা হরতালের মধ্যেও সারা দেশে
চলে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ উৎসব। গতকাল থেকে ক্ষুদে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের
উপস্থিতিতে হাতে হাতে তুলে দেয়া হচ্ছে নতুন ক্লাসের নতুন বই। সকালে
রাজধানীর মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে
দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এবং
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান। তবে অব্যবস্থাপনার কারণে
দুই মন্ত্রীর উপস্থিতিতেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেখা যায় বিশৃঙ্খলা। এর আগে
মঙ্গলবার জেএসসি ও পিএসসি ফল প্রকাশের দিন এ উৎসবের উদ্বোধন করেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার দেশের প্রাথমিক, নিম্ন মাধ্যমিক এবং
মাধ্যমিক স্তরের ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫২,৩৭৪ শিক্ষার্থীর হাতে চার রঙা ৩২ কোটি ৬৩
লাখ ৪৭,৯২৩ নতুন বই তুলে দেয়া শুরু হচ্ছে। সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে
পাঠ্যবই বিতরণ করে আসছে ২০১০ সাল থেকে। এবার বইয়ের তালিকায় যোগ হয়েছে নবম
শ্রেণীর ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা’ এবং অষ্টম
শ্রেণীর ‘কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা’ বই। ইবতেদায়ী স্তরের সব বই এবার ছাপানো
হয়েছে চার রঙে। জাতীয় শিক্ষাত্রুম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)
জানিয়েছে, বুধবার পর্যন্ত দেশের উপজেলা পর্যায়ে ৯৬ ভাগ বই পৌঁছে দেয়া
হয়েছে। এর আগে গত সপ্তাহ সংসদীয় কমিটিকে ৯০ ভাগ বই উপজেলায় পৌছেছে বলে
জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে প্রাথমিক, ইবতেদায়ী. দাখিল ও
দাখিল ভোকেশনাল, মাধ্যমিক এবং এসএসসি ভোকেশনাল বই সময়মতো পৌঁছাতে পারলেও
প্রাক-প্রাথমিকের বই পৌঁছাতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। তবে প্রাক-প্রাথমিকের
বই ১০ই জানুয়ারির মধ্যে পৌঁছানো সম্ভব হবে। প্রাক-প্রাথমিকের ভর্তি শুরু হয়
১লা জানুয়ারি, চলে ৩১শে মার্চ পর্যন্ত। বুধবারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী,
ইবতেদায়ী ও দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল শতভাগ বই উপজেলায় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
মাধ্যমিকে ৯৯ দশমিক ৩৩ ভাগ, এসএসসি ভোকেশনাল ৯৮ দশমিক ৭ ভাগ, প্রাথমিকে ৯৫
দশমিক ৭৮ ভাগ বই ইতিমধ্যে উপজেলায় পৌঁছেছে। প্রাক-প্রাথমিকে বই পাঠানোর
এখনও শুরু হয়নি। ২০১৫ শিক্ষাবর্ষে মোট ৪ কোটি ৪৪ লাখ ৫২,৩৭৪ ছাত্রছাত্রী
ধরে নিয়ে বই ছাপাচ্ছে সরকার। তাদের জন্য ৩২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৭,৬৭৪ কপি বই
মুদ্রণ, বাঁধাই ও সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রথম দিনেই অব্যবস্থাপনা: বই উৎসবে প্রথম দিনে রাজধানী মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে খোদ শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী উপস্থিতিতে চরম অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। অনুষ্ঠানে গণশিক্ষামন্ত্রীকে সম্বোধন করা হয় ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে। মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রজমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করলেও মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি বলা নিয়েও অতিথিদের মধ্যে ফিসফাস চলে। বই নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসার জন্য ধুলোময় মাঠে কার্পেটের ব্যবস্থা রাখা হলেও অভিভাবকদের জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। ছেলেকে নিয়ে উৎসবে এসে বসার জায়গা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা কেন থাকবে না? হরতালের মধ্যে বই নিতে আসতে তো ঠিকই বাচ্চাদের চাপ দেয়া হয়েছে। তার মতো আরও কয়েকজন অভিভাবককে উৎসবস্থলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এছাড়াও উৎসবের অনুষ্ঠান মঞ্চ ঘিরেও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। দুই মন্ত্রী ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মঞ্চে উঠে পড়ে শতাধিক মানুষ। মঞ্চের ঠিক সামনে ভিড় থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই মঞ্চে কি হচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছিলেন না। অব্যবস্থাপনা আর হৈচৈয়ের মধ্যেই অতিথিরা বক্তব্য দিয়ে যান। বক্তব্য দিতে এসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারকে মন্ত্রণালয়ের সচিব বলে উল্লেখ করেন। এ এলোমেলো পরিস্থিতির মধ্যে দুই মন্ত্রীও যেন খেই হারিয়ে ফেলেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করেই তাদের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে দেখা যায়। অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক হুমায়ুন কবীর বলেন, তার মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেও তাকে বাদ দিয়ে মন্ত্রীর হাত থেকে বই দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শিক্ষার্থীকে। প্রধান শিক্ষক ইচ্ছা করেই এমনটি করেছেন বলে অভিযোগ তার। তবে আয়োজকদের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। অন্যদের মধ্যে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, জাতীয় শিক্রাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
প্রথম দিনেই অব্যবস্থাপনা: বই উৎসবে প্রথম দিনে রাজধানী মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে খোদ শিক্ষামন্ত্রী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী উপস্থিতিতে চরম অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ে। অনুষ্ঠানে গণশিক্ষামন্ত্রীকে সম্বোধন করা হয় ওই মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে। মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রজমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করলেও মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সভাপতি বলা নিয়েও অতিথিদের মধ্যে ফিসফাস চলে। বই নিতে আসা শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের বসার জন্য ধুলোময় মাঠে কার্পেটের ব্যবস্থা রাখা হলেও অভিভাবকদের জন্য কোন ব্যবস্থা ছিল না। ছেলেকে নিয়ে উৎসবে এসে বসার জায়গা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিরিন আক্তার। তিনি বলেন, অভিভাবকদের বসার ব্যবস্থা কেন থাকবে না? হরতালের মধ্যে বই নিতে আসতে তো ঠিকই বাচ্চাদের চাপ দেয়া হয়েছে। তার মতো আরও কয়েকজন অভিভাবককে উৎসবস্থলের অব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এছাড়াও উৎসবের অনুষ্ঠান মঞ্চ ঘিরেও বিশৃঙ্খলা দেখা যায়। দুই মন্ত্রী ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে মঞ্চে উঠে পড়ে শতাধিক মানুষ। মঞ্চের ঠিক সামনে ভিড় থাকায় শিক্ষার্থীদের অনেকেই মঞ্চে কি হচ্ছে তা দেখতে পাচ্ছিলেন না। অব্যবস্থাপনা আর হৈচৈয়ের মধ্যেই অতিথিরা বক্তব্য দিয়ে যান। বক্তব্য দিতে এসে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজারকে মন্ত্রণালয়ের সচিব বলে উল্লেখ করেন। এ এলোমেলো পরিস্থিতির মধ্যে দুই মন্ত্রীও যেন খেই হারিয়ে ফেলেন। আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন না করেই তাদের শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিতে দেখা যায়। অব্যবস্থাপনায় ক্ষুব্ধ অভিভাবক হুমায়ুন কবীর বলেন, তার মেয়ে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হলেও তাকে বাদ দিয়ে মন্ত্রীর হাত থেকে বই দেয়া হয়েছে দ্বিতীয় স্থানে থাকা শিক্ষার্থীকে। প্রধান শিক্ষক ইচ্ছা করেই এমনটি করেছেন বলে অভিযোগ তার। তবে আয়োজকদের কেউ এ বিষয়ে মুখ খুলতে রাজি হননি। অন্যদের মধ্যে শিক্ষা সচিব নজরুল ইসলাম খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব কাজী আখতার হোসেন, জাতীয় শিক্রাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম মিয়া, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফাহিমা খাতুন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
No comments